মৃন্ময়ীকে। প্রথম দেখেছি "গল্পগুচ্ছে"
তখন আমি আট ক্লাসে পড়ি।"রাখাল " হতে খুব ইচ্ছা করত।মনে মনে নিজেকে "রাখাল " ভেবে নিতাম। অপূর্ব না…রাখাল ।
দ্বিতীয়বার যখন মৃন্ময়ীকে দেখি, তখন আমি এইচ এসসিতে।লেখা পড়া যে খুব একটা কাজের জিনিষ না, ততদিনে এটা বেশ বুঝে ফেলেছি।বুদ্ধিমানের মত তাই সব ছেড়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি।মৃন্ময়ীকে দেখে আমিতো অবাক। কি সুন্দর হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলে।স্যাররা যখন তখন মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।আমার চোখের সামনে কঠিন ছাত্র ইশতিয়াকের সাথে Iর জটিল প্রেম হয়ে গেল। আমি চেয়ে চেয়ে দেখেছি আর আফসোসে পুড়েছি, "কেন লেখা পড়া ছাড়লাম"?তার পর থেকে নিজেকে ইশতিয়াক ভেবে শান্তি পেতাম।
তৃতীয়বার মৃন্ময়ীকে দেখেছি এইতো সেদিন। তখন আমি থার্ড ইয়ারে। কি মিষ্টি মেয়ে!ঝকঝকে পাজেরো থেকে নামে। একগোছা চুল একটু পর পর চোখের উপর এসে পড়ে। আর মৃন্ময়ী বাম হাতে সেটিকে কানের পেছনে গুজে দেয়।দূর হতে চেয়ে চেয়ে দেখি। বুকে সুখের মতো ব্যাথা বাজে।আগের মৃন্ময়ীর কথা মাথায় রেখে লেখা পড়া ধরার চেষ্টা করলাম।ধুলো পড়া টেবিলে উদ্ধাস্তু বই-খাতারা অবশেষে প্রাণ পেল।কিন্তু… হা কপাল! অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়ে যায়।তৃতীয় মাস না গড়াতেই দেখি, অনার্স ভবনের দক্ষিণে রবিনের হাতে হাত রেখে বসে আছে মৃন্ময়ী।বুকটা কেমন ফাঁকা হয়ে গেল।তবে কেন যেন এবার আর নিজেকে রবিন ভাবতে ইচ্ছা করলনা।
তারপর আর কোন মৃন্ময়ী দেখিনি|আর খুঁজিওনি।
মৃন্ময়ীদের কথা আমি ভুলিনি।
কিন্তু… ভালবাসার কথা শুনলেই আমার মনে পড়ে রাখাল, ইশতিয়াক আর রবিনের কথা।
আমার খানিকটা কষ্ট হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



