বান্দরবান জেলার পার্বত্য আলীকদমের পাহাড়ের কন্দরে কন্দরে লুকিয়ে আছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। এতদিন অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালেই ছিলো এসব পর্যটন স্পট। শুধুমাত্র ওখানে বসবাসকারি সীমিতসংখ্যক মুরুং অধিবাসীরা ছাড়া কেউ জানতোনা এসবের কথা।

এলাকার পর্যটনপ্রেমি তরুন-যুবকদের দুর্নিবার আকাঙ্খায় ক্রমান্বয়ে বেরিয়ে আসছে আলীকদমের পর্যটন স্পটগুলো।

এক্ষেত্রে আলীকদমবাসী কৃতার্থ থাকতে পারেন ইসমত ইলাহী ভাইয়ের কাছে। প্রায় সময় যিনি আলীকদমের এসব পর্যটন স্পটগুলো অনুসন্ধান করে বের করে আনতে আমাদের সহায়তা করছেন।

শুক্রবার সকালে আমরা ৯ জন উৎসাহী তরুন-যুবক একজোট হই ‘দামতুয়া জলপ্রপাত ও ঝর্ণা’র শীতল জলে গা ভাসাতে। আগের রাতে পরিকল্পনামতে শুক্রবার সকালে মোটর বাইক নিয়ে যাত্রা শুরু করি।

‘দামতুয়া জলপ্রপাত ও ঝর্ণা’র অবস্থান আলীকদম-থানচি সড়কের ১৮ কিলোমিটার এলাকায়। আদু মুরুং পাড়া থেকে কমপক্ষে দুই ঘন্টা দুর্গম পাহাড়ি পথ হেঁটে যেতে হয় ‘দামতুয়া জলপ্রপাত ও ঝর্ণা দেখতে। আমাদের গাইড ছিল সেখানকার বাসিন্দা চিংলক মুরুং। দামতুয়া অর্থ হচ্ছে মাছেদের প্রাচীর। নিচ থেকে মাছগুলো এসে থামে। উপরে উঠার কোন পথ নাই উঠতে পারেনা। অর্থাৎ শেষ সীমা।

‘দামতুয়া জলপ্রপাত ও ঝর্ণা’ দেখার পর মনে হলো আল্লাহ’র সৃষ্টির কী অপার লীলা তা স্বচক্ষে না দেখে বুঝা যায় না! দুর থেকে হয়ত উপলব্ধি করা যাবে মাত্র।

দামতুয়া জলপ্রপতা ও ঝর্ণা’ দেখার স্ববিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তীতে লিখবো ইনশাআল্লাহ!