অনেক কষ্ট আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা।কিন্তু কতিপয় ধুরন্ধর আর স্বার্থপরের হীন মানসিকতার কারণে স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরো আমরা স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে পারি নি।বুঝানোর স্বার্থে বাস্তবতা তুলে ধরছি।
১১ জুলাই ২০১০।রাত ৩ টা ।হঠাৎ একটি মেসে পুলিশের হানা।প্রায় ৪০ জন ছাত্রের অবস্হান সেখানে।সবাইকে ঘুম থেকে উঠানো হলো।বাছাই করে সেখান থেকে ১৩ জন গ্রেফতার করা হলো।বাছাই পর্বে যারা বাদ পড়ল তাদের এস্কট্রা কোয়ালিটি এতটুকু ছিল যে,তাদের মুখে দাড়ি ছিল না।যাদের গ্রেফতার করা হলো তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি শিবির করে।মজার ব্যাপার হলো, শিবিরের কয়েকজন নেতা মুখ দাড়ি না থাকার কারণে বাছাই পর্বে বাদ পড়ল।আর যারা গ্রেফতার হলেন তাদের মাঝে এমনো ছাত্র আছেন,যাদের বাবা আোয়ামীলীগ করেন।১৩ জনকে থানায় নিয়ে যাোয়া হলো।তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।ইতোমধ্যে সকাল হয়ে গেল,কয়েকজন অভিবাবক থানায় উপস্হিত ।একজন অভিবাবককে (যিনি আোয়ামীলীগ করেন) জিজ্ঞেস করা হলো,আপনার ছেলে অপরাধ করছে আপনার কাছে কি এমন মনে হয় ? তিনি অত্যন্ত দু:খের সাথে বলেন,
"আমি ছেলেকে দেখতে গেলাম।থানার োসি এস আই কে জিজ্ঞেস করেন,তাদের সাথে কী পাোয়া গেছে ? এস আই বললেন কিছু বই পাোয়া গেছে।অসি বলেন,শুধ, বই দিয়ে মামলা করলে তো হবে না।থানায় পুরাতন উদ্ধারকৃত কোন অস্ত্র আছে কি না ?তৎখনাত এস আই থানার আলমিরা থেকে পুরাতন কিছু রামদা,পিস্তল,কার্তুজ,গুলি ১৩ জনের সামনে রেখে সাংবাদিক ডেকে এনে তাদের ছবি তুলে।১৩ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দেয়া হলো।পরে তাদেরকে চালান দেয়া হলো।"
পরের দিন কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ছবিসহ প্রকাশ;অস্ত্রসহ ১৩ শিবির ক্যাডার গ্রেফতার।যেখানে অস্ত্রের নামগন্ধ পর্যন্ত নেই,সেখানে আবার চার্জশীটে উল্লেখ করা হলো ২ জনের ব্যবহ্রত টেবিলের ড্রয়ার থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
তাদেরকে প্রায় ৩ মাস থাকতে হয়েছে,এমনকি পবিত্র ইদুল ফিতর পর্যন্ত উদযাপন করতে হয়েছে কারাগারে।অভিবাবকগণের চোখের পানি অনেকের হ্রদয়ে আঘাত করেছে,কিন্তু শিক্ষিত ডাকাতরা ফোন করে অভিবাবকগণকে বলে মোটা অংকের টাকা দেয়া হলে রিমান্ডে নির্যাতন করা হবে না।
প্রায় ৩ মাস পর কোন দিন ২জন,কোন দিন ৩ জন এমন করে ১১ জনের জামিন দেয়া হলো।কিন্তু বাকী ২ জনের জামিন দিতে জজ অপারগ,কারণ তাদের ব্যবহ্রত টেবিলের ড্রয়ার থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে!!!
অনেক চেষ্টার পরে অবশেষে
২৫.১০.১০ তারিখে হাইকোর্ট থেকে বাকী ২ জনের জামিন নেয়া হলো।
২৭.১০.১০ তারিখে ব্যারিষ্টার সাহেব সবকিছু ঠিক করে জামিন নামা পোষ্ট করেছেন।
২৮.১০.১০ তারিখে কোর্টে খবর নেয়া হলো,কর্মকর্তা জানালেন কাগজ এখন পর্যন্ত আসেনি।
২৯,৩০ কোর্ট বন্ধ।
৩১.১০.১০ তারিখে দফায় দফায় কোর্টে খবর নেয়া হলো,কর্মকর্তা জানালেন কাগজ এখন পর্যন্ত আসেনি।
পুনরায় ব্যারিষ্টার সাহেবকে জিঝ্ঞেস করা হলো, কাগজ না আসার কারণ কী ?তিনি বললেন এমনটি হোয়ার মত তো কোন কারণই নেই।তারপর তিনি একটি সিরিয়াল নম্বর দিয়ে বললেন,কষ্ট করে আপনি এক্ষুনি জেলার প্রধান ডাকঘরে গিয়ে খবর নেন।না হলে আজকে বাহির করতে পারবেন না।তখন বেলা ২ টা।খুব তাড়াতাড়ি করে ডাকঘরে যাৌযার পরে ডাক কর্মকর্তা সিরিয়াল নম্বর দেখিয়ে বললেন,২৮.১০.১০ তারিখই তো চিঠি কোর্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুনরায় কোর্টে এসে বিস্তারিত বলা হয়েছে।বলার পর কর্মকর্তা বলেন হয়তো বা কোর্টের অন্য কক্ষে দেয়া হয়েছে। বললাম ,আপনার কাছে যা এসেছে তা আমাদেরকে একটু কষ্ট করে দেখান। সবগুলো দেখলাম কিন্তু আমাদের কাগজ পেলাম না।আমার সাথের জন বলেন,নিজেই দেখেছেন বাস্তবেই কাগজ আসে নি।
পরবর্তীতে ৩/৪ টি কক্ষে খবর নেয়া হয়েছে।কোথাো আসে নি।পুনরায় ব্যারিষ্টার সাহেবকে জিঝ্ঞেস করা হলো, কাগজ না আসার কারণ কী ?তিনি বললেন অবশ্যই কাগজ আসছে ,আপনারা আবার ঐ কক্ষে খবর নিয়ে দেখেন। তার কাছে আবার বলা হলো ভাই যেভাবেই হোক কাগজটি দেখেন।প্রয়োজনে কিছু খরচ দেয়া হবে।বললেন,১ ঘন্টা পরে জেনে নিবেন।চলে আসলাম, মাত্র ১০ মিনিটের মাথায় ফোন করে বলেন,হ্যাঁ নিয়ে যান।কাগজটি আসছে।অথচ তখন কোর্ট শেষ।তবে তাকে ৫০০ টাকা দিতে হলো।এক পর্যায়ে বলল,হাইকোর্ট থেকে এটা ফোন করে কনফার্ম হতে হবে।মোবাইলে ব্যালেন্স নেই,৫০ টা টাকা পাঠান।৫০ টাকা পাঠানো হলো।ঐ শিক্ষিত ডাকাত তখন খুশীতে বলে আর কিছু করতে হবে না,আগামীকাল ০১.১১.১০ তারিখে ২ জন জেল থেকে বেরিয়ে যাবে।
০১.১১.১০ সকালে উকিল সাহেবের কাছে আবার ৫০০ টাকা চাোয়া হলো।টাকা দেয়ার পরে সে বলে আনুসাংগিক কাজ শেষ ।বিকেল ৪ টা বেরিয়ে যাবে।উকিল চলে যাোয়ার গর বলা হলো,১ টার পরে জেনে নিবেন সব ঠিক আছে কিনা ?তখন দুপুর ১২ টা।
নামাজ পড়তে হবে।তাই কোর্ট থেকে চলে আসা হলো।দুপুর ০১:৩৮ মিনিটে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম,কী অবস্হা ?অপর প্রান্ত থেকে বলা হলো,আজকে জামিন নাো হতে পারে।অনেক চেষ্টা করছি হাইকোর্ট থেকে কনফার্ম হতে পারছি না।পারলে মোবাইলে কিছু টাকা পাঠান আর এসে দেখা করেন।সাথে সাথে ৫০ টাকা পাঠালাম আর গিয়ে দেখা করলাম।
সে বলল,কিছুক্ষণের মধ্যে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট চলে যাবেন।হাইকোর্ট থেকে কনফার্ম হতে পারছি না।তাই স্যার থেকে সাক্ষর নিতে পারছি না।বললাম টাকা লাগলে টাকা দেব,একটা ব্যবস্হা করেন।৫০০ টাকা দেয়ার পরে হাইকোর্টে কোন ধরনের ফোন করা ছাড়াই চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট থেকে সে সাক্ষর নিয়ে আসল।পরবতীতে বলছে আমার পিোনকে ১০০টা টাকা দিলে ভালো হয়।অবশেষে তারা গতকাল জেল থেকে বের হল।
এগুলো কী এই সমাজের একেকটি শিক্ষিত ,লাইসেন্সধারী ডাকাত নয় ?
ভুক্তভোগীরা অসহ্য হয়ে মন্তব্য করেছে,পৃথিবীর কেউ তাদের ঠান্ডা করতে না পারলেো আল্লাহর জাহান্নামই হবে তাদের জন্য উচিত শিক্ষা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



