ইত্যাদি অনুষ্ঠানে একটি অংশে দুই মার্কিন ডাঃ জেসন আর মেরিন্ডা কি লজ্জায় ফেলো দিলো আমাদের, ঠিক বুঝলাম না৷
এত লজ্জার কি আছে?
ওনারা ছাড়াও আরো অনেক বিদেশী দির্ঘদিন বাংলাদেশে ছিলেন ও আছেন।
বহু বাংলাদেশী আফ্রিকায় সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শান্তি রক্ষায় অনেক বাংলাদেশী জীবন দিয়েছে দিচ্ছে।
ইউরোপ আমেরিকার বহু বাংলাদেশি ডাক্তার আছে যারা বিদেশি ভালো পরিবেশ ছেড়ে বাংলাদেশে গ্রামে ফিরে হাসপাতাল করেছে। আমরা তাদেরকে উৎসাহ দেয়ার বদলে মামলা হামলা করে বিপাকে ফেলছি।
বরং জঙ্গি ও জঙ্গি সমর্থকদের জন্য আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত।
২০১৪ দিকে তুচ্ছ রাজনৈতিক সুবিধার জন্য একটি জঙ্গি সমর্থক মহল বিদেশী নাগরিকদের হত্যা সুরু করেছিল।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামের নিরিহ স্বেচ্ছাসেবক জাপানী নাগরিক হোসিও কোনি ও ইটালিয় তাবেলা সিজারকে হত্যার পর বিদেশীরা দলে দলে বাংলাদেশ ত্যাগ শুরু হলে ব্লগ ও সোশাল মিডিয়ায় জঙ্গি সমর্থকরা খুসিতে অনেক লাফালাফি করছিল। সেসবই বরং বেশী লজ্জার।
হলি আর্টিজান হামলায় ২২ জন বিদেশী হত্যার পর ভেবেছিল এবার আর মিস নেই - এবার ডুববেই বাংলাদেশ!
কিন্তু ডুবেনি। বরং ঘুরে দাঁড়িয়ে রুখে দিয়েছে। দলে দলে পিতামাতারাই অসভ্য জঙ্গি ও জঙ্গি সমর্থক পুত্রদের ধরিয়ে দিচ্ছিল। মৃত যেহাদিদের লাশ পিতামাতারাও গ্রহন করতে অশ্বীকার করেছিল।