somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কিছু আজাব নামা...পর্ব-৮ (এ্যাফেয়ারের জন্য ইন্টারভিউ ও তরিকা)

০৭ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(এই পর্বটা প্রথম ৩টা পর্বের পরে হইবে)

তখনো আমার সাথে এ্যফেয়ার হয় নাই। মাগার আমার কাছে মাইয়াটারে মনে ধরছে। তার স্মার্টনেস, কথাবার্তা, চালচলন, অভার অল তার চেহারা আর বডি ফিগার তো দেখার মত... ভাবলাম কয়দিন ওর লগে একটু ঘোরাগোরি ফুর্তি করি.... এই একটু হালকা এ্যাফেয়ার আর কি....



কিন্তু সমস্যা হইল .... কিছুতেই সাহস পাই না... প্রেমের অফার দিতে যে কি পরিমান সাহস লাগে হেইডা টের পাইলাম....বুকটা শুধু কাপে..

দোস্তো গুরু রবিনরে জিগাইলাম কি করা যায়? রবিন কইল..টেনশন নিস না...চামে একদিন কইয়া ফেল... কাম হইয়া যাইব...

একদিন হটাৎ গম্ভীর হইয়া কইলাম..".একটা কথা বলতে চাই, ব্যাপারটা সিরিয়াস..."
জিগাইল, কি কথা?
"শোন তোমাকে আমার খুব ভাল লাগে..."
শুইন্যা কইল... "এই ধরনের সিনেমা টাইপ ডায়ালগ দেওয়ার মানে কি?"
আমি কইলাম.. 'কেন তুমি কি কিছু বোঝ না? সত্যি বলছি তোমারে আমর খুবই পছন্দ...'

হটাৎ গম্ভীর হইয়া কইল... "শোন তুমি কি কখনো আমার হাতে থাপ্পর খাইছ? একবার থাপ্পর খাইলে... বুজবা আমি কি জিনিস... আমার ক্লাসের একটা ছেলেকে এমন একটা থাপ্পর দিছিলাম... তারপর সেই ছেলেটা আর এই টাইপ কাথা বলার সাহস পায় নাই...যদিও সেই ব্যাপারটা ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান পযন্ত গিয়েছিল..."

আমি কইলাম... 'আমি কি তোমার ক্লাস ফ্রেন্ড? আমি তো তোমার বন্ধু...'
কইল.. তাইল তো আরো সহজ... তুমি থাপ্পর খাইয়া কাকে নালিশ করবা?
আমি কইলাম.. শোন আমি কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি...
কইল... "তোমার উচিৎ তোমার নিজের দিকটা দেখা... একটা কথা বলার আগে একটু চিন্তা করে কথা বার্তা বলবা.."
মানে ?
মানে হল .. "তুমি আমার থেকে অনেক ছোট... এই কথাটা কি ভূলে গেছ?"
কিছুক্ষন চুপ মাইরা থাইক্যা নরম গলায় কইলাম.. দেখ ব্যপারটা আমি জানি তবে.. আমার কাছে তোমাকে সত্যিই ভাল লাগে... আমি কি করব? দিনে দিনে ভাল লাগাটা বাইড়া যাইতাছে...

কলেজের প্রিন্সিপালের মত গম্ভীর ভাবে বলল... ভাল লাগলেই হবে না... বাস্তবতা বুজতে হবে.. তোমাদের এই একটা সমস্যা...

মনটা খারাপ হইয় গেল... কিছুক্ষন চুপ থাইক্যা আবার কইলাম... একটু ভেবে দেখবা... আমি উত্তরের অপেক্ষায় থাকব.../:)


লগে লগে একটা চিক্কর মাইরা .. কইল... এই ছেমড়া আমার কথা কানে যায় না...... তোর সাহস তো অনেক বেশী... এত শখ থাকা ভাল না.... এই রকম কারলে আমার পক্ষে তোমার সাথে বন্ধত্ব রাখা সম্ভব না....

এই কথা কইয়া লাইনটা কাইটা দিল..../:)
তুই তোক্কারি শুইন্যা রাগে দুক্ষে মনটা খারাপ হইয়া গেল... ভাবলাম.. আর ফোন দিমু না... যা শালা, কপালে যা আছে....
ফেনটা রাইখ্যা দেওনের পর কিছুতেই ঘুম আইতে ছিল না.... কারে ফোন দিমু বুজতেছি না...

প্রায় আধা ঘন্টা পারে একটা এস এম এস আইল.. তাতে লিখা... "Hello Saams sorry 4 my roude behavioure... "
আর যাই হোক এস এম আসাটা একটু ভাল লাগল... মনে হইল যেন কাটা ঘায়ে একটু মলম লাগল...

লগে লগে একটা রিপ্লাই দিলাম.. "Its ok.. ame na buje onek kotha bole felse... sorry again..i was fail 2 controlled my emotions.."
ওই রাতে আর কোন কিছুই হইল না....
পরদিন সকালে ভারসিটি থেকে ফিইরাই ফোন দিলাম... জিগাইল.. রাতে তোমার ঘুম ঠিক মত হইছিল...?
কইলাম .. কোন দিক দিয়া রাত যে পার হইয়া গেছে টেরই পাই নাই.....
শুইন্যা হাইস্যা দিল... কইল... "তুমি তো আমাকে সত্যি সত্যি ভালবাস না... এই ধরনের পাগলামী করবা না...."

আমি কইলাম.. আমি সত্যি ভালবাসি কি না, সেইটা তোমাকে আমি নিজে থেকে কইতে চাই না... যদি সত্যিই তোমার জন্য আমার ভালবাসা থাকে, কাজ করে, তা হলে সেটা একদিন তুমি নিজেই টের পাবা....
তখন একটু গম্ভীর হইয়া কইল... "এই কথাটা সুন্দর বলছ, একদিন তুমি নিজেই টের পাবা....টের পেলে তুমিও জানতে পাবা... সেই দিন আমার উত্তর পাবা..."

আমি অবাক হইয়া জিগাইলাম.. কিসের উত্তর?

কইল... যা তুমি জানতে চেয়েছ?
আমি একটু অবাক হইলাম... কবে পাব সেই উত্তর?
কইল.. "সময় হলে সবই জানতে পারবা.... ওয়েট এন্ড সি...."

তার পর বহুত দিন গেল গা... উত্তরের জন্য বহুত রিকোয়েষ্ট করছি...
খালি একটা কথা কয় আমাকে সময় দেও.....

কিসের সময় কার সময়? কিছুই বুঝি না... দোস্তো গুরু রবিনরে জিগাইলাম... রবিন বিজ্ঞের মত কইল... "আরে সামনে সুখব আইতাছে... অপেক্ষা কর...."

কইলাম.. আর অপেক্ষা করতে পারতাছি না.... দোস্তো কিচু একটা উপায় বাইর কর... রবিন কইল... চুপ কইরা ঝিম মাইরা পইরা থাক... পক্ষি খাচায় ধরা দিতাছে.... একটু ও নড়া চড়া করবি না... তাইলে পক্ষি উইড়া যাইব গা.... কয়দিন ওর লগে মন খারাপ কইরা কথা কইবি... জিগাইলে শুধু কইবি.. কিছুই হয় নাই... সব ঠিকই আছে... আর মন খারাপ থাকার মত ভাব মারবি...

রবিনের অনুমান খুবই প্রখর... এই ব্যাপার গুলা খুবই ভাল বুঝে... তাই ওর উপর ভরসা কইর চুপ মাইরা রইলাম...

রবিনের কথা ঠিক হইল.. রাতে জিগাইল.. মন খারপ ক্যান?
কইলাম.. কিছু না...

"কিছু না মানে... কিছু একট তো হয়েছে.. আমার কাছে বল... "

কইলাম...কই নাতো .. আমি ঠিকই আছি.... কিছুই হয় নাই....
কইল.. "তুমি আমার কেমন বন্ধু? সব কিছু আমার সাথে শেয়ার করতে পার না....?"

এই ভাবে ভাব মাইরা এক সপ্তাহ চালাইলাম...
ফোন করা কমাইয়া দিলাম... অল্প অল্প কথা কইতে থাকলাম... চুপ মাইরা, ঝিম মাইরা ল্যাটকা মাইরা পইরা থাকতাম....
দেখতাম খুব আদর কইরা আল্লাদ দিয়া কথা কইয়া আমার মন ভাল করার চেষ্টা করত...
আর আমি মনে মনে হাসতাম.... যাক দোস্তো রবিনের কথা ঠিক হইতাছে.... (গুরু রবিন তোমারে সেলাম...;))

এক দিন কইল.. "তোমাকে আমার কিছু বিশেষ বান্ধবীদের সাথে পরিচয় করে দিব। ওরা হল আমার খুবই স্পেশাল বান্ধবী।"
আমি বললাম খুবই ভাল কথা, আগে তো কখনো পরিচয় করে দেওয়ার কথা বল নাই.. হটাৎ কেন পরিচয় করাবা? কবে পরিচয় করে দিবা?

বলল, আমার বন্ধবীরা তোমাকে দেখতে চেয়েছে.... ওদের সাথে তোমার পরিচয় থাকা দরকার... খুবই তারাতারি দেখা করার ব্যবস্থা করব, দেখি ওরা কবে ফ্রি আছে। ওদের সাথে কথা বলে তোমাকে জানাব।

আমি কইলাম খুবই ভাল কথা, তোমার বান্ধবীদের সাথে পরিচয় থাকা দরকার। কখন আবার তোমার সাথে ক্যাচল লাগে তার ঠিক ঠিকানা নাই।
তখন কইল ব্যাপারটা সেই রকম না......
আমি বললাম মানে? তা হলে কি ব্যাপার?
বলল, "তোমাকে দেখার পর আমি তোমার ব্যপারে একটা সিদ্ধান্ত নিব। তাই ওদের সাথে দেখা করতে নিয়ে যাব। ওরা দেখলে তোমার ব্যপারে সব বলতে পারবে।"

এই কথা শুইন্যা খুশির চোটে আমি আর থাকতে পারি না.....মনে মনে কইলাম ওরা কি পীর যে আমারে দেইখ্যা আমার অতীত বর্তমান ভব্যিষ্যত কইয়া দিতে পারব....
আমি কইলাম.. এই এক কাজ কর না.. আজ বিকেলেই দেখা করার ব্যবস্থা কর...

কইল.. "না... একটু সময় লাগবে... চিন্তা ভাবনার ব্যাপার আছে...."

রাতে বইস্যা চিন্তা করতে লাগলাম...এ্যাফেয়ার হবে ওর লগে আর সিদ্ধান্ত দিব ওর বান্ধবীরা, এইটা কিমুন কথা... আর বান্ধবীরা যদি পছন্দ না করে....ব্যাপরটা কেমন কেমন জানি ইজ্জতে লাগতে লাগল... মনে হইল যেন এ্যাফেয়ার করনের লাইগ্যা ইন্টারভিঊ দিতে হইব... আজিব এই দুনিয়া...

পরদিন সকাল ১১ টায় হটাত ফোন দিল... জিগাইল.. তুমি কোথায়... কইলাম... ভার্সিটিতে... কইল. এখন কি বসুন্ধরাতে আসতে পারবা?
কইলাম.. যদি কবরে যাইতে কও তা ও যাইতে পারুম.. কখন আইতে হইব হেইডা...কও.....
তা হলে ১২টায় বসুন্ধরাতে চলে আসো.... একসাথে লান্চ করব...

১২টার সময় নাচতে নাচতে বসুন্ধরা গেলাম.. মাগার পকেট তো ফুটা.. তাই একটু ডরে ডরে ছিলাম... আগেই আজান দিয়া দিলাম.. কইলাম.. আইজ তুমি আমারে লান্চ করাইবা...
হাইস্যা দিয়া কইল... দাওয়াত যেহেতু আমি দিয়েছি.. সো সেই দায়িত্ব আমার....
লান্চ করাইয়া কইল. চল একটু ঘোরা ঘুরি করি... এক একট দোকানে ঢুকে আর সার্ট দেখে... জিগায় আমার পছন্দ হয় কিনা? আমি তো দেখি সর্বনাশ....এ কি কথা... আমার তো সার্ট আছে....
বলে আর না.. তেমন কিছু না... হাতে কিচু টাকা আছে তাই তোমাকে একট কিছু কিনে দেবার কথা চিন্তা করছি.... কিন্তু মাগার দেখি দামি দামি সার্ট দেখতাছে... এক একট সার্টের দাম.. ৩/৪ হাজার টাকা..
সার্টের দাম দেইখ্যা আমর মাথা ঘুরতাছে... এত দামী সার্ট আমি কখনো হাতাইয়া ও দেখি না...
কইলাম.. দেখ আমি সাধারন একটা মিডিল ক্লাস এর ফ্যামিলির লোক... এত দামি সার্ট আমার মানায় না... আর এত দামি সার্ট নিয়া আমি বাসায় কি কমু?
বাসায় ভাল কইরাই জানে এত দামি সার্ট কিনার ক্ষমতা আমার নাই..... আমরে বিপদে ফালাইবা না...

আমার কথা শুইন্যা কইল.." তোমাকে কি করে উপহার হিসাবে কম দামী সার্ট কিনে দেই?... আর দামী সার্ট পরে তো বড় বড় অনুষ্ঠানে যেতে পারবা... সেটা আরো সুন্দর হবে...."

কইলাম.. আমর কুনু বড়লোক দোস্তো নাই... বড়লোক বলতে এক মাত্র তুমিই আছে... আর তোমার কাছে আমি কোন কিছুই লুকাই না...

আমার কথা শুইন্য কইল.... "কোন কিছু লোকাও না বলেই তো তোমাকে আমি এত পছন্দ করি.... আমি সত লোক পছন্দ করি..." (পরে বুজছিলাম.এইটা কোন পচন্দের কথা কইছিল..;) )

যাই হোক বহুত দোকান দেইখ্যা একটা সার্ট কিইন্য দিল.... সার্টের দাম ছিল..৩৩৫০টাকা...
হাছা কথা হইল.. এত দামি সার্ট নিতে আমর খুবই লজ্জা লাগতাছিল.... এত দামি সার্ট আগে পরার কোন অভিঙ্গতা ছিল না...

লগে প্যান্ট ও কিইন্যা দিতে চাইছিল... লজ্জায় আর নিতে পারলাম না... কইলাম.. তুমি তো আমার কিইন্য ফ্যালইতেছ..... পরে আর আমি বাসায় যাইতে পারুম না..
জিগাইল.. ক্যান বাসায় যেতে পারবা না ক্যান?

কইলাম.. আমি তো তোমার কাছে বিক্রি হইয়া যাইতেছি... বিক্রি করা মাল কি মালিকের কাছে ফেরত যাইতে পারে?
শুইন্যা হাইস্য দিয়া কয়... "তোমাকে কে কিনবে? ভাল মানুষের ভাত নাই. এই দুনিয়ায়..."

সার্ট নিয়া বাসায় যাইতাছি আর ভাবতাছি... বাসায় কি কমু? যাই হোক.. বহুত চিন্তা কইরা... একটা ফন্দি বাহির করলাম... ষ্টিকারটা তুইল্যা ফেলাইলাম... আর বাসায় কইলাম.. ভাল জিনিস সস্তায় ১০০টাকায় পাইছি, তাই কিইন্যা আনলাম....

রাতে ফোন দিল কইল আগামী শুক্র বার তোমাকে আমার দুইটা ক্লোজ ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় করে দিব... রেডী থাকবা...
লগে লগে বুইজ্যা গেলাম.. সার্ট কিইন্য দেওনের মজেজা....

কইলাম.. আমি কি তুমার কিনে দেওয়া সার্টটা পইরা যাইতে পারুম?

হাইস্য দিয়া কয় ..''অবশ্যই... ওইটা তো সেই কারনেই তোমাকে কিনে দেওয়া....

কথাটা শুইন্যা নিজেকে অনেক ছোট মনে হইল... মনে লইল.. আমার কি একটা ভাল সার্ট নাই ওগো মত সমাজে যাওনের জন্য.... রাগের চোটে কইলাম.. আমি তুমার সার্ট পইরা যামু না.. আমার বাপের দেওয়া সার্ট পইরা যামু... দেখ চলব কিনা?

মাল বহুত চাল্লু কইল.. "তুমি যেটা ভাবছ ব্যাপরটা সেটা না... আজকে যদি এই সার্টটা তোমার মামা কিনে দিত তা হলে কি তুমি সেটা পরে যেতা না? তাহলে আমি কিনে দিলে সমস্যা কোথায়? আমি যেটা চাইছি, সেটা হল.. ভালএর মধ্যে আরো ভাল হোক... আমি জানি তোমার অনেক সুন্দর সন্দর সার্ট আছে... কিন্তু আর একটু বেশী সুন্দর হলে তাতে কি কোন অসুবিধা আছে? তুমি ব্যপারটা ভূল বুজো না... আমি অনেক খোলা মন নিয়ে তোমাকে সার্ট কিনে দিয়েছি.... ব্যপারটা একটু সহজ ভাবে দেখ.... "

তারপর ও মনটা কেমন জানি ছোট ছোট লাগতে লাগল...

রাতে রবিনের লগে আলাপ করলাম...ওই কইল.. তোর তো কপাল খুলছে.... ওই যদি তোরে পছন্দ না করত তাইলে... ওর ফ্রেন্ডদের সাথে পরিচয় ক্যান করাইয়া দিতাছে... ? আর ওই... ওর ফ্রেন্ডদের চোখে তোরে বড় বানাইতে চাইতাছে... সুতরাং এই বিষয়টা নিয়া রাগ করিস না.... সুযোগ সব সময় আসে না... ইজ্জত বেশী নিয়া চলিস না... যা করতে কইতাছে ঠিক ঠিক তাই কর....

বৃহষ্পতি বার রাতে ফুন দিল... বহুত তালিম দিল... কইল.. ওর বান্ধবীদের সাথে কি ভাবে দেখা করতে যাব, কি ড্রেস পরে যাব... কি ভাবে ওই খানে থাকব... ইত্যাদি হেন-তেন....

কইল.. আমি যেন কোন প্রকার জিন্সের বা কর্ডের প্যান্ট না পইরা যাই.. নো টি সার্ট.... ফুল স্লিভ সার্ট পরবা... ভাল হয় আমি যেটা কিনে দিয়েছি সেই সার্টটা....
আর বেশিক্ষন বসবা না... বলবা.. তোমার অন্য কাজ আছে....এই কথা বলে চলে যাবা... একটু ব্যস্ততা দেখাবে...
আর খাবারের বিল তুমি দিবা... বিল দেবার ব্যবস্থা আমি করে দিব... আমি জিগাইলাম... সেইটা কিভাবে?
কইল... ওরা দুজন এক সাথে আসবে ...আমরা দুজন এক সাথে যাব...যাবার সময়ই আমি তোমার কাছে কিছু টাকা দিব... সো নো টেনশন...
এই বার আমার ইজ্জতে লাগল... কইলাম.. আমি তোমার কাছ থেকে টাকা নিতে পারব না... তোমাদের ৩ জন মানুষকে খাওয়াতে আর কতই টাকা লাগবে... এই টাকাটা কি আমার নাই...

একটু চুপ মাইরা থাইক্যা কইল তাহলে এক কাজ কর.. যেহেতু তুমি আগে চলে যাবা তাই বিল পরে আমিই দিয়ে দিব...
এই বার মাইন্যা নিলাম.. কইলাম ঠিক আছে...

এর পর আমারে বিভিন্ন প্রোটকল সম্পর্কে সবক দেওন শুরু করল....কইল...

আর ভাল কথা, "হা করে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকবা না... কথা খুবই কম বলবা.. খুব মেপে মেপে কথা বলবা... খুবই পার্সনাল্টি নিয়ে কথা বলবা..."

আমি জিগাইলাম.. পার্সনাল্টি নিয়া ক্যামনে কথা কইতে হয়....
একটা চিক্কর দিয়া কইল.. এত কথা বল ক্যান? যা বলছি তা মন দিয়া শোন.... এটা তোমার জন্য খুবই গুরুত্ব পূর্ন।.....
তারপর কইল... আর চেষ্ট করবা... স্মার্ট ভাবে কথা বলতে....
আর একটা কথা.... ওই খানে তুমি আমার প্রতি খুবই আগ্রহ দেখাবা.. যাতে মনে হয় আমার প্রতি তোমার খুবই ভালবাসা আছে.... সেটা যেন প্রকাশ পায়.....

আমি হাইস্যা দিয়া কইলাম... তুমি তো আমারে ভালবাস না... এক তরফা ভালবাইস্যা কি লাভ? যে আমারে ভালবাসতে দেয় না তার জন্য আমি আর ভালবাসা দেখামু না...

আমার কথা শুইন্যা কইল... "এটা তোমার জন্যই ভাল... ওরা যদি তোমাকে পছন্দ করে তা হলে... তোমার জন্য সামানে সু খবর আছে...." :)

আমি কইলাম.. এ্যফেয়ার করুম তোমার লগে... আর পছন্দ করব.. ওই মাইয়্যারা... এইটা কিমুন কথা?

কইল.. সেটা না... আমার বন্ধবীদের তোমার দেখা দরকার আছে... আমি যা কারব ওদের মতামত এখানে থাকবে... সো যে টা বলছি সেটা করার চেষ্টা কর.... এখন মন দিয়া শোন আমি কি কি করতে বলতেছি.... (বুজলাম ডোমেনেটিং করার ব্যপারটা ভালই পারে....)

খেতে বসলে আমি কি খেতে চাই, কোনটাতে আমার আগ্রহ আছে, আমার পছন্দের খাবার কোনটা ইত্যদি আগে আগে বলে দিবা... মাঝে মাঝে একটু খাবার আমার প্লেটে তুলে দিবা... এটা নেও, ওটা নেও এই রকম অনুরোধ করবা। মিনারেল ওয়াটার গ্লাসে ঢেলে দিবা.... ড্রিংক্স কোনটা পছন্দ করি জান তো?
কইলাম আবার জিগায়... তুমি কোক পেপসি পছন্দ করা না... তুমি স্পাইট বা কালার লেস গুলা পছন্দ কর... ঠিক না..?

একটা মিষ্টি হাসি দিয়া কইল.. গুড.... তুমি তো দেখি আমার ব্যাপারে অনেক কিছু জানো...
পাম মাইরা কইলাম... যারে ভাল লাগে তার সব কিছুই আমার মুখস্থ।...

একটু মজা লাগাইয়া কইলাম, তাইলে এক কাজ করুম... আমি কমু যে তুমার বসতে অসুবিধা কি হইতাছে, অসুবিধা হইলে আমার কোলে উইঠ্যা বসো.... কেমন হইব...এইটা তো আরো বেশী মহব্বত প্রকাশ করব?

এই কথা শুইন্যা একটা চিক্কুর দিয়া উঠল কইল...... এত বেশী কথা বল ক্যান? রাস্তার চিপ ছেলেদের মত কথা বার্তা শুনতে আমার ভাল লাগে না..... যা বলি খুব মন দিয়া শোন, তোমারই মঙ্গল হবে...

ঝাড়ি খাইয়া মনটা খারপ হইয়া গেল... চুপ মাইরা রইলাম... মনে মনে ভাবতাছি... শালা আমারে তো দেখি কামের পুলা বানাইতেছে.... শালা দেখাই করুম না...

১ ঘন্টা ধইরা বিস্তারিত বয়ান দিল... কোন সময় কি করিতে হইব, কোথায় কোন কথা কইতে হইব... হেন তেন... ধূর বাল এই সব আর ভাল লাগে না... পুরা একটা কামের পুলা বানানোর ধান্ধা....

গুরু রবিনের লগে আলাপ করলাম... কইলাম দোস্তো আর যাই হোক এই রকম কামের পুলা বানানুর মধ্যে আমি নাই... এর মানে কি? আমার তো ইজ্জত কইয়া কিছুই থাকল না...
রবিন কইল... শোন.. ওই চাইতাছে তোর বিষয়টা ওর বান্ধবীদের কাছে বড় কইরা তুলতে... তোর যে সত্যিকারের আগ্রহ আছে এইটা যেন বান্ধবীরা বুজতে পারে.... তাইলে বান্ধবীরাও তোরে ভোট দিব... সুতরাং চান্স মিস করিস না... আরে বাল এই রকম একটা মাইয়া যদি আমারে পায়ে জুতা পরাইয়া দিতে কইত, তাইলে আমি তাতেও রাজি হইয়া যাইতাম... এই রকম একটা মাল বাগাইতে হইলে যা যা করতে হয় তা তা ই করবি.. সমস্য কি? খেয়াল রাখিস মাল কিন্তু কড়া...জিনিস... কুনু মতেই যেন হাতছাড়া না হয়....

ভাল লাগার মানুষটাকে বারে বারে মাল কওয়াতে খারাপ লাগল...কইলাম.. দোস্তো মাল কইবা না... কেমন জনি লাগে... দোস্তো হাইস্যা হয়... হুম.. এখন তো খারাপ লাগবই... ভাল লাগার জিনিস না...

তাতেও মনটা শান্ত হয় না। পরে আরেক বন্ধু রুমির লগে আলাপ করলাম... ওই ও একই কথা কইল... এইটা কোন ব্যপার না... মেয়েরা এই রকমই হয়... ওরা চায় এইটা দেখাতে যে একটা ছেলে তাকে প্রচন্ড ভালবাসে.... সেটা যেন প্রকাশ পায়.... তারপর কইল.. আরে মিয়া খেলা তো সবে শুরু এখন একটু হারো...হারতে থাকবা... তার পরে তো তোমার খেলা শুরু হইব... তখন আর তোমারে কেডা পায়.... শুধু কোপানি আর কোপানি... কইয়া দাত বাহির কইরা খেক খেক কইরা হাসতে থাকল.... আমি কইলাম... আজে বাজে কথা কইবি না.... বাল কোন কিছুই বুঝতাছি না.... রুমি অনেক বুজাইল..যেন মাথা গরম না করি....

কি আর করা... ঠিক আছে সিদ্ধান্ত নিলাম... যামু শুক্রবারে দেখা করতে, ইন্টার ভিউ দিতে....

মাগার শুক্রবার যাওনের টাইম থেকেই একটার পর একটা ক্যাচাল লাগতে থাকল... ইন্টার ভিউ দেওন আর পথের মধ্যের ক্যাচাল হেইডা একটা বড় ইতিহাস... আগামীতে কমু....

(অনেকে অভিযোগ করেন পর্ব গুলা নাকি বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আগামীতে পরবর্তী অংশ)


-------------------------------------------------------------------

(মনের কিছু দুক্ষের কথা কইতাছি.... কেউ কোন বাজে মন্তব্য করবেন না...যন্ত্রনা কিভাবে শুরু হইছে আইজ তার বয়ান দিমু.... ফান্দে পরি বগা কান্দে)

পুরাতন পর্বঃ

পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩

পর্ব-৫
পর্ব-৬
পর্ব-৭
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
৪৪টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×