তিন
‘কৃষ্ণবর্ণ এক নাগপুত্র নারান্তক আর গৌরবর্ণ এক কিরাতকন্যা তাতাকা দুজন দুজনকে ভালোবাসত। নারান্তক ছিল আঠার বছরের যুবক, আর তাতাকা ষোড়শী কন্যা। উঁচু পর্বতশ্রেণিতে কিরাত আর নাগদের জনপদ কাছাকাছি ছিল, মাঝখানে কেবল বিশাল এক পাহাড়। দুজনের প্রথম দেখা হয় সেই পাহাড়ের অরণ্যে, নারান্তক গিয়েছিল খরগোশ শিকার করতে আর তাতাকা ফল সংগ্রহ করতে। দুটো খরগোশ শিকার করার পর ক্লান্ত হয়ে বৃক্ষতলায় বিশ্রাম নিচ্ছিল নারান্তক, বিশ্রামের সময়ে গীত গাইছিল সে, খুব ভালো কণ্ঠ ছিল তার। তখন সেদিক দিয়ে ফল সংগ্রহের জন্য যাচ্ছিল তাতাকা আর তার সখিরা। নারান্তকের গীত শুনে থমকে দাঁড়ায় তারা, তাতাকা মুগ্ধ হয়। গীত গাওয়ার সময় হঠাৎ তাতাকা আর তার সখিদের দেখতে পায় নারান্তক। কিরাত কন্যাদের মধ্যে তাতাকা বেশ সুন্দরী, তার রূপ আর দীঘল কালো কেশ দেখে মুগ্ধ হয় নারান্তক। সেই তাদের প্রথম দেখা, একে অন্যকে দেখে মুগ্ধ হওয়া। তারপর থেকে দুজনই ঘন ঘন সেই পাহাড়ী অরণ্যে যেত, কথা না হলেও দুজনের দেখা হত, দুজনের ঠোঁটেই খুশির ঝিলিক দেখা যেত। একে অন্যকে দেখার জন্য দুজনেরই হৃদপাখিটা আকুলি-বিকুলি করত, ডানা ঝাঁপটাতো। তারপর থেকে তাতাকা সখিদের সঙ্গ এড়িয়ে কখনো কখনো একাই যেত অরণ্যে, আবার সখিদের সঙ্গে গেলেও কখনো কখনো সে ইচ্ছে করে দলছুট হয়ে পড়ত নারান্তককে অবলোকনের অভিলাষে। একজন আরেকজনকে একদিন দেখতে না পেলেই তারা উতলা হয়ে উঠত, নির্ঘুম রাত কাটত, হৃদয়ের অস্থিরতা দূর হত না যতক্ষণ না তারা একজন আরেকজনকে দেখতে পেত। এমনিভাবে কিছুদিন অতিবাহিত করার পর একদিন তাদের কথা হল, ভাব বিনিময় হল, গড়ে উঠল ভালোবাসার সম্পর্ক। দুজন-দুজনকে একটি দিনও না দেখে থাকতে পারত না। প্রথমদিকে তাদের এই ভালোবাসার কথা তারা দু-জন ছাড়া আর কেউ জানত না। ফল, কাঠ কিংবা খরগোশ সংগ্রহের কথা বলে দুজনে লুকিয়ে অরণ্যে দেখা করত দিনের পর দিন। কিন্তু একদিন তাদের ভালোবাসার কথা জানাজানি হয়ে গেল দুজনের স্বজাতির লোকেদের কাছে, হয়ত কেউ বা কারা নির্জন অরণ্যে তাদের শৃঙ্গারের দৃশ্য দেখে লোকালয়ে গিয়ে রটিয়েছিল।
কিরাতরা যেমনি দূর্ধর্ষ জাতি, তেমনি নাগ জাতিও খুব প্রভাবশালী এবং আত্মমর্যাদা সম্পন্ন। তারা কেউই ভিন্ন জাতিতে বিবাহ সম্বন্ধ করে না। ফলে দুজনকে নিয়ে দুজনের স্ব-জাতির লোকেরা বিচার করতে বসল। তাতাকা কন্যা বলে কিরাত সমাজপতিরা তাকে মারধর করল না ঠিকই, তবে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে প্রতিজ্ঞা করতে হল যে সে আর কখনো পাহাড়ে কিংবা অরণ্যে যাবে না, নাগপুত্রের সঙ্গে দেখা করবে না, আর তার এই অপরাধের দণ্ডস্বরূপ আগ্রহী এক কিরাত যুবকের সঙ্গে তার বিবাহের সম্বন্ধ পাকা হয়ে গেল, এক সপ্তাহ পর বিবাহ। প্রতিজ্ঞা করে এবং দণ্ড মেনে নিয়ে গৃহে ফিরল তাতাকা।
অন্যদিকে নাগদের সমাজপতিরা নারান্তকের বিচার করে দণ্ড নির্ধারণ করল যে তাকে সকলের সামনে নাকে খত দিতে হবে এবং প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে আর কোনোদিন সে কিরাতকন্যার সঙ্গে দেখা করবে না। নারান্তক দণ্ড মেনে নিয়ে নাকে খত দিল এবং প্রতিজ্ঞা করল। প্রবল অপমানে ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়ে সে গৃহে ফিরল।’
এই পর্যন্ত বলার থামেন কুথান; তার সামনে উপবেশিত বানর জাতির নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নানা বয়সী লোকের চোখ ছলছল করে ওঠে। বানরা অনার্য জাতি; অঙ্গবর্ণ কৃষ্ণ, আকৃতিতে খর্বকায়। তারা শিল্পকলা কিংবা নির্মাণবিদ্যায় খুব পারদর্শী আর ভীষণ পরিশ্রমী জাতি। সুদৃশ্য গৃহ নির্মাণ করত পারে, পাহাড়ের পাথর কেটে গুহা কিংবা মনোরম বাসগৃহ নির্মাণ পারে; সুবর্ণ, রৌপ্য এবং বৈদূর্যমণিসহ নানা প্রকার রত্ন দ্বারা গহনা প্রস্তুত করতে পারে; মৃত্তিকা, পাথর ও তাম্র দিয়ে গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের সামগ্রী তৈরি করতে পারে। বানরদের একজন গোত্রপতি থাকে; সাধারণত কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা, সততা ইত্যাদি দেখে অভিজ্ঞ প্রবীণ বানরগণ কোনো মধ্যবয়সীকে গোত্রপতি নির্বাচন করে থাকেন। গোত্রের সকলের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব গোত্রপতির আর সকলেই তাকে মান্য করে। কোনো গোত্রপতির মৃত্যু হলে বা বয়স বেড়ে গেলে তখন নতুন কাউকে গোত্রপতি নির্বাচন করা হয়। বানরদের এখনকার গোত্রপতির নাম অলায়ুধ; অলায়ুধ প্রজ্ঞাবান মানুষ আর নির্মাণবিদ্যায় দারুণ দক্ষ। গৃহনির্মাণ বিদ্যা হোক কিংবা হোক কোনো মৃৎ শিল্প নির্মাণ, অলায়ুধ নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন করতে পারেন। বানরজাতির বাইরেও অন্যান্য জাতির মধ্যে তার নির্মাণবিদ্যার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় বছর পঞ্চাশের অলায়ুধ গল্পকথন আসরের সামনের দিকে উপবেশন করে কুথানের গল্প শোনায় মগ্ন। কুথানের সঙ্গে অলায়ুধ এবং বানরজাতির অন্যান্য লোকেদের খুব ভালো সম্পর্ক। কুথান আর্য এবং তার গাত্রবর্ণ গৌর হলেও খর্বকায় কালো বানররা তাকে নিজেদেরই একজন মনে করে, ভালবাসে।
কুথানের সামনে দু-দিকে দুটো ছোট ছোট মশাল জ্বালানো, মৃদুমন্দ বাতাসে ঈষৎ কম্পমান আলোর ঔজ্জ্বল্য সরস্বতীর ঢেউয়ের মতো উছলায় কুথান এবং আসরের সামনের দিকে উপবেশন করা লোকেদের মুখে। কুথান তার সামনে রাখা জলভরা মৃৎপাত্র হাতে নিয়ে জল পান করেন, তারপর আবার গল্প বলতে শুরু করেন-
‘বিচারের পরদিন থেকে তাতাকা শুধু কাঁদত আর মনমরা হয়ে বসে থাকত, গৃহের বাইরে বের হতো না, ঠিক মতো আহার করত না, স্নান করত না, শরীরের যত্ন নিত না; আর নারান্তক বলি দেওয়া পশুর মত কেবল ছটফট করত, কোনো কাজে তার মন বসত না। ইচ্ছে থাকলেও দুজন-দুজনকে দেখার জন্য পাহাড়ে যেতে পারত না। ওদিকে তাতাকার বিবাহের দিন ঘনিয়ে আসছিল। দুশ্চিন্তায় দুজনের ঘুম হত না, শরীর শুকিয়ে যাচ্ছিল তাদের, চোখ কোটরে চলে গিয়েছিল।
তাতাকার বিবাহের দিন প্রভাতকালে পরিবারের লোকেরা তাকে খুঁজে পেল না, বসতি এবং বসতির বাইরের অরণ্য-পাহাড়ে খুঁজে না পেয়ে কিরাতরা ভাবল- নারান্তক হয়ত রাত্রিবেলা তাদের কন্যাকে নিয়ে গেছে। নাগপুত্রের স্পর্ধার উচিত শিক্ষা দিতে অস্ত্র-লাঠিসোটা নিয়ে তারা ধাবিত হলো নাগ-বসতির দিকে।
অন্যদিকে একইদিন প্রভাতকালে নাগরাও নারান্তককে খুঁজে পেল না, নারান্তককে না পেয়ে নাগরা বিচলিত ছিল, তার ওপর কিরাতদের অকস্যাৎ আক্রমণে তারা হতবিহ্বল হয়ে পড়ল। তবু তারা কিরাতদের আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করল। কিন্তু যুদ্ধকুশলী কিরাতদের সঙ্গে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না। কিরাতরা অকাতরে নাগদেরকে প্রহার করতে লাগল, গৃহস্থালির জিনিস-পত্র ভাঙচুর করল, গৃহে অগ্নি প্রজ্জ্বলন করল। দু-পক্ষেরই রক্ত ঝরতে লাগল, আহত হয়ে অনেকে কাতরাতে লাগল, কারো কারো প্রাণ ক্ষয় হলো। দু-পক্ষে যখন এমন লড়াই চলছে তখন এক কিরাত যুবক সংবাদ নিয়ে এলো, যে কিনা প্রভাতে পশু শিকার করতে বেরিয়েছিল পাহাড়ে, জানাল যে নারান্তক এবং তাতাকা দুজনকেই সে দেখেছে পাহাড়ের অরণ্যে! লড়াই ছেড়ে কিরাতরা ছুটল যে যুবক সংবাদ নিয়ে এসেছিল তার সঙ্গে, কিরাতরা যদি নারান্তককে মেরে ফেলে সেই চিন্তা করে নাগরাও কিরাতদের সঙ্গে ছুটতে থাকলো তাদের পুত্রকে রক্ষার জন্য। যুবকটি যেখানে দেখেছিল নারান্তক আর তাতাকাকে সেখানে দুজনকে পাওয়া গেল না, না পেয়ে আশে-পাশে খুঁজতে লাগল হন্যে হয়ে। তারপর একসময় কিরাত আর নাগরা দেখল যে নারান্তক আর তাতাকা সকল অপমান, গঞ্জনা, ব্যথা-বেদনা পিছনে ফেলে একটা ফলন্ত বিভীদক বৃক্ষের একই শাখায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে, প্রাণহীন দেহ দুটি বাতাসে ঈষৎ দুলছে।’
গল্প শেষ, কুথানের চোখ ছলছল করে ওঠে, তার সামনে উপবেশিত শ্রোতাদের কারো কারো চোখের জলের বাঁধ ভেঙে যায়, তারা পরিধেয় বস্ত্র কিংবা উত্তরীয় দিয়ে অশ্রু মুছতে থাকে। হঠাৎ আসরের মাঝখানে উপবেশিত একজন মধ্যবয়সী পুরুষ হাউ হাউ করে কেঁদে উঠে লোকের মাঝখান দিয়ে কুঁজো হয়ে হেঁটে এসে কুথানের সামনে হাঁটু মুড়ে হাতজোড় করে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে বলে, ‘আমায় ক্ষমা করে দাও গোঁসাই। আমার ভুল হয়ে গেছে, আমার পুত্র নমুচি ময়’র কন্যা নিকষাকে বিবাহ করতে চাইলে আমি নিষেধ করেছি, পুত্র আমার কথা অমান্য করেনি বটে, কিন্তু আমি বুঝেছি পুত্র ভারী কষ্টে আছে, আমি পিতা হয়ে আমার পুত্রকে কষ্ট দিয়েছি। আমার অন্যায় হয়েছে গোঁসাই, আমি নিকষার সঙ্গেই নমুচির বিবাহ দেব।’
লোকটিকে চেনে কুথান, নাম- সুবাহু; মৃৎশিল্পের কাজ করে, খুব পরিশ্রমী আর বেশ দক্ষ।
আসরে বসে এতক্ষণ গল্প শুনছিল সুবাহু’র স্ত্রী-সন্তানেরা, সুবাহু’র কান্না দেখে তার স্ত্রীও কেঁদে উঠে, পিতা-মাতার কান্না দেখে নমুচিও নীরবে চোখে জল ঝরায়। নিকষা আর ওর পরিবারের লোকজনও আসরে আছে, আনন্দে তাদেরও চোখ ভিজে যায়। নমুচি এবং নিকষা উভয়েই বানরজাতির সন্তান, তবু নমুচির পিতা সুবাহু নিকষাকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে সম্মত হননি।
কুথান উঠে দাঁড়িয়ে সুবাহুকে ভূমি থেকে টেনে তুলে তার চোখে দৃষ্টি রেখে বলেন, ‘আপনি যে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কেন আপনি নমুচি আর নিকষার ভালোবাসা মেনে নিতে চাননি?’
সুবাহু বলেন, ‘ময় ছন্নছাড়া স্বভাবের, অতিশয় দরিদ্র, কর্মে অদক্ষ আর অলস। এজন্য আমি ওর কন্যাকে পুত্রবধূ করতে সম্মত হইনি।’
‘পিতার দোষে কন্যাকে দণ্ড দিতে যাচ্ছিলেন আপনি, সেই সঙ্গে নিজ পুত্রকেও! ভালোবাসা ধনী-দরিদ্র, জাতি-কর্ম-ধর্ম দেখে হয় না। আপনার সঠিক উপলব্ধির জন্য আবারও ধন্যবাদ। শীঘ্রই নমুচি আর নিকষার বিবাহের আয়োজন করুন, ওদেরকে সুখে-শান্তিতে সংসার করতে দিন। ওরা সুখে থাকলে পিতা হিসেবে আপনিও শান্তিতে থাকবেন।’
‘আমি তাই করব গোঁসাই, শীঘ্রই নিকষাকে পুত্রবধূ করে গৃহে তুলব।’
কুথান সুবাহুকে বুকে জড়িয়ে ধরেন, সুবাহু পুনরায় হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠেন।
কুথান যে-সব গল্প বলেন সে-সব গল্পের বেশিরভাগই হয় তার নিজ চোখে দেখা সত্য ঘটনা অথবা পুরাকালে ঘটে যাওয়া ঘটনা- যা তিনি কোনো আর্য দেবতা, মানব, দৈত্য-দানব অথবা অনার্য কোনো বৃদ্ধের মুখ থেকে শুনেছেন। তার এখনকার বলা গল্পটির কাহিনী সত্য, যা দু-বৎসর আগে ঘটেছে বিতলে।
কুথানের গল্প শুনে মানুষ কখনো হাসে কখনোবা কাঁদে। কখনো কখনো তিনি গল্পের মধ্যে তার বানানো চরিত্র ঢুকিয়ে তাকে দিয়ে অদ্ভুত সব কাণ্ড ঘটান মানুষকে আনন্দ দেবার জন্য। আবার কখনো-বা যা ঘটে, তার থেকে বাড়িয়ে বলেন যাতে লোকে কৌতুকবোধ করে। কেউ একজন হয়ত কাদায় পা পিছলে দু-হাত গড়িয়ে গেছে, তিনি বলেন- সাত হাত গড়িয়েছে! কেউ হয়ত বৃক্ষের পাঁচ হাত উঁচু শাখা থেকে লাফ দিয়েছে, তিনি বলেন- দশ হাত উচু শাখা থেকে লাফ দিয়েছে! তবে যাই হোক, তার গল্প শুনে লোকশিক্ষা হয়, অনেকেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে সুবাহু’র মতো ভুল শুধরে নেয়। অনেকে গল্পের কোনো মহৎ চরিত্রের মতো নিজের জীবন গড়ে তোলে বা তুলতে চেষ্টা করে। এজন্যই কুথান যখন যেখানে যে জাতির বসতিতেই আতিথ্য গ্রহণ করুন না কেন, সেই বসতির লোকেরা তাকে ছাড়তে চায় না। তার থাকার জন্য গৃহ দেয়, নানা পদ রন্ধন করে আহার করায়। এই যে কুথান নানা বসতি পরিভ্রমণ করে বেড়ান, এর জন্য কদাচিৎ তাকে মূল্য দিয়ে কোনো অতিথিশালায় থাকতে এবং আহার করতে হয়। তবু খরচের জন্য তিনি যাত্রার সময় নিজের বাটী থেকে গরু-মহিষ নিয়ে বের হন, পৈত্রিকসূত্রে তিনি অনেক গবাদীপশুর কর্তা, তার গবাদীপশুর দেখাশোনা করে তার ভ্রাতারা। পথে পণিদের নিকট গরু-মহিষ বিক্রয় করে তিনি মুদ্র সংগ্রহ করেন। কুথান একই বসতিতে বেশিদিন থাকতে চান না, তার ধারণা একই স্থানে বৎসরের পর বৎসর থাকলে জীবন সমৃদ্ধ হয় না, নতুন নতুন বসতি ও জীবন দেখা হয় না। তাই বসতি ও জীবন দেখার নেশায় কুথান ছুটে বেড়ান এক বসতি থেকে আরেক বসতিতে, মানুষ ও প্রকৃতির চরিত্র পাঠ করেন আর সমুদ্রের বুকের ঝিনুক থেকে মুক্তো তুলে আনার মতো গল্প তুলে এনে তা মানুষের মাঝে পরিবেশন করেন।
(চলবে........)