অনেকে বিভিন্ন অজুহাত বা যুক্তি দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মত অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ কাজ থেকে বিরত থাকেন।লেখক "আবুল হাসেম মোল্লা" এমন ২৮ টি যুক্তির জবাব দিয়েছেন,তার লিখিত বই "ইসলামী আন্দোলন না করার কতিপয় যুক্তি বনাম তার জবাব :" শীর্ষক বইতে।নিম্নে তার বই থেকে আজ আরো একটি যুক্তির জবাব পেশ করা হলো।পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোও পেশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ !
সেকেলে ধর্ম ইসলাম,আধুনিকতা প্রয়োজন।
যারা এই ধরনের যুক্তির আলোকে ইসলামকে এড়িয়ে চলছেন তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে ব্যপক অধ্যয়নের আহবান জানাই।মূলত ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত জীবন বিধান।আল্লাহ তায়ালা সকল জ্ঞানের একচ্ছত্র অধিকারী। তিনি জানেন তার সৃষ্টির মাঝে কোথায় সমস্যা আর কোথায় সম্ভাবনা বিদ্যমান ?মানুষের পক্ষে মানুষের বিধান রচনা করা চরম নির্বুদ্ধিতার শামিল।মানুষের মাঝে যেমন নৈতিক শক্তি আছে তেমনি তার মাঝে পাশবিক শক্তিো বিদ্যমান।কিন্তু মানুষ যখন নিজের জন্য নিজের বিধান তৈরী করতে সচেষ্ট হয়,তখন সে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে না।কারণ কারো প্রতি তার যেমন ভয় রয়েছে,আবার কারো প্রতি তার আবেগ জড়িত পক্ষপাত দুষ্টতা০ অস্বীকার করা যায় না।পক্ষান্তরে স্রষ্টা ঐ সকল দুর্বলতা থেকে মুক্ত।তাই স্রষ্টার পক্ষ থেকে যে জীবন বিধান প্রেরিত হয়েছে তাই মানবজাতির জন্য প্রাকৃতিক জীবনব্যবস্হা,ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্হা।এবং তারই নাম ইসলাম।সুতরাং ইসলামকে খন্ডিত অর্থে অন্য কোন ধর্মের মত সংকীর্ণ গন্ডিতে আবদ্ধ করা তা অপব্যাখ্যারই নামান্তর।মানব জীবনের এমন কোন বিভাগ নেই,যে ব্যাপারে ইসলামের কোন না কোন বিধান নেই।ব্যক্তিগত,পারিবারিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক,রাজনৈতিক,সাংষ্কৃতিক,আধ্যাত্নিক,ধর্মীয় এক কথায় পূর্ণাঙ্গ এক জীবন বিধান।
কোরআনের বানী ;
"আজ আমি তোমাদের জন্য জীবন ব্যবস্হাকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি।"(মায়েদা :০৩)
তাই ইসলামকে সেকেলে বলে উড়িয়ে দেয়ার কোন নৈতিক ভিত্তি নেই।১৪৫০ বছর আগে ইসলাম যেমন আপন মহিমায় ছিল সমুজ্জল আজো তাই দেদীপ্যমান।ইসলামের মহাগ্রন্হ আল কোরআনের পরিবর্তন পরিবর্ধন হয়েছে এমন উদ্ভট মন্তব্য০ কেউ করতে সক্ষম হবে না।ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (স
"it was the prophet who laid the foundation of the vast edifice of enlighten and civilization which has adorned the world since his time."
অর্থ :রাসূল (স
জজ বার্নাড শ' বলেছেন,
if the world make a country and search for a leader to lead that country with peace than MUHAMMAD (sm
অর্থ:তুমি যদি গোটা বিশ্বকে একটি রাষ্ট্র পরিণত কর,এবং ঐ রাষ্ট্রকে শান্তিতে পরিচালনা করতে একজন নেতা তালাশ কর,তাহলে মুহাম্মদ (স
পক্ষান্তরে আজ যারা আধুনিকতার কথা বলেন তারা পৃথিবীকে কী দিয়েছে ?ধর্মীয় শৃংখল থেকে বের করে মানুষকে দু-পায়ী জন্তু হ০য়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছে।মানুষে মানুষে নেই মমতা,শ্রদ্ধাবোধ।পরষ্পর হিংসা বিদ্বেষ আর আত্নকলহ।মমতার লেশমাত্রা নেই বর্তমান।কে কত ঠকবাজি আর প্রতারণা করে নিজের অর্থের চাকাকে করে তুলবে সমৃদ্ধ,তাই সকল প্রতিযোগিতা আর যোগ্যতার মাপকাঠি।বিচারের বানী নিভৃতে কাঁদে,might is right তথাকথিত আধুনিকতার আবিষ্কার।মহাজনেরা হয় দিন দিন অট্রালিকার মালিক,আর দুর্বলেরা হয় নি:স্ব।জবাবদিহিতার কোন নূ্যনতম অনূভূতি নেই।সবাই বল্গাহীন,স্বাধীন। অথচ ১৪০০ বছর আগে বিজ্ঞানের অত আবিষ্কার না হ০য়া সত্তে০ মানব সমাজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শান্তির সমাজে পরিণত হয়েছিল।তাদের শাসকবৃন্দ বলত "ফোরাত নদীর তীরে একটি কুকুর না খাইয়ে মারা গেলে০ সেটার জন্য আমাকে জবাব দিতে হবে।"
আজো সেই মানসিকতার নেতৃত্ব দরকার যা উপহার দিতে পারে শুধুমাত্র ইসলামই,তথাকথিত আধুনিকতা নয়।সভ্য জগতে এসে০ তথাকথিত আধুনিকতাবাদীদের হাতে কপ্পরে পড়ে নারীরা হয় শত ধর্ষণের শিকার।ছি: আধুনিকতা ! শত জনের মাঝে যদি আধুনিকতা বাদীর মা বা বোন কেহ শিকার হত,তাহলে কি পারবেন তা সহ্য করতে ?অসম্ভব !কিন্তু সে নির্লজ্জতা থেকে জাতিকে মুক্তি দেবে কে ? তা পারে শুধু ইসলাম।কারণ ইসলাম শিক্ষা দেয়,কারো পাশ দিয়ে পরনারী সুসজ্জিত বেশে চলে যাবে,অথচ যুবক বলবে "আমি আল্লাহকে ভয় করি।"
জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেবে কে ? তথাকথিত আধুনিকতা নাকি ইসলাম ? এই আধুনিকতা বাদীরা অর্থকে শুধু মহাজনদের মাঝে আবর্তন করে থাকে।আর নি:স্বদের ভাগ্যের চাকা থাকে অপরিবর্তিত কারণ তাদের মুক্তি দেয়ার হাতিয়ার যে আধুনিকতা বাদীদের হাতে নেই।আছে শুধু ভোগ বিলাস আর "আপনি বাঁচলে বাপের নাম" চিন্তাধারা।কিন্তু ইসলাম নির্যাতিত মানবতার কথা বলে।
কোরআনের বানী:
"অর্থ যাতে শুধু তোমাদের বিত্তশালীদের মাঝে আবর্তিত না হয়।"(হাশর:০৭)
হাদীসের বানী:
"কেউ যদি (মৃত্যুর সময়) সম্পদ রেখে যায়,তা তাদের পরিবার পরিজনের,আর কেউ যদি ঋণ রেখে মারা যায়,তা পরিশোধের দায়িত্ব আমার (তথা রাষ্ট্র শাসকের)।"(আবু দাঊদ)
অথচ আধুনিকতাবাদীদের ঋণের বোঝায় চাপা পড়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আত্নহত্যা করে।সুতরাং ইসলাম সেকেলে নয় বরং এটাই বাস্তব ০ যুক্তিসঙগত আধুনিকতা।তাই এর প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মানবাধিকার রক্ষা করা সম্ভব।তাই প্রয়োজন ইসলাম প্রতিষ্ঠার অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



