somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি ও কিছু কথা

২২ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন একটি খুবই সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে এই পদ্ধতি প্রণয়ন এর ফলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা কতটুকু বৃদ্ধি পাচ্ছে? আমার ব্যাক্তিগত মতামত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির পূর্বে প্রয়োজন শিক্ষকদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রেও একটি প্রশ্ন থেকে যায়। শিক্ষকরা কতটা সৃজনশীল? আমার দু'জন ছাত্র আছে তাদের কে পড়ানোর সুবাদে আমি ব্যাপারটি সম্পর্কে কিছুটা দুঃশ্চিন্তায় আছি।

সৃজনশীল পদ্ধতি বলতে যতটুকু বুঝেছি তা হল শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা যাচাই করা। তারা পাঠ্য বই -এর বিষয়বস্তু কতটা হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হয়েছে তা বিচার করা। এক্ষেত্রে পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন থাকবে সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের কোন ধারনা থাকবে না। তাদেরকে নির্দিষ্ট সিলেবাস থেকে প্রশ্ন করা হবে এবং তারা নিজেদের মত করে উত্তর পত্রে উত্তর লিখবে। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ করলাম সৃজনশীলতার নামে শিক্ষার্থীরা বাজারের নোট বই এর প্রতি বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। আর পাঠ্য বইয়ের বিষয়বস্তুতে কোন পরিবর্তন না আনায় শিক্ষার্থী এবং নোট বই প্রস্তুতকারীরা খুব সহজেই ধারণা করতে পারছে পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।

এবার আমার আরো একটি প্রশ্ন। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা কতটুকু লাভবান হচ্ছে? আমার জানা বিষয় থেকেই বলছি। চট্টগ্রামের একটি স্বনামধন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদেরকে নির্দিষ্ট করে বলে দেয় যে তোমরা অমুক গাইড কিনবে। অমুক গাইড থেকে না লিখলে নাম্বার দিব না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এতে শিক্ষার্থীরাও একদিক দিয়ে খুশি হয়। তারা ভাবে আরে ওই গাইড থেকে প্রশ্নত্তোরগুলো শিখলেইতো হল। সিলেবাসের সবকিছু পড়ার কি দরকার? কারণ শিক্ষকরাতো ওই গাইড থেকেই প্রশ্ন করবেন। সুতরাং এত পড়ে কি লাভ?

আমাদের দেশের শিক্ষা নীতি প্রণয়নকারীরা আসলে কি ভেবে প্রতি বছর নতুন নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন করেন তা আমি ভেবে পাই না। এই ধরনের পদ্ধতি প্রণয়নের আগে তাদের উচিত ছিল নোট বই বাজার থেকে তুলে দেয়া। তুলে দেয়া তো দূরের কথা সরকারী নিয়ন্ত্রনাধীন টিভি চ্যানেল বিটিভিতে তো ঘটা করে এসব নোট বই-এর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়।

আশাকরি আপনাদের মনে আছে প্রথম যখন গ্রেডিং সিস্টেম চালু করা হয়েছিল তখন গ্রেডিং সিস্টেম কি জিনিস এটাই অনেকে জানতেন না। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা এতই বাজে যে বলার মত না। একজন শিক্ষার্থী দেখা গেল ৬ষ্ঠ শ্রণীতে এক পদ্ধতিতে পড়াশুনা করল তো ৭ম শ্রেণীতে উঠে আরেক পদ্ধতি। আজকে আবার দেখলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নাকি ভেঙ্গে দেয়া হবে। শিক্ষা ব্যবস্থার নামে এই হয়রানি আর কতদিন?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×