কাবা ঘর ( বাইতুল্লাহ শরীফ )
সবাই তাওয়াফ করছে।
নীচে আরো কিছু বিবরণ দিলাম ................
(১) কাবা ঘরের গায়ে যেটা পর্দার মত দেখছেন সেটাই প্রবেশ দ্ধার।
(২) তার বাম কোনে আছে "হাজরে আসওয়াদ" যেখান থেকে তাওয়াফ শুরু করতে হয়। "হাজরে আসওয়াদ" তে চুম্বন করা সুন্নাত। আর যদি তাতে স্পর্শ ও চুম্বন করা অসাধ্য হয়, তবে হাত দ্ধারা ইশারা করতঃ "আল্লাহ আকবার" বলে তাওয়াফকারিদের সাথে চলতে হবে।
(৩) তার কয়েক হাত সামনে যে গোল্ড কালারের গোম্বোসের মত দেখছেন। তার নাম "মাকামে ইব্রাহীম" তাওয়াফ শেষে দু রাকাত নামাজ এখানে পড়তে হয় অথবা সেখান থেকে কিছু দুরে আর তা ও সম্ভব না হলে মসজিদের যে কোন জায়গায় পড়লেই হবে।
(৪) ডান দিকের যে তিনটা লাইট পোষ্ট, সেটা ছোট পাচির দিয়ে ঘেরা আছে। এই জায়গা হযরত ইব্রাহীম কর্তৃক তৈরীকৃত কাবা ঘরের পরিত্যক্ত অংশ।
(৫) আর যে কোনাটা দেখা যাচ্ছে না। তার নাম "রুকনে ইয়ামানী" মনে রাখবেন এটাকে চুম্বন করা সুন্নাত নয়। বরং ভির না থাকলে কেবলমাত্র ডান হাত দিয়ে স্পর্শ করবেন। আর স্পর্শ করার সময় বলবেনঃ- বিসমিল্লাহে ওয়াল্লাহো আকবার।
(৬) "রুকনে ইয়ামানী" থেকে "হাজরে আসওয়াদ" পর্যন্ত। যে জায়গাটা তাওয়াফ করার সময়, এই দোয়া পড়তে হয়। রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া............. ।
সবার সতর্ক থাকা দরকার এবং খেয়াল রাখা উচিৎ সুন্নাত প্রতিষ্ঠাকল্পে ফরজ কাজকে নষ্ট করা যাবে না। কোন ভাবে মুসলমানদের কষ্ট দেওয়া যাবে না।
আমার কিছু কথা...................
ভিরের মধ্যে কখনও "হাজরে আসওয়াদ" চুম্বন করতে যাবেন না। এতে অনেক অঘটন ঘটতে পারে। আমি নিজে একবার কয়েক বছর আগে "হাজরে আসওয়াদ" চুম্বন করে ফেরার পথে শুন্য মাটিতে কয়েক মিনিট ছিলাম। মানুষের চাপা-চাপিতে আর তাদের গায়ের ঘেশায় প্রথমে দুই হাতের মত পরে এক হাতের মত মাটি শুন্য উপরে উঠে যাই এবং এই ভাবেই কয়েক হাত দুরে চলে যাই, আর যখন পা আমার মাটি পায় তখন মানুষের চাপে আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তা হলে বুঝেন যারা বয়স্ক এবং একটু অসুস্হ্য তাদের কি হবে?
এইভাবেই তো লোক মারা যায় এবং যত অঘটন ঘটে "হাজরে আসওয়াদ" চুম্বন করতে এবং শয়তান থেকে পাথর মারতে গিয়ে। আর কালো কালো বড় বড় লোক (আফ্রিকান) বা পাকিস্তানী পুরুষ-মহিলা দেখলে (তাদের গায়ের জোর বেশী) এই সময় গুলিতে দুর দিয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
আমি আল্লাহর রহমতে প্রতি বছর ওমরা করতে যেতাম। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ১৫-১৬ ঘন্টা জার্নি করে। আল্লাহ কাছে আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাদের কে তৌফিক দান করে হজ্জ এবং ওমরা করার।
(১) বাইতুল্লাহ শরীফ
(২) কাবা ঘরের দরজা।
এক মানুষ সমান উচুতে তার অবস্হান।
দোয়া কবুলের একটা উত্তম জায়গা। তাই সবাই তা ধরে কান্না-কাটি করে দোয়া চায়।
(৩) গ্লাস দিয়ে ঘেরা এটাই মাকামে ইব্রাহীম।
এখানে তাওয়াফ শেষে দু,রাকাত পড়তে হয়, তার আসে-পাশে না পারলেও কিছু দুরে পড়তে হবে।
(৪) দু,তলা থেকে নেওয়া বাইতুল্লাহ শরীফ ( আমাদের সফরের এক বন্ধু)
দু মিনার এর মাঝ খান দিয়ে যে বিল্ডিং দেখা যাচ্ছে (শোনা কথা দুনিয়ার ২য় উচু ভবন এটা হবে)
(৫) রাতে মসজিদে নব্বী।
সামনের খোলা জায়গা
(৬) রাতে মসজিদে নব্বী।
(৭) মসজিদে নব্বী।
সামনের খোলা জায়গা
ইন্ডিয়ান আমাদের সফর সাথী
হাইড্রোলিক ছাতি দেখা যাচ্ছে, রোদ উঠলে তা খুলে দেওয়া হয়।
(৮) জান্নাতুল বাকির গেট থেকে তোলা ।
(আমাদের সফর সাথি)
(৯) জবলে নুর
(১০) জবলে নুর
(১১)জবলে নুর
(১২)জবলে রহমত (আমাদের এক সফর বন্ধু)
এইখানে আদম আর হাওয়া মিলিত হয়েছিল
(১৩) আরাফাতের ময়দান এবং মসজিদ
কিয়ামতের দিন সবাই এইখানে মিলিত হবে। যেই গাছগুলি দেখা যাচ্ছে, তা নিম গাছ। আমাদের দেশের সরকার প্রধান তা উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন, বলতে পারেন এটা আমাদের গর্ব সারা আরাফাতের ময়দানে এই নিম গাছ শোভা পাচ্ছে। হজ্জের সময় গাছ গুলোতে থেকে ঝরনা দিয়ে পানি ছিটানো হয়। আর মসজিদটা শুধু হজ্জের সময় খোলা হয়।
(১৪) হজ্জের সময় শয়তানকে পাথর মারার স্হান।
এটাকে আধুনিক এবং কয়েক তলা বিশিষ্ট করা হয়েছে।
রেল লাইনের কাজ চলতেছে মুযদালফা থেকে আরাফাত পর্যন্ত। সামনের হজ্জে তা চালু হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭