somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রবাসেঃ পর্ব ৩

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব ২ পর্ব ১

লাগেজ পেয়েছি । একটা ছোট মাইক্রোবাসে আমরা। আমি , একজন চাইনিজ , এক মিডল ইস্টের পরিবার আর আফ্রিকান একজন । দেশের নামটা ঠিক মনে নেই ।
আমরা অনেক অনেক মাঠ পেরুচ্ছি । ব্রুকিংস পৌঁছে গেলাম, আমাকে সাজ্জাদ এর বাসার সামনে নামিয়ে দেওয়া হল । সাজ্জাদের সাথে এর আগে কখনও কথা হয়নি । ছিপছিপে গড়নের হাল্কা পাতলা , চটপটে একটা ছেলে । ও আমাকে রায়হান ভাই এর বাসায় নিয়ে গেল । রায়হান ভাই এর ওয়াইফ আমাদের ক্যাম্পাসের । ওনাদের বাড়িতেই আমার জন্য রান্না হয়েছে । ওনাদের ফোন থেকে আব্বুকে ফোন দিলাম , পৌঁছে গেছি ।
খাওয়া দাওয়ার পর রায়হান ভাই আর সাজ্জাদ আমাকে নিয়ে বের হল। উদ্দেশ্য , ওয়ালমার্ট থেকে বিছানা –বালিশ আর প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা। রাত দুইটা বাজে । বেশ বড় সড় সুপার স্টোর । পুরাটা খোলা । লোকজন কেনাকাটা করছে । অনেক কাউন্টারে কেউ নেই । সেলফ চেক আউট করছে ।
আমরা অনেক কিছু কিনলাম ।
আমাকে আমার বাসায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে । ব্রুকিংসের মেডারি এভিনিউ এর ৬২০ নং বাসা আমার । বেশ বড় বাসা । সাজ্জাদ আর ভাইয়া আমাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সব দেখাল । লিভিং রুমে কোন লাইট নেই । সাজ্জাদ বলল , “ আমেরিকানরা লিভিং রুমে লাইট রাখে না “। সব রুমে হলুদ আলো , কোথাও সাদা আলো নেই । কট কটা হলুদ আলো আমেরিকানদের খুব পছন্দ ।
দেশ থেকে একটা ফোন এনেছিলাম । সাজ্জাদ বলল ফোনটি এখানে কাজ করবে না । তবুও চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। চার্জার ঢুকলনা । পোর্ট গুলো অন্যরকম , চারকোনা । দেশের মত গোল না ।
আমাকে সব বুঝিয়ে দিয়ে ভাইয়ারা চলে গেল ।
আমি একটা রুমে একা বসে আছি । ভয়ে ঘর থেকে বেরুতে পারছিনা । ঘুম ও আসছিলনা । সারা রাত জেগে কাটালাম । ভোরের দিকে কখন ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই । যখন ঘুম ভাঙল দেখি দরজায় শব্দ হচ্ছে ।
সাজ্জাদ দাঁড়িয়ে আছে । দুপুর বারোটার বেশি বাজে তখন । আমি ফ্রেশ হলাম। সাজ্জাদ আমাকে ক্যাম্পাস ঘোরাতে নিয়ে গেল । ঐ বলল,” তোমাকে সকাল থেকে অন্তত পাঁচ –ছজন বাঙালী এসে ডাকাডাকি করেছে । সাড়া নেই । নাসির ভাই এসে আমাকে বলল যে মেয়েটি গতকাল এসেছে ও তো হারিয়ে গেছে । তাই শেষমেশ আমাকে পাঠাল তোমাকে খুঁজতে” ।
সাজ্জাদ আমাকে কোথায় ওরিয়েন্টেসন, লাইব্রেরী , ডিপার্টমেন্ট সব ঘুরে দেখাল । ডিপার্টমেন্ট থেকে বাসা পাঁচ মিনিটের রাস্তা সেটাও দেখাল । আর জানাল আজ ঢাকা ভার্সিটির এক আপু আসবে , আমাদের সাথে থাকবে ।
বাসায় এসে রান্না করলাম । আপু আসল সন্ধ্যায় । আমি আর আপু পিছন দিকের বড় রুমটায় থাকব ঠিক করলাম ।আমার লিভিং রুমে থাকার কথা ছিল । আপুই বলল , তুমি আমার সাথে থাক ।
আপুর নাম ছিল শায়লা । আমি আর শায়লা আপু পরদিন ক্যাম্পাস গেলাম । ওরিয়েন্টেসন হল । অনেক বাঙ্গালীর সাথে দেখা হল ।
বিদেশী ছাত্র দেখলাম অনেক ।একান্নটি দেশের ও বিভিন্ন স্টেটের ছেলে মেয়েরা এসেছে পড়তে । এসব দেশের নাম আগে বইতে পড়েছিলাম। তবুও আমার খানিকটা সন্দেহ হত , পৃথিবী কি গোল ? পৃথিবী ঘোরে ? সত্যিই কি পৃথিবীতে এত এত দেশ আছে ? নাকি এমনিতেই সব লিখে রাখা হয়েছে ।

বিজ্ঞানীদের অনেক কথায় আমার মিথ্যে মনে হত , বেশ সন্দেহ হত ।আমেরিকা আসার পর সন্দেহ অনেকটা দূর হল । আমি নিশ্চিত হলাম পৃথিবী ঘোরে , সূর্যের চারদিকেই ঘোরে । তাই সূর্য আমার আর মায়ের কাছে একসময়ে আসতে পারে না । আমি আর মা পৃথিবীর দুটো বিপরীত পিঠে আছি ।
আমি পিঠে হেলান দিয়ে সবাইকে দেখছিলাম । কারো রেশমি সোনালী চুল , কারো ভেড়ার মত বিনুনি করা চুল , কারো উজ্জ্বল গায়ের রঙ আবার কারো কারো রঙ দেখে আমার কেবল অন্ধকারের কথা মনে হচ্ছিল ।

আমি শুধু দেখছিলাম আর দেখছিলাম । ওরিয়েন্টেসন এর কিছুই আমার মাথায় ঢুকছিল না । ওদের ইংরেজি বুঝতে ও খুব কষ্ট হচ্ছিল । সাউথ আমেরিকান একটি মেয়েকে দেখলাম জুতা পায়ে টেবিলের উপর পা তুলে দিয়েছে । আমাদের সবার পরিচিতি নেওয়া হচ্ছিল । মেয়েটি পা তোলা অবস্থায় পরিচিতি দিল ।
অনেক বোরখা পরা মুসলিম মেয়ে দেখলাম । ওদের আচরণ খুব সাবলীল ছিল । অন্যরাও ওদের সাথে সুন্দর করে কথা বলছিল । কেউ ওদেরকে টেররিস্ট ভাবছিল না ।
একজন আমাকে জিগ্যেস করল কেমন লাগছে ? কেমন লাগছে খুব একটা বুঝতে পারছিলাম না , শুধু মনে হল পুরো পৃথিবীটা দেখতে পাচ্ছি । ছোট ভাই এর সাথে গল্পের নতুন প্লট পেয়েছি । ওরিয়েন্টেসন এর এক ফাঁকে আমি সেটা সাজিয়েও নিলাম ।
একটা পাকিস্তানি ছেলের সাথে পরিচয় হল । শায়লা আপু পরিচয় করিয়ে দিল । ছেলেটা তার জীবনের গল্প বলল ; সে কিভাবে ফার্মার থেকে ফার্মাসিস্ট হল । আমি এতখন শুনছিলাম । তার অনুমুতি নিয়ে ও ক্ষমা চেয়ে একটি প্রশ্ন করলাম । ভেবেছিলাম রেগে যাবে , রাগল না । তাকে বললাম , “তুমি তো জান , একাত্তরে তোমাদের আর আমাদের একটা যুদ্ধ হয়েছিল । তোমরা আমাদের উপর ভীষণ অন্যায় অত্যাচার করেছিলে , আমার জানতে ইচ্ছে করছে এ অংশটা তোমাদের ইতিহাস বইয়ে কিভাবে লেখা আছে । “
ছেলেটি বলল, “তেমন কিছু লেখা নেই , শুধু আছে , এটা আমাদের ভুল ছিল । “
ওরিয়েন্টেসন এ আমাদেরকে সকালের নাস্তা , দুপুরের খাবার দেওয়া হল । আমি সব খাবার প্লেটে নিলাম। একজন বলল গোলাপিটা পোর্ক । সাথে সাথে সরিয়ে ফেললাম । হঠাৎ খুব বাথরুম পেল আমার । তবু চেপে রাখলাম । আমেরিকার পাবলিক বাথরুম গুলো ভীষণ ঝকঝকে । টিস্যু , স্যানিটারি ন্যাপকিন , সাবান , ভেজা হাত শুকানোর ব্যাবস্থাও আছে । হাত ধোয়ার পর কেউ পেপার ন্যাপকিন ইউজ করতে পারে । অথবা ড্রায়ার । একটা জায়গায় হাত রাখলে গরম বাতাস বের হয়ে হাত শুকিয়ে দেয় । তার উপরে লেখা ,” সেভ ট্রিজ” ।
ওদের বেসিনের কল গুলোও বেশ । কলের সামনে হাত রাখলেই পানি পড়ে । হাত সরিয়ে নিলে পানি বন্ধ হয়ে যায় ।তবে শৌচ কাজের জন্য বাথরুমের ভিতরে পানি থাকে না । ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত লাগল আমার কাছে । বাথরুমে পানি না থাকার বিষয়টি মানতে কষ্ট হল ।
ফিলিপিন আর কম্বোডিয়ার দুইটি মেয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললাম । ওরা বলল ওদের বাথরুমেও পানি থাকে না । বাথরুমে পানি থাকা অপ্রয়োজনীয় । বিষয়টা নিয়ে অনেক ভাবলাম । শায়লা আপুকে জিগ্যেস করলাম । আপু বলল , বাথরুমে পানি থাকা প্রয়োজনীয় ।
ডিনার দেওয়া হল বিকাল পাঁচটায় । বাইরে তখন ভীষণ রোদ । সূর্য ডুবতে অনেক দেরী । এখানে সূর্য ডোবে নয়টায় । আমরা রোদের মাঝে ডিনার সারলাম ।আমেরিকানরা পাঁচটায় ডিনার করে । আমাদেরকে আমেরিকান রীতি অনুসরণ করতে হল ।
আমরা ডিনার সেরেছি । ডিপ্লমেট এর সাথে ক্যাম্পাস ঘুরেছি । তবুও সন্ধ্যা নামেনি । বিকেলটা ভীষণ লম্বা মনে হল ।
বাসার পথে রওনা দিয়েছি আমরা । পাঁচ মিনিটের পথ , দু ঘণ্টা পার হয়ে গেছে । বাড়ি খুঁজে পাচ্ছিনা না । সব বাসা একি রকম মনে হচ্ছে । আমাদের দুজনের কারো ফোন কেনা হয়নি । কাউকে জানাতে পারলাম না , আমরা হারিয়ে গেছি ।
আপু খুব চিন্তায় পড়ে গেল । এক আমেরিকান দম্পতি আমাদেরকে বাড়ি পৌঁছে দিল ।
পরদিন আমাদের আর এক রুমমেট যোগ হল , নাসরিন । ও আমার ক্যাম্পাসের, আমার ব্যাচের ।
কয়েকদিন পার হয়ে গেল ।
এ কদিনে আমরা কেউই পুরো বাসাটা ঘুরে দেখিনি । বাসাটা বেশ পুরনো । নিচ তালায় বেসমেন্ট , তারপর মূল বাসাটা । উপরে কার্নিশ । কার্নিশ যাবার সিঁড়ী আমাদের রুম দিয়ে । মাঝখানে দুইটা বাথরুম । ও পাশে নাসরিন এর রুম । আর সামনের দিকে লিভিং রুম , ডাইনিং রুম আর হল ঘরের মত একটা কিচেন । বেসমেন্টে এ যাবার দরজা কিচেন এর সাথে ।
পুরা বাসাটা কাঠের । মেঝেও কাঠের । হাঁটলে ভিসন আওয়াজ হত । রাতে আমার ঘুম আসত না । আমি হাঁটতাম , নামাজ পড়তাম আর ঠকঠক আওয়াজ করতাম । আস্তে আস্তে আমার আওয়াজে রুমমেটরা অভ্যস্ত হয়ে গেল ।
সেদিন রাত দুটার মত বাজে । আমি ঘরে শুয়ে আছি । আমার রুমে আপু ঘুমাচ্ছে । ঐ রুমে নাসরিন ।
আমি মেঝেতে হাঁটার ঠক ঠক আওয়াজ পেলাম ।কেউ একজন হাঁটছে । নাসরিন ভাবছে আমি হাঁটছি । আমি জানি আমি হাঁটছি না ।
আওয়াজটা আমার রুমের দিকে আসছে আস্তে আস্তে । বুঝতে পারছিলাম , কিছু একটা হতে যাচ্ছে । কেউ একজন দরজার লকটা ঘোরাচ্ছে । আমার হৃদপিণ্ড ধক করে উঠল ।
রুমের দরজা খুলে গেছে ।
আমার রুমের মাঝে ২৪-২৫ বছরের এক সুদর্শন আমেরিকান দাঁড়িয়ে , কোঁকড়া চুল । গায়ে গ্রিন সোয়েটার ।
পর্ব ৪
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:০৭
১৮টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×