ডার্ক সাইকোলজি হলো মানুষের মনের অন্ধকার দিক, অর্থাৎ মানুষের মনের এমন কিছু দিক যা সাধারণত লুকিয়ে থাকে এবং নেতিবাচক আচরণের দিকে পরিচালিত করে। এই ধরনের মনোবিজ্ঞান মানুষকে কীভাবে প্রভাবিত করে, কীভাবে তাদের মনোভাবকে পরিবর্তন করে এবং কীভাবে তাদের কাছ থেকে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করে, তা নিয়ে গবেষণা করে
ডার্ক সাইকোলজির কৌশল:
ডার্ক সাইকোলজিতে ব্যবহৃত কৌশলগুলো খুবই চতুর এবং প্রায়শই অসচেতনভাবে ব্যবহৃত হয়। কিছু উদাহরণ হলো:
* ম্যানিপুলেশন: অন্যকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চালানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা।
* সোশ্যাল প্রুফ: অন্যদের অনুকরণ করে নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার প্রবণতা ব্যবহার করা।
* স্কেয়ার্সি: কোনো কিছু সীমিত বা দুর্লভ বলে দেখানোর মাধ্যমে মানুষকে তা অর্জনের জন্য উৎসাহিত করা।
* অথরিটি: নিজেকে বিশেষজ্ঞ বা অধিকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে অন্যদের প্রভাবিত করা।
* রিসিপ্রোসিটি: অন্যের প্রতি ভালো করে যাওয়ার প্রত্যাশায় তাদের প্রতি ভালো করা।
ডার্ক সাইকোলজি ব্যবহার করে মানুষকে আয়ত্তে আনা:
ডার্ক সাইকোলজির কৌশল ব্যবহার করে মানুষকে নিজের আয়ত্তে আনা একদমই ভালো নয় এবং নৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া আইনগত অপরাধও হতে পারে।
আপনার জন্য কিছু পরামর্শ:
* সচেতন থাকুন: ডার্ক সাইকোলজির কৌশল সম্পর্কে সচেতন থাকুন। এতে আপনি অন্যদের কৌশল থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।
* আপনার অন্তর্দৃষ্টিতে বিশ্বাস করুন: যদি কোনো কিছু আপনার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়, তাহলে তা হতে পারে।
* অন্যের উপর বিশ্বাস করুন: ভালো মানুষের উপর বিশ্বাস করুন এবং তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
* নিজেকে ভালোবাসুন: নিজেকে গুরুত্ব দিন এবং আপনার স্বার্থ রক্ষা করুন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



