somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের অর্থ কি?

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জীবনের অর্থ কি? মাটির উপর শ্রেষ্ঠত্বের দাবী নিয়া হাইটা বেড়ানো দোপেয়ে প্রাণীগুলার উদ্দেশ্য কি? এইসব প্রশ্ন শুনতে দার্শনিক প্রশ্ন মনে হইলেও, এইগুলা আসলে প্রথার নিজস্ব সম্পদ। তাইলে প্রথার প্রশ্ন কি দার্শনিক হইতে পারে না? সেইটা ভিন্ন আলাপ। এইসব প্রশ্নের উত্তর দিয়াই প্রথা নিজের অস্তিত্ব টিকাইয়া রাখে। এবং যেহেতু এইগুলা মূলত প্রথার জিনিস, তাই বলা যায় এই প্রশ্নগুলা হাজার বছর ধইরা ব্যাডলি পৌজ করা হইছে, যেইখানে এইগুলার উত্তর মানুষের জীবনাচরণের মধ্যে ব্যপক প্রভাব ফালাইতে সক্ষম। আর যেহেতু ব্যাডলি পৌজ করা হইছে, তাই এইগুলার প্রভাবও হয় ব্যাড। খুবই ব্যাড।

তবে আমরা দোপেয়ে প্রাণীরা প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে বিবর্তিত হওয়ার এক ধরণের সক্ষমতা অর্জন করছি (আবার বলা যায় এই সক্ষমতা বরাবরই আমাদের ছিল)। সেইজন্যে আমরা চাইলেই এই প্রশ্নগুলার উত্তর যত ভিন্নই হউক না কেন তাতে সবাই সবগুলা উত্তররেই সমান ভাবে যাপন করতে পারি। অন্ততপক্ষে আমরা সবাই একটা কাজ খুব কমন হিসাবে ধইরা নিয়া করতে পারি সেইটা হইল, হিউম্যান ফ্লারিশিং এর জন্য যথাযথ কন্ডিশনগুলা তৈরি কইরা রাখা। চাইলেই এইটা আমরা পারি এর কারণ জীবনের উদ্দেশ্য নিয়া আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন ভিন্ন হইলেও জীবন যে আছে সেইটাতে আমাদের কারো কোন সন্দেহ নাই।

এখন এই কন্ডিশনগুলা তৈরি করার জন্যে কি কি করা দরকার? প্রথমেই আমাদের দোপেয়ে সন্তানগুলার হাইলি সফিসটিকেইটেড মগজগুলারে প্রথার দেখানো ভয় আর বিষাক্ত ঘৃণার বীজ দিয়া ভর্তি করা থাইকা নিজেদেরকে বিরত রাখা জরুরী। এই কাজটা করা কঠিন। কিন্তু কি করা, নিজেদের আপাত শ্রেষ্ঠত্ব ধইরা রাখার কথা চিন্তা কইরা হইলেও আপনারে এই কাজটা করতে হবে। সাথে আরও যেইটা করতে পারেন সেইটা হইল, ছেলে সন্তানগুলারে তাঁদের নারীদেরকে নিজস্ব ভবিষ্যৎ সম্পত্তি মনে কইরা কর্তৃত্ব খাটানোর মেন্টালিটি গ্রো করা থাইকা বিরত রাখা এবং মেয়ে সন্তানগুলারে নিজেরে পুরুষের সম্পত্তি মনে কইরা সাবমিসিব এটিটিউড গ্রো করা থাইকা বিরত রাখা। এবং সর্বোপরি, আপনে আপনার সন্তানদেরকে বলতেই পারেন যে জীবন হইল সেই জিনিস – যা শুরু হয় আশ্চর্যে এবং শেষও হয় আশ্চর্যে।

এপ্রিল ০১, ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×