দশ
অনূকাকে দেওয়া কথা রাখতে কন্যাদের শাস্ত্রীয় এবং অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা দেবার জন্য আশ্রম নির্মাণ করে দিতে গিয়ে নৃপতি বেণকে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। অনূকা শাস্ত্রীয় শিক্ষা সমাপ্ত করেছে বিদূষী ঘোষার আশ্রম থেকে। ঘোষা ব্রহ্মাবর্তের প্রখ্যাত নারী ঋষি, শাস্ত্র সম্পর্কে তার জ্ঞান অগাধ, তার রচিত বেশ কিছু স্তোত্র ঋষি সমাজের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। ব্রহ্মাবর্তে তার মতো আরো বেশ কয়েকজন নারী ঋষি আছেন, যারা তাদের আশ্রমে কন্যাদেরকে শাস্ত্রীয় শিক্ষা দান করেন। ঘোষার আশ্রম ব্রহ্মাবর্তের উত্তর অঞ্চলে, সমগ্র ব্রহ্মাবর্ত তো বটেই; ব্রহ্মাবর্তের বাইরের সিন্ধু, বিতস্তা, বিপাশা, শতলজ, ইরাবতী, চন্দ্রভাগা প্রভৃতি নদীর পারের বিভিন্ন আর্য-বসতি থেকেও কন্যারা তার কাছে আসে শাস্ত্রীয় শিক্ষা গ্রহণ করতে।
ঘোষার আশ্রমে শাস্ত্রশিক্ষা গ্রহণের প্রারম্ভিককালে একদিন অপরাহ্ণে সখিদের সঙ্গে ঘুরছিল অনূকা, ঘুরতে ঘুরতে তারা আশ্রমের অদূরের কিরাত বসতির নিকটে চলে যায় আর দেখতে পায় যে পাহাড়ী টিলা কেটে তৈরি সমতল একটি মাঠে মধ্য ত্রিশের একজন কিরাত নারী অল্প বয়সী কন্যাদের অস্ত্রশিক্ষা দিচ্ছেন। আসলে সেটি একটি অস্ত্র প্রশিক্ষণশালা, যেখানে কিরাত কন্যাদের অস্ত্রশিক্ষা দেওয়া হয়। কিরাত নারীরা অস্ত্রবিদ্যায় খুব পারদর্শী হয়; তরোবারি, তীর-ধনুক, বর্শা, কিলকারী ইত্যাদি অস্ত্রব্যবহারে তারা খুবই দক্ষ। তবে তারা সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত কিলকারী ব্যবহারে, কিলকারীর সাহায্যে শত্রুদের দিকে তীব্র গতিতে পাথর নিক্ষেপ করতে পারে। কিরাত কন্যাদের অস্ত্রশিক্ষা গ্রহণ করতে দেখে অনূকারও ইচ্ছে জাগে অস্ত্র শিক্ষা গ্রহণের। ইচ্ছেটাকে বেশ কিছুদিন মনের মধ্যে গোপন রাখার পর একদিন সাহস করে সে জানায় বিদূষী ঘোষাকে, সেই বসতির কিরাতরা ঘোষার পরিচিত, তারা কখনোই ঘোষার আশ্রমের কোনো ক্ষতি করেনি, বরং ঘোষাকে শ্রদ্ধা করতেন। তারপরও ঘোষা দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন অনূকাকে অস্ত্রশিক্ষার অনুমতি দেবার ব্যাপারে। শেষ পর্যন্ত অনূকার পুনঃ পুনঃ অনুরোধে ঘোষা তাকে অস্ত্রশিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেন এবং সংবাদ পাঠিয়ে কিরাত অস্ত্র প্রশিক্ষণদাত্রী সেই নারী সাচীকে ডেকে অনুরোধ করেন অনূকাকে অস্ত্র শিক্ষা দেবার জন্য। সাচীও সম্মত হন অনূকাকে অস্ত্র শিক্ষা দেবার ব্যাপারে। ঘোষা প্রত্যহ অপরাহ্ণে দুই দণ্ড সময় নির্ধারণ করে দেন অনূকার অস্ত্রশিক্ষার জন্য। ঘোষার নিকট শাস্ত্রশিক্ষার পাশাপাশি অনূকা সাচীর পরিচর্যায় ধনুবিদ্যা, তরবারি, বর্শা এবং কিলকারী নিক্ষেপে দক্ষ হয়ে ওঠে।
তখন থেকেই অনূকা স্বপ্ন দেখত ভবিষ্যতে নিজে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে কন্যাদেরকে একইসঙ্গে শাস্ত্র এবং অস্ত্রশিক্ষা দেবার। কিন্তু বিপত্তি বাধে আশ্রম প্রতিষ্ঠার সময়, কন্যাদের একইসঙ্গে শাস্ত্র এবং অস্ত্রবিদ্যা শেখানোর কথা শুনে ব্রাহ্মণগণ হই হই করে ওঠেন! কন্যাদের শাস্ত্রশিক্ষার ব্যাপারে ব্রাহ্মণদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাদের অস্ত্রশিক্ষার ব্যাপারে আপত্তি তোলেন। ব্রাহ্মণদের যুক্তি নারীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র চালনা শিখলে, তারা সংসারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে পড়বে, স্বামী এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের সেবা করবে না, সন্তান জন্ম ও লালন-পালনের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়বে, আর যথেষ্ট সংখ্যক সন্তান উৎপন্ন না হলে জনসংকটে পড়বে মানবরা।
এমনিতে কিছু আর্য নারী আছে, যারা অস্ত্র চালনায় দক্ষ, দৈত্য-দানব কিংবা অনার্যরা আক্রমণ করলে তখন পুরুষের পাশাপাশি তারাও অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। কিন্তু এতদিন তারা অস্ত্র চালনা শিখত বিচ্ছিন্নভাবে পরিবারের পুরুষদের কাছ থেকে, সংসারের সকল কাজ শেষে অবসর সময়ে, তাও সকলে নেয়, কেউ কেউ। এভাবে আশ্রম নির্মাণ করে কন্যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অস্ত্রবিদ্যা শিখলে সংসারধর্ম উচ্ছন্নে যাবে বলে আশ্রম নির্মাণের বিরোধীতায় অটল থাকেন ব্রাহ্মণগণ।
অনূকা গুরুগৃহ থেকে নিজের জন্মন বহির্ষ্মতীতে ফিরে এসে স্বপ্ন পূরণের যাত্রা শুরুর পূর্বেই এভাবে বাধা পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে, সিদ্ধান্ত নেয় সে আবার ফিরে যাবে গুরুগৃহে, সেখানেই সে ঘোষার সঙ্গে কন্যাদের শাস্ত্রীয় শিক্ষা দেবে আর ঘোষাকে অনুরোধ করে অস্ত্রশিক্ষা দানের ব্যবস্থা করবে। নিজের বসতিতে নিজের গোত্রের মানুষের কাছে আর কখনোই ফিরে আসবে না। বেণ অনূকাকে বোঝান ধৈর্য ধরার জন্য, কিছুদিন সময় চান ওর কাছে। বেণ প্রথমে মনুকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে কন্যাদের শাস্ত্রীয় শিক্ষার পাশাপাশি অস্ত্রবিদ্যা শেখাও কতটা জরুরি, অস্ত্রবিদ্যা শেখা থাকলে নারীরা পুরুষের দ্বারা হেনস্থা কিংবা ধর্ষণের শিকার কম হবে, অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী নারী নিজেই প্রতিরোধ করে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে, দৈত্য-দানব কিংবা অনার্যদের সঙ্গে যুদ্ধকালে নারীরা পুরুষদেরকে সহায়তা করতে পারবে, শারীরিকভাবেও নারীরা অধিক সুস্থ থাকবে। মনু বেণের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন, বেণের যুক্তি মানেনও, কিন্তু ব্রাহ্মণ্য শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নারীদের অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষার ব্যাপারে কোনো ভূমিকা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মনুর গৃহ থেকে হতাশ হয়ে ফেরেন বেণ, মনে মনে ক্ষুব্ধও হন। বর্ষীয়ান মনু বৈবস্বতকে যেন চিনতে পারেন না তিনি! মহাপ্রলয়ের পরে এই বৈবস্বতই মানুষ আর পশু-পাখিকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, ব্রহ্মাবর্তের মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন, তারপর মনুর দায়িত্ব পেয়ে হাল ধরেছিলেন ব্রহ্মাবর্তের। তার পূর্বের মনুদের মতো তিনিও শাস্ত্রীয় অনুশাসন তৈরি করেছেন, কিছু সংস্কারও করেছেন। অথচ সেই দৃঢ়চেতা মনু এখন বার্ধক্যে এসে ব্রাহ্মণদের সকল বাক্য মেনে নেন, ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে একটি বাক্যও ব্যয় করেন না!
মনুর কাছ থেকে কোনো সাহায্য না পেয়ে বেণ তাঁর একজন বিশ্বস্ত দূত পাঠান স্বর্গে দেবী সরস্বতীর নিকট, বিনীত অনুরোধ করেন যাতে সরস্বতী ব্রহ্মাবর্তের কন্যাদের অস্ত্রবিদ্যা শেখার জন্য ব্রাহ্মণদের অনুমতি প্রদানের ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন। বেণ জানতেন যে দেবী সরস্বতী যদি কোনো ইতিবাচক বার্তা পাঠান তা অমান্য করতে পারবেন না ব্রাহ্মণগণ। স্বর্গের কন্যাদের শাস্ত্রবিদ্যা এবং সংগীতবিদ্যা শেখানোর আশ্রমের শিক্ষিকার পদের নাম সরস্বতী। শাস্ত্রবিদ্যা এবং সংগীতবিদ্যায় স্বর্গের শ্রেষ্ঠ নারীকে সরস্বতী পদের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এখন যিনি সরস্বতী পদে আছেন তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন গুণবতী এবং মহীয়সী নারী। তিনি শাস্ত্র এবং সংগীতবিদ্যা শিক্ষা দেওয়া ছাড়াও শিল্পকলার বিভিন্ন বিষয়ে কন্যাদের জ্ঞান দেন এবং আগ্রহী করে তোলেন। স্বর্গ তো বটেই ব্রহ্মাবর্তের যে-সব যুবক-যুবতী শাস্ত্র, সংগীত ও নৃত্যে খুব দক্ষতা অর্জন করে তিনি ঋষিদের মাধ্যমে তাদের জন্যও উপহার এবং প্রশংসা বার্তা পাঠান। সঙ্গত কারণেই বেণের দৃঢ় বিশ্বাস যে তাঁর আহ্বানে নিশ্চয় দেবী সরস্বতী সাড়া দেবেন। দূতের মুখে অনূকার আশ্রমের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে দেবী সরস্বতী ভীষণ খুশি হন এবং দূতের কাছে বার্তা পাঠান মনু এবং ব্রাহ্মণগণের উদ্দেশে, যাতে তারা কন্যাদের শাস্ত্রীয় এবং অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা দেবার জন্য অনূকার আশ্রম গড়ার ব্যাপারে কোনো প্রকার বাধা না দিয়ে বরং সহযোগিতা করেন। বেণকেও ধন্যবাদ জানান আর নিশ্চিন্তে অনূকার আশ্রম নির্মাণ করে দিতে বলেন।
দেবী সরস্বতীর কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে বেণ সরস্বতী নদীর কাছের নিচু একটি পাহাড়ের চূড়ায় মনোরম পরিবেশে আশ্রমের জন্য অনূকাকে দুটি গৃহ নির্মাণ করে দেন। একটি শিষ্যদের শাস্ত্র শিক্ষা দেবার জন্য, যেটির উপরে ছনের ছাউনি, চারদিকে কোনো বেষ্টনি নেই, উন্মুক্ত; অপরটি অনূকার থাকবার জন্য। অনূকার অনুরোধে বেণ একটি অশ্বও দান করেন যাতে কন্যারা অশ্বারোহণ শিখতে পারে। অনূকার নিজের একটি অশ্ব আর বেণের কাছ থেকে উপহার পাওয়া একটি, এই দুটি দিয়েই কন্যাদের অশ্বারোহন শেখায় সে। অনূকা তার কাকাশ্রী নৃপতি বেণের প্রতি কৃতজ্ঞ এমন সুন্দর একটি আশ্রম গড়ে দেবার জন্য। ওর পিতা-মাতা চেয়েছিলেন ওকে আগে বিবাহ দেবেন, কিন্তু ও সে-কথা কানে তোলেনি, ওর এক কথা, ‘আগে আশ্রমটি দাঁড় করাই, কন্যাদের যোগ্য করে গড়ে তুলি, বিবাহের জন্য জীবনের অনেক সময় পড়ে আছে।’
অনূকার আশ্রমে বালিকা ও কিশোরী মিলে বিশজন শিক্ষার্থী জুটেছে। প্রভাতকালে যোগ ব্যায়াম এবং শাস্ত্রীয় শিক্ষা গ্রহণের পর শিক্ষার্থীরা অশ্বারোহণ এবং অস্ত্রবিদ্যার প্রশিক্ষণ নেয়। যোগ ব্যায়াম এবং শাস্ত্রীয় শিক্ষা আশ্রমে শেখালেও অশ্বারোহণ এবং অস্ত্র চালনা শেখায় সরস্বতীর নদীর পারে।
অনূকার শারীর বেশ সুগঠিত এবং মজবুত, অনেক পুরুষের শরীরও এতটা সুগঠিত নয়। গুরুগৃহে থাকার সময় সে অস্ত্রবিদ্যা শেখার পাশাপশি যোগ ব্যায়াম ছাড়াও প্রচুর শরীরচর্চা করেছে, যার ফলে তার পেশী হয়ে উঠেছে শক্তিশালী। সে চায় তার শিষ্যদের শরীরও তার মতো সুগঠিত হোক, শরীর সুগঠিত না হলে অস্ত্রবিদ্যায় চৌকস হওয়া যায় না। এজন্য অস্ত্রবিদ্যা শেখানোর পূর্বে শিষ্যদেরকে নানা রকম শরীর চর্চা শেখায় সে। কন্যাদের পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং শেখার আগ্রহ দেখে সে অভিভূত, তার শেখানোর আগ্রহ আরো বেড়ে গেছে, সে নিজেও কঠোর পরিশ্রম করে তার শিষ্যদের জন্য।
কন্যাদের শরীরচর্চার পর এখন তাদেরকে ধনুক থেকে তীর নিক্ষেপের কৌশল শেখানোয় ব্যস্ত অনূকা। দুটো বাঁশ পুঁতে দুই বাঁশে দড়ি বেঁধে সেই দড়ির সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছে ছোট ছোট করে কাটা কদলীগাছের চাকতি, শিক্ষানবীস এই ধনুর্ধরদের লক্ষ্য সেই চাকতিতে তীর বিদ্ধ করা। বেশিরভাগ কন্যার তীর চাকতির খুব কাছ দিয়ে বেরিয়ে গেলেও কয়েকজনের তীর চাকতিকে বিদ্ধ করে, কারো তীর চাকতিকে বিদ্ধ করতে পারলেই তাদের উৎসাহ দেবার জন্য অনূকা এবং অন্য কন্যারা হাততালি দেয়। বারো-তেরো বৎসরের একটি কন্যার নিক্ষিপ্ত তীর চাকতি বিদ্ধ করলে অন্যদের হাততালি দেবার আগেই পিছন থেকে কারো হাততালি শোনা যায়, অনূকা তাকিয়ে দেখে তার কাকাশ্রী স্বয়ং নৃপতি বেণ হাততালি দিচ্ছেন। অনূকা হাস্যমুখে বেণের দিকে এগিয়ে গেলে বেণ বলেন, ‘তোর শিষ্যরা তো বেশ ভালো করছে রে, যতটুকু ত্রুটি আছে আস্তে আস্তে হয়ে যাবে!’
‘হ্যাঁ, কাকাশ্রী, ওরা শিখতে খুবই আগ্রহী আর পরিশ্রমী।’
‘তাই তো দেখছি!’
‘সব তোমার জন্য সম্ভব হচ্ছে কাকশ্রী, তুমি অনেক বাধা পেরিয়ে আশ্রমটি তৈরি করে দিয়েছ বলেই এই কন্যারা ক্রমশ আর্যদের সম্পদ হয়ে উঠছে।’
‘তুই স্বপ্ন না দেখলে তো হতো না, তুই-ই তো পরিশ্রম করে ওদের তৈরি করছিস। আমি নৃপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।’
‘ব্রাহ্মণগণ দেবী সরস্বতীর নির্দেশ মেনে নিলেও আমার ওপর খুব ক্ষেপে আছে, তোমার ওপরেও তারা কিছুটা বিরক্ত।’
‘ওসব নিয়ে তুই ভাবিসনে, ওসব আমি সামলে নেব। সর্বদা মনে রাখবি যে- কল্যাণকর কাজ করতে গেলে কিছু বাধা আসেই, কৌশলে সে-সব বাধা পেরোতে হয়। তুই মন দিয়ে কন্যাদেরকে প্রশিক্ষণ দে, আর যখন যা দরকার হবে আমাকে জানাস।’
‘নিশ্চয় জানাব কাকাশ্রী।’
‘তুই কাজ কর, আমি যাই।’
‘আচ্ছা, মাঝে মাঝে এসে দেখে যেও।’
‘নিশ্চয় আসব।’
(চলবে......)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪