জনগণ বিএনপি-জামাতের উপর বিরক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে ঠিকই; কিন্তু বাস্তবে পথে ঘাটে জনগণের সাথে মিশলে দেখা যায় তারা দুই দলের উপরই প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। অন্যদিকে ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে গেলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে। সেক্ষেত্রেও এতোদিনকার অভ্যস্ত মধ্যডান আর মধ্যবাম দলগুলির জোটভিত্তিক রাজনীতিতেও নতুন মেরুকরণ আসতে পারে। হয়তো সেটা নতুন কোন সেনা শাসকের হাতে ঘটবে নয়তো এর মধ্য থেকেই নতুন কোন দল উঠে আসবে। নতুন দল উঠে আসা মোটেও অসম্ভব কিছু না। বর্তমানে দেশে যেসব দল রাজনীতি করছে তারা সবাই কখনো না কখনো নতুন ছিলেন।
তাই ভাবছিলাম ব্লগে একটা থট গেইম খেলা যায় কিনা। একটা আধুনিক রাজনৈতিক দল একেবারে পুরোপুরি এ্যাকাডেমিক নিয়মকানুন মেনে, বাংলাদেশের আইন মেনে কীভাবে তৈরী হতে পারে তার একটা পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ব্লগে আলোচনা করতেই পারি। দলের নামটা খুব জরুরি না। সেটা ঠিক হতে পারে সবার শেষে বা ঐ নামে যদি আর কোন দল থেকে না থাকে। যেহেতু এইব্লগের পাঠক বা আলোচনাকারীরা এখনই কোন দল রেজিস্ট্রি করতে যাচ্ছি না সুতরাং থট গেমের আওতায় পরিকল্পনার যতটুকু পড়ে আমরা এখানে ততটুকু নিয়ে আলোচনা করতে পারি।
শুরুতে একটা খসড়া প্রস্তাবনা দিয়ে রাখি।
নতুন দলটি হবে জনপ্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্র, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক উন্নয়ণকে প্রথম বিবেচনায় রেখে মূলনীতি হিসাবে বিশুদ্ধ উদারতাবাদ এবং কেইনসিয়ান মডেলের মিশ্রঅর্থনীতিকে সমর্থন করবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি,সমাজতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, ইতিহাস ও দর্শন বিষয়ে ডিগ্রীধারীরা প্রাথমিক সদস্য হিসাবে অগ্রাধীকার পাবেন। দলটির প্রাথমিক আয়ের উৎস হবে নিজস্ব প্রকাশনা, সদস্য চাঁদা এবং বিশেষ বিবেচনায় গৃহীত ডোনেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কোন বিষয়ে অধ্যয়নরতদের মধ্যে যারা সমকালীন রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করতে চান তাঁদের জন্য দলটি বৃত্তির ব্যবস্থা করবে।
এরপর দলটিতে আর যা কিছুর প্রয়োজন হতে পারে আগ্রহীরা মন্তব্যের খাতায় যোগ করুন, আমি পরে আপডেট করে দিবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



