somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি নতুন রাজনৈতিক দল খোলা হবে। মতামত চাই।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জনগণ বিএনপি-জামাতের উপর বিরক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে ঠিকই; কিন্তু বাস্তবে পথে ঘাটে জনগণের সাথে মিশলে দেখা যায় তারা দুই দলের উপরই প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। অন্যদিকে ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে গেলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে। সেক্ষেত্রেও এতোদিনকার অভ্যস্ত মধ্যডান আর মধ্যবাম দলগুলির জোটভিত্তিক রাজনীতিতেও নতুন মেরুকরণ আসতে পারে। হয়তো সেটা নতুন কোন সেনা শাসকের হাতে ঘটবে নয়তো এর মধ্য থেকেই নতুন কোন দল উঠে আসবে। নতুন দল উঠে আসা মোটেও অসম্ভব কিছু না। বর্তমানে দেশে যেসব দল রাজনীতি করছে তারা সবাই কখনো না কখনো নতুন ছিলেন।

তাই ভাবছিলাম ব্লগে একটা থট গেইম খেলা যায় কিনা। একটা আধুনিক রাজনৈতিক দল একেবারে পুরোপুরি এ্যাকাডেমিক নিয়মকানুন মেনে, বাংলাদেশের আইন মেনে কীভাবে তৈরী হতে পারে তার একটা পরিকল্পনা নিয়ে আমরা ব্লগে আলোচনা করতেই পারি। দলের নামটা খুব জরুরি না। সেটা ঠিক হতে পারে সবার শেষে বা ঐ নামে যদি আর কোন দল থেকে না থাকে। যেহেতু এইব্লগের পাঠক বা আলোচনাকারীরা এখনই কোন দল রেজিস্ট্রি করতে যাচ্ছি না সুতরাং থট গেমের আওতায় পরিকল্পনার যতটুকু পড়ে আমরা এখানে ততটুকু নিয়ে আলোচনা করতে পারি।

শুরুতে একটা খসড়া প্রস্তাবনা দিয়ে রাখি।

নতুন দলটি হবে জনপ্রতিনিধিত্বশীল রাষ্ট্র, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক উন্নয়ণকে প্রথম বিবেচনায় রেখে মূলনীতি হিসাবে বিশুদ্ধ উদারতাবাদ এবং কেইনসিয়ান মডেলের মিশ্রঅর্থনীতিকে সমর্থন করবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি,সমাজতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, ইতিহাস ও দর্শন বিষয়ে ডিগ্রীধারীরা প্রাথমিক সদস্য হিসাবে অগ্রাধীকার পাবেন। দলটির প্রাথমিক আয়ের উৎস হবে নিজস্ব প্রকাশনা, সদস্য চাঁদা এবং বিশেষ বিবেচনায় গৃহীত ডোনেশন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কোন বিষয়ে অধ্যয়নরতদের মধ্যে যারা সমকালীন রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করতে চান তাঁদের জন্য দলটি বৃত্তির ব্যবস্থা করবে।

এরপর দলটিতে আর যা কিছুর প্রয়োজন হতে পারে আগ্রহীরা মন্তব্যের খাতায় যোগ করুন, আমি পরে আপডেট করে দিবো।
২৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×