২০১৭: স্বপ্নের সেতু
২০১৭ সালের এক ভোরে, ঢাকা থেকে মাওয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। পদ্মা নদী পার হওয়ার জন্য ফেরিঘাটে দীর্ঘ লাইন, কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ আর নদীর বুকে নির্মাণাধীন সেতুর পিলারগুলি আমার মনে দাগ কেটেছিল। সেই সময় সেতুটির নির্মাণকাজ দেখে মনে হয়েছিল, কবে যে এই সেতুটি তৈরি হবে আর মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে নদী পারাপার করতে পারবে।
২০২৪: স্বপ্ন সত্যে রূপান্তর
কয়েক বছর পর, ২০২৪ সালের অক্টোবরে আবারও মাওয়া যাত্রা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর, আমি মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে অতি দ্রুত নদী পার হয়েছি। আগের সেই দীর্ঘ অপেক্ষা, ধীরগতির যাত্রা, সব কিছুই এখন অতীত। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে নদী পার হয়ে গেলাম। এই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝলাম, কানেক্টিভিটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে।
পদ্মা সেতু: একটি পরিবর্তনের প্রতীক
পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতু নয়, এটি বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি প্রতীক। এই সেতু দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করেছে, অর্থনীতির বিকাশ ঘটিয়েছে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।
কিছু চিন্তার বিষয়:
যদিও পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জন্য একটি বড় অর্জন, তবুও কিছু চিন্তার বিষয় রয়ে গেছে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো এবং যানজটের সমস্যা এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সামনের দিন:
আমি আশা করি, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে যানজটের সমস্যা সমাধান করতে এবং সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবেন। এছাড়াও, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে আরও বেশি করে উন্নয়নমূলক কাজ করা উচিত, যাতে দেশের উন্নতি আরও ত্বরান্বিত হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



