(যারা ভূমিকা পড়তে চান না, কষ্ট করে ২য় ছবির নিচ থেকে পড়া শুরু করুন )
গত কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে কোরবানির চামড়ার দর অস্বাভাবিক নিম্নগামী । প্রতি বছর ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে চামড়া ব্যবসায়িদের একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দর নির্ধারণ করে দেয় এবং বানিজ্য মন্ত্রনালয় সেটায় সায় দিয়ে দেয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়াজাত দ্রব্যের দাম কমছে না, এরপরেও দেশের বাজারে ক্রেতারা কোরবানির চামড়ার দাম কমিয়ে দিচ্ছে। কুড়ি বছর আগে বাটার যে জুতার দাম ছিলো ৬৯৯ টাকা, এখন তার দাম ৩৪৯৯ টাকার মতো। অথচ দেশে কোরবানির চামড়ার দাম গত ৬/৭ বছর ধরে নিম্নগামী।
এ বছর কোরবানির চামড়ার দাম বর্গফুট প্রতি গত বছরের চেয়ে ৫ টাকা কমিয়ে ঢাকায় ৩৫-৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরের জন্য ২৮-৩২ টাকা ধরা হয়েছে। ছাগলের জন্য দর ১০-১৫ টাকা প্রতি বর্গফুট। এটা লবন মাখানো চামড়ার দাম; কাঁচা চামড়ার দাম আরো কম হবে। একটা গরুর চামড়া কুড়ি (ছোট) থেকে চল্লিশ (খুব বড়) বর্গ ফুট মতো হবে। সে হিসেবে একটা মাঝারি গরুর চামড়ার দাম হাজার টাকার কম হবে। নব্বইয়ের দশকেও এর চেয়ে বেশি দামে চামড়া বিক্রি হয়েছে।
যদি এই নির্ধারিত দামেও চামড়া পাওয়া যায় তবে তাও ভালো, কেননা গত বছর কোরবানির চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেকে মাটিতে পুঁতে ফেলেছেন বা রাস্তায় ফেলে দিয়ে গেছেন। ছাগলের চামড়া ১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্টার কাবাব বা আল রাজ্জাক হোটেল বা রাব্বানি হোটেলে এক কাপ চায়ের দাম ২০ টাকা। কোরবানির চামড়া বিক্রির টাকার হকদার গরিব মিসকিন লোকজন। এদের পক্ষ নিয়ে কথা বলার লোক কম। দেশে দরিদ্র লোক আছে সরকার পারলে এটাতো অস্বীকারই করে। এদের অধিকার আদায় না হলে সরকার বা ব্যবসায়ী কার্টেল কারোই কিছু যায় আসে না।
কোরবানীর চামড়ার টাকা এবং ফেৎরার টাকা দিয়ে দেশের হাজার হাজার এতিমের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা হয়। চামড়া সংগ্রহের ক্ষেত্রে কওমি মাদ্রাসাগুলো বড় ভূমিকা রাখে। মাদ্রাসা গুলো এবছর বার বার অনুমতি চেয়েও ঈদের আগে খোলার অনুমতি পায় নি। ফলে মাদ্রাসাগুলো চামড়া সংগ্রহ করতে পারবে না। চামড়া সংগ্রাহকরা এবার ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার বড় সুযোগ পেয়েছে। সাধারণ মানুষ চামড়া সংরক্ষণ করে রাখবে না, দিনের শেষে যা পাওয়া যাবে, সেই দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হবে।
সরকার সরকারের কাজ করবে, ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ করবে। আমাদেরকে নিজেদের টা ভাবতে হবে। বাজারে যদি চামড়ার ক্রেতা না থাকে, যদি দাম না থাকে তবে চামড়া রাস্তায় ফেলে না দিয়ে বা পুতে না ফেলে বিকল্প কি করা যায় তা নিয়েই এই পোস্ট।
নিজে কিভাবে অল্প খরচে কাঁচা চামড়া ব্যবহার উপযোগি করবেনঃ
ক) সহজ পদ্ধতি
কি লাগবে? চামড়া, কিছু লবন (২-৪ কেজি), নাইলনের সুতা এবং সুই , শ্যাম্পু মিনি প্যাক (১/২টা), ড্রামে কিছু পানি, আনুমানিক ২-৩ ঘন্টার পরিশ্রম, ১ সপ্তাহ মতো সময়।
পদ্ধতি-
১) যারা চামড়া ছাড়ান তাদের দিয়ে খুব ভালো করে চামড়া থেকে সব মাংস এবং চর্বি ছাড়িয়ে নিন। মনে রাখবেন, মাংস লেগে থাকলে এটা পরে পচে দুর্গন্ধ ছড়াবে, ঐ জায়গার চামড়া পচেও যেতে পারে। এছাড়া ঐ মাংস খুব ভালো করে শুকিয়ে গেলেও ঐ জায়গায় পিঁপড়া বা মাংসখেকো পোকা আক্রমন করতে পারে। এজন্য চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব মাংস-চর্বি-পর্দা এটা ছাড়িয়ে নিতে।
২) কোরবানির দিন সকলের ব্যস্ততা থাকে। আপনারও ব্যস্ততা থাকতে পারে।ব্যস্ততা থাকলে চামড়া মাটিতে বা সমতল মেঝেতে বিছিয়ে নিন। পশম ওয়ালা দিক নিচে থাকবে। উপরের কাঁচা দিকটাতে আনুমানিক আধা সেন্টিমিটার থেকে এক সেন্টিমিটার (আঙুলের গিরার আধা গিরা বা এর কিছু কম) পরিমান লবন ছড়িয়ে দিন।
ঈদের আগে বাজারে প্রচুর সাধারণ লবন বিক্রির জন্য পাওয়া যায়। এটা আয়োডিন মেশানো না। এর দাম আয়োডিন মেশানো লবনের চেয়ে অনেক কম। এটা ব্যহার করাই ভালো। সাধারণ লবন না পাওয়া গেলে আয়োডিন মেশানো লবন ব্যবহার করা যাবে। উপরের ছবি দেখুন। লবন দিতে কার্পন্য করলে চামড়া পচে যেতে পারে।
লবন ছড়ানোর পর চামড়াটা কাপড় যে ভাবে ভাজ করে আলমারিতে রাখে সে ভাবে ভাজ করে ঠান্ডা শুকনো কোনো জায়গায় রেখে দিন। অথবা সংকোচ না থাকলে- লবন ব্যবহার না করে, একটা পলিথিনে মুড়ে ডিপ ফ্রিজে রাখতে পারেন। এভাবে চামড়া দু-তিন মাসও রেখে দিতে পারবেন।
২ নম্বর স্টেপের উদ্দেশ্য হলো যাতে কাঁচা চামড়ায় পচন না ধরে।
ঈদের দিন আপনার ব্যস্ততা না থাকলে দুই নম্বর স্টেপের দরকার নেই । সরাসরি তিন নম্বর স্টেপে চলে যান।
৩) চামড়া লবন মাখানো থাকলে লবন ঝেড়ে নিন। ফ্রিজে রাখা থাকলে চামড়া রুম টেম্পারেচারে আনুন। একটা বালতিতে কিছু পানি নিন। শ্যাম্পু গুলে নিন । চামড়াটা মিনিট পনেরো ধুয়ে নিন। সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুতে পারেন। তবে সাবান বা ডিটারজেন্টের পিএইচ চামড়ার মানের কিছুটা ক্ষতি করতে পারে। ধোয়া হলে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন। এর পর একটা কাপড় নেড়ে দেয়া তারে কিছুক্ষনের জন্য ঝুলিয়ে রেখে চার নম্বর স্টেপের প্রিপারেশন নিন।
চামড়া ধোয়ার উদ্দেশ্য হলো লেগে থাকা রক্ত, ধুলোবালি ইত্যাদি পরিস্কার করা।
৪) সুই দিয়ে চামড়ার চার ধার দিয়ে ছোট ছিদ্র করে নিন। সুতা দিয়ে টেনে টান টান করে কোনো কাঠের ফ্রেমে বা দুই গাছের মাঝে টাঙিয়ে দিন। এভাবে চামড়া রোদে শুকাবেন। দুই-তিন-চারদিন রোদে শুকাতে হবে।
মনে রাখবেন, চামড়া শুকালে এতে টান পড়ে। এজন্য টাঙানোর সময় টান টান করে দিতে হবে না হলে চামড়া কুচকে যেতে পারে। টান ধরবে বলে নাইলনের শক্ত সুতা দরকার। সাধারণ সুতা ছিড়ে যেতে পারে। সুতার বিকল্প হিসেবে তারের গুনাও ব্যবহারকরতে পারেন।
শুকিয়ে গেলে চামড়া আপনার ব্যবহারের জন্য তৈরী। এটা জায়নামাজ হিসেব ব্যবহার করতে পারেন, মাদুর বা বিছানা হিসেব ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালে ঝোলাতে পারেন। জানালার পর্দা করতে পারেন । আরো অনেক কাজেই ব্যবহার করা সম্ভব।
এভাবে সংরক্ষণ করা চামড়া খুব শক্ত। কয়েকদিন পর চামড়া থেকে পশম উঠতে থাকবে। এই চামড়া সেলাই ইত্যাদির জন্য কম উপযোগী। আপনি যদি নরম, পশম যুক্ত চামড়া চান, তবে ২য় পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন।
খ) অপেক্ষাকৃত কঠিন পদ্ধতিঃ
কি লাগবে?
লবন, শ্যাম্পু, ফিটকিরি, কয়েকটা ডিম, স্পঞ্জ বা পুরাতন মোজা ইত্যাদি।
ঘাবড়াবার কিছু নেই। তেমন কঠিন না। প্রথম পদ্ধতির চেয়ে কয়েক ঘন্টা সময় বেশী দিতে হবে, মোট দতিন সপ্তাহ লাগতে পারে।
১-৩ স্টেপ পালন করুন।
৪) একটি বালতি বা ড্রামে কিছু পানি নিন। প্লাস্টিকের ড্রাম হলে ভালো। পানির পরিমান এরকম হতে হবে যেন চামড়া ডুবে থাকে। প্রতি লিটারে আনুমানিক ১২৫ গ্রাম লবন এবং ১২৫ গ্রাম পরিমান ফিটকিরি গুলিয়ে নিন। অর্থাৎ কুড়ি লিটার পানি হলে আড়াই কেজি লবন, আড়াই কেজি ফিটকিরি লাগবে। একটা ড্রাম বা বালতিতে চাইলে একাধিক চামড়া ভেজাতে পারবেন।
৫) ফিটকিরি-লবন পানিতে গুলে গেলে চামড়া ডুবিয়ে দিন। চামড়া ভেসে উঠতে চাইলে একটা ইট বা পাথর দিয়ে চাপা দিতে পারেন।
এই ভাবে পাঁচ দিন চামড়া ডুবিয়ে রাখুন।
৬) পাঁচ দিন পর চামড়া তুলে পানি চেপে নিয়ে একটা ফ্ল্যাট সারফেস বা মেঝেতে পশমি দিকটা নিচে রেখে সাদা দিকটা উপরে রেখে চামড়াটা পরীক্ষা করে দেখুন। যদি কোনো চর্বি বা মাংস লেগে থাকে তবে হাতের চাপে তা তুলে ফেলুন। পর্দা জাতীয় কিছু থাকলে তাও তুলে ফেলুন। এগুলো চামড়ার সাথে থাকলে চামড়ার মান একটু কমে যাবে। এর পর পুনরায় চামড়া পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
৭) পাঁচ দিন পর আবার স্টেপ ছয় রিপিট করুন।
৮) আরো পাঁচ দিন পর স্টেপ ছয় রিপিট করুন, তবে পরিস্কার করার পর এবার চামড়া আর পানিতে ভেজাবেন না। চর্বি ইত্যাদি কিছু থাকলে তা সরানোর পর চামড়া পরিস্কার পানিতে কয়েকবার ধুয়ে নিন। চাইলে শ্যাম্পু করতে পারেন।
৯) ছায়ায় চামড়া শুকিয়ে দিন। পানি ঝরিয়ে নিতে হবে, তবে চামড়ায় আর্দ্র ভাব থাকতে থাকতে সরিয়ে নিন। খটখটে শুকনা করা যাবে না।
১০) কয়েকটা ডিম ভেঙে নিন (বড় চামড়ার জন্য এক ডজন লাগবে, ছোটো চামড়া হলে দু হালি হলে চলবে, ছাগলের চামড়ায় ২/৩তেই হবার কথা )। এর সাথে এক গ্লাস মতো পানি মিশিয়ে নিন। অথবা খাবার তেলও নিতে পারেন। চামড়াটা মেঝেতে বিছিয়ে এর পশম হীন অংশটাতে স্পঞ্জ বা মোজা বা খালি হাতে ডিমের মিশ্রন মিশিয়ে দিন। এক্সপায়ার্ড মেয়োনিজ বা নষ্ট ডিমও ব্যবহার করতে পারেন, এতে সমস্যা নেই। লক্ষ্য রাখবেন, পশমী দিকটাতে ডিম লাগাবেন না।
১১) কয়েক ঘন্টা পর ডিম শুকিয়ে আসলে আরেকটা কোট দিন । এভাবে দুই থেকে চারটা কোট দেবেন।
১২) ছায়ায় বা অল্প রোদে শুকিয়ে নিন। আমাদের দেশের তীব্র রোদে বেশি শক্ত হয়ে যেতে পারেন।
চামড়া প্রায় তৈরী। সমস্যা এই যে এই চামড়া কয়েকদিন পর আরো শুকিয়ে শক্ত হয়ে যাবে। এটাকে যদি নরম রাখতে চান তবে ১৩ নম্বর স্টেপ দেখুন।
১৩) চামড়া যাতে নরম থাকে এজন্য এটা দলাই মলাই করতে হবে। দুজন লোক দুই দিক থেকে এটাকে ধরে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ধরে টানাটানি করুন। কমপক্ষে আধা ঘন্টা, ভালো হয় এক ঘন্টা টানা টানি করুন। অথবা একটা বাশ বা কাঠের খুটির দুই দিকে চামড়া রেখে একা টানাটানি করা যায়।
এই ভিডিওটা দেখতে পারেনঃ
৫ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে ৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত চামড়া দলাই মলাইয়ের টেকনিক পাবেন।
এছাড়া ১মিনিট ৪৫ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ে উপরের ৬ নম্বর স্টেপও দেখানো আছে।
১৪) চামড়া রোদে শুকিয়ে নিন। গরুর চমড়া শুাকাতে ২-৪ দিন লাগতে পারে। যদি মনে করেন শুকানোর পর শক্ত হয়ে যাচ্ছে, তবে শুকানোর মাঝে বা শেষে (প্রয়োজনানুসারে) ১৩ নম্বর স্টেপ রিপিট করুন।
আপনার কোরবানির চামড়া প্রসেসিঙ প্রায় শেষ। এই চামড়া নরম হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে পানি লাগলে আবার শক্ত হয়ে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চাইলে ১৫ নম্বর স্টেপ পর্যন্ত যেতে পারবেন।
১৫) নরম ভেজা কাঠ দিয়ে ধোয়া যুক্ত আগুন তৈরি করুন। চামড়াটা দিয়ে কোন বা শঙ্কু মতো তৈরী করে আগুনটা ভালো ভাবে ঘিরে দিন। পশমি দিকটা বাইরে থাকবে, অপশমি দিকটা ধোয়ার দিকে থাকবে। এভাবে কয়েক ঘন্টা ধোয়া দিন।
এই ভিডিওর ৩ মিনিট থেকে ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখতে পারেনঃ
অপশনাল-- চামড়ার নিচের দিকটা খরখরে মনে হলে শিরিষ কাগজ দিয়ে ঘসে মসৃণ করতে পারেন।
চামড়া তৈরী হয়ে গেলো। এটা দিয়ে প্রয়োজন অনুসারে টেবিলম্যাট, শোপিস, কুশন কভার ইত্যাদি তৈরী করতে পারবেন। গত ঈদের পর আমি পর্দা-সোফার কাভার তৈরি দোকানে যেয়ে একটা সোফাসেটের কাভার বানানোর খরচ জানতে চেয়েছিলাম (আমার সোফা নেই, প্লাস্টিকের চেয়ার, চামড়ার বিষয়টা মাথায় রেখে খরচ জানতে চেয়েছিলাম)। দোকানদার জানালো, সাধারন সোফাসেটে একটা তিন জনের বসার মতো সোফা এবং দুটা একজনের বসার মতো সোফা থাকে। আনুমানিক ১৫ গজ কাপড় লাগবে। কাপড় ভেদে মজুরি সহ খরচ ৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা লাগবে।
আপনি পাঁচটা গরুর চামড়া পাঁচ হাজারে পেয়ে যাবেন। ট্যানিঙে খরচ আরো দু হাজার (কম হবার কথা, ধরেছি লোক দিয়ে করাবেন, সেক্ষেত্রে মজুরি সহ)। সোফার সেলাইয়ের মজুরি তিন থেকে পাঁচ হাজার। এই খরচে আপনি সোফার লেদার কাভার পেয়ে যাবেন।
কোরবানির চামড়া বিক্রি করলে দাম গরিবকে দিয়ে দিতে হবে, ঐ টাকা নিজে ব্যবহার করা যায় না। তবে চামড়া নিজে ব্যবহার করা যায়। যারা একক ভাবে কোরবানি দিচ্ছেন, কোরবানির চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারেন। উত্তম হয় এর একটা দাম অনুমান করে গরীবদের দিয়ে দেয়া। যারা শরীকে কোরবানি দিচ্ছেন, শরিকদের সঙ্গে কথা বলে চামড়া টা কিনে নিয়ে এইভাবে প্রসেস করতে পারবেন।
কার্টেল তৈরিকারি চামড়া ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নৈতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১