somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(ষষ্ঠ পর্ব) The Triumph of the Will(ছবি+মুভি ব্লগ)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ থেকে ৭৯ বছর আগে, লেনি রিফেনস্টাল নামক একজন জার্মান অভিনেত্রী কাম পরিচালক একটি মাস্টারপীস তৈরি করেছিলেন। মাস্টারপীসটি নাম হল "The Triumph of the Will"। নিজের সমস্ত মেধা, শ্রম এবং ভালোবাসা দিয়ে লেনি এটি সৃষ্টি করেছিলেন। এ কারণে, লেনির সাধনা বৃথা যায়নি। তার অবদানের পুরস্কারস্বরূপ, বর্তমানে "The Triumph of the Will"কে অনেকেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রোপাগান্ডা সিনেমা বলতে কুণ্ঠাবোধ করেন না।

"The Triumph of the Will", সহজ বাংলায় এর অনুবাদ করলে যা দাঁড়াবে তা হল, "ইচ্ছাশক্তির জয়"। হিটলারের অন্যতম প্রিয় একটি বাক্য হল "The Triumph of the Will"। হিটলার জার্মান লেখক কার্ল মে এর অন্ধভক্ত ছিলেন। লেখক কার্ল মে দক্ষিণ আমেরিকার একজন বীর যোদ্ধাকে নিয়ে অনেক বই লিখেছিলেন। এই বীর যোদ্ধার নাম হল ওল্ড শ্যাটারহ্যান্ড। বীর শ্যাটারহ্যান্ড রেড ইন্ডিয়ানদের বিরুদ্ধে প্রতিটি যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সাহস আর ইচ্ছাশক্তিই ছিল শ্যাটারহ্যান্ডের বিজয়ের মূলমন্ত্র। বীর শ্যাটারহ্যান্ড ছিল হিটলারের ছোটবেলার নায়ক। সেই থেকে তিনি বিশ্বাস করতেন যে, একমাত্র তীব্র ইচ্ছাশক্তির জোড়েই অনেক অসাধ্যকে জয় করা সম্ভব।

বাস্তবজীবনে "The Triumph of the Will" বা "ইচ্ছাশক্তির জয়" যে মানুষের পক্ষে খুব সম্ভব, হিটলারই ছিলেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ১৯৩৪ সালে পুরো জার্মানি ছিল হিটলারের পদতলে। তিনি হয়ে পড়েছিলেন জার্মানদের একচ্ছত্র অধিপতি। ক্ষমতার আসন পাকাপোক্ত করার পর যে কাজটি হিটলারকে অবশ্যই করতে হত, তা হল, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার জার্মানির শৌর্য বীর্য তুলে ধরা। জার্মানরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী অন্যায় শোষণকে পদদলিত করে পুনরায় মাথা তুলে দাড়াতে চায়। এই বার্তাটি বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দেওয়াটা একান্ত জরুরি ছিল। হিটলার তা জানতেন। তিনি তার এ কর্তব্য শতবাগ পালন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে এই কালজয়ী প্রোপাগান্ডা ফিল্মের সৃষ্টি।



****

প্রতিটি আদর্শের বা ধর্মের একটি তীর্থস্থান থাকে। মুসলমানদের জন্যে যেমন মক্কা, রোমানদের জন্যে যেমন রোম, কমিউনিস্টদের জন্যে যেমন লেলিনগ্রাদ, ঠিক তেমনি, নাৎসি আদর্শবাদের তীর্থস্থান বলা যেতে পারে জার্মানির ন্যুরেমবার্গকে। নাৎসি পার্টির পথচলার একদম শুরু থেকে, প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, এখানে নাৎসি র‍্যালি অনুষ্ঠিত হত। ন্যুরেমবার্গ একটি ঐতিহাসিক শহর। হিটলার বিশ্বাস করতেন যে, জার্মানির সমৃদ্ধ অতীতের সাথে ভবিষ্যতের ভাবি নাৎসি শাসনতন্ত্রের মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকা জরুরি। আর অতীতের সাথে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের জন্যে ন্যুরেমবার্গ যে একটি উপযুক্ত স্থান, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

****

পূর্বে ন্যুরেমবার্গ র‍্যালীগুলো হত ছোট পরিসরে। কিন্তু ১৯৩৪ সালের র‍্যালী বিশ্ববাসীর চোখ ধাধিয়ে দেয়। এই র‍্যালী জার্মানদের পুনঃজাগরণের প্রতীক হিসেবে যুগে যুগে টিকে থাকুক, হিটলার এমনটাই চেয়েছিলেন।

****

১৯৩৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৫ তারিখ হিটলার ন্যুরেম্বার্গে পৌছেন। সেদিন বিকেলবেলা, দশ হাজার জার্মান হিটলারের হোটেলের সামনে জমায়েত হন। তারা চিৎকার করে শ্লোগান দিতে থাকে "We want our fuehrer" "we want our fuehrer"। হিটলার যখন ব্যালকনিতে আসেন তখন জার্মানদের উচ্ছ্বাস যেন আর বাধ মানে না।("The Triumph of the Will", দশম মিনিট।)

হিটলারের আগমনে জার্মান নারীদের উচ্ছ্বাস(The Triumph of the Will" থেকে)

সেদিন সেই দশ হাজার জার্মানদের ভীড়ের মধ্যে বিখ্যাত আমেরিকান সাংবাদিক উইলিয়াম শাইরারও ছিলেন। সেই রাতে তিনি তার ডায়েরীতে লিখেন, "হিটলার ব্যালকনিতে আসার পর জার্মানদের উচ্ছ্বাস দেখে আমি পুরোপুরি বিমোহিত হয়ে পড়ি। তারা এমনভাবে হিটলারের দিকে তাকাচ্ছিল, যেন সে পৃথিবীতে নেমে আসা ভগবানের অবতার।"

পরের দিন, শাইরার র‍্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে লিখেন, "আজ সকালের অনুষ্ঠানটি ছিল, অসাধারণের চেয়ে বেশী কিছু। পুরো হলরুম নাৎসি লাল পতাকায় ভরে গিয়েছিল। যেন রক্তের সাগর। আর হিটলারের আগমনে নাটকীয়তা ছিল বৈকি। তার আসার এক মুহুর্ত আগে ব্যান্ড বন্ধ হয়ে যায়। হলে উপস্থিত অগণিত লোকের মাঝে একটি চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এরপর ব্যান্ডের বাদ্যের তালের সাথে পুরোপুরি তাল মিলিয়ে হিটলার হলে উপস্থিত হন। তার পিছনে তার অনুগত বন্ধুরা। হিটলার ধীরে ধীরে মঞ্চে উঠতে থাকেন আর সেই সময় হলে উপস্থিত হাজার হাজার অনুগামী হাত উঁচিয়ে তাকে নাৎসি স্যালুট দিয়ে সম্মানিত করে।"



এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হিটলার এক সময় বলেন, "আজ এখানে আগামী হাজার বছরের জন্যে জার্মান সভ্যতার ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে।"

*****





সাত দিনের এই বিশাল র‍্যালীকে সেলুলয়েডের পাতায় ধারণ করার কাজ প্রদান করা হয় লেনী রিফেনস্টেল নামক একজন অভিনেত্রী কাম পরিচালককে। হিটলারের ব্যক্তিগত অনুরোধে লেনি এই কাজটি করতে রাজি হয়েছিলেন। ১২০ জন টেকনিশিয়ানের একটি দল নিয়ে, লেনি ৩০টি ফিল্ম ক্যামেরার সাহায্যে, পুরো র‍্যালীর চিত্রধারণে সক্ষম হন। তার মেধাকে তিনি শতভাগ কাজে লাগাতে পেরেছিলেন। ফিল্মটিতে এমন কিছু ক্যামেরা আঙ্গেল থেকে চিত্রধারণ করা হয়েছিল যা ততকালীন সময়ে এর আগে কেউ কখনো করে নি।




লেনির এই মাস্টারপীসে অসংখ্য চোখ ধাঁধানো মুহুর্তের চিত্র ধারণ করা হয়। তবে সবচেয়ে সুন্দর মনে হয় এটাই। ছবিতে হিটলার, হিমলার এবং S.A এর নতুন নেতা ভিকটর লুট্‌য্‌কে ন্যুরেম্বার্গ স্টেডিয়ামের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তার সামনেই ১,৬০,০০০ জন নাৎসিদের নিয়ে তৈরি বিশাল সব সুশৃঙ্খল মানব কলাম।







***

সপ্তাহব্যাপী এই র‍্যালীতে বিভিন্ন সময় হিটলার সহ অনেক নাৎসি নেতা বিভিন্ন বক্তৃতা প্রদান করেন।

তন্মধ্যে, অনুষ্ঠানটি আয়োজন সম্পর্কিত ডক্টর যোসেফ গোয়েবলসের(প্রোপাগান্ডা মিনিস্টার, পুরো র‍্যালীর মূল পরিকল্পনাকারী) বক্তৃতাটির কথা না বললেই নয়।

ডক্টর যোসেফ গোয়েবলস, triumph of the will, ৩২মিনিট ৪৭সেকেন্ড।

"আমি আশা রাখি, আমাদের উৎসাহ উদ্দীপনার এই তীব্র শিখা কখনো বিনষ্ট হবে না। কেননা একে উপজীব্য করে আধুনিক রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার সৃজনশীল শক্তি টিকে আছে। জনগণই এ শিখার মূল উৎস, এবং জনগণের মাঝ থেকেই তাকে তার শক্তি খুজে ফিরে নিতে হবে সবসময়। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা কখনো কখনো ভালো হতে পারে, কিন্তু জয়ী হয়ে জনগণের হৃদয়ের জায়গা করে নেওয়াটাই হল সর্বোত্তম পন্থা।"


এছাড়া সপ্তাহব্যাপী এই র‍্যালীতে হিটলার বেশ কয়েকবার বক্তৃতা প্রদান করেন। ফিল্মটিতে সবগুলো বক্তৃতাই কভার করা হয়েছে।


লেনির একটি ইউনিক ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল। হিটলার জার্মানদের তুলনায় খাটো ছিলেন(৫ ফুট ৮ ইঞ্চি)। কিন্তু লেনির কারণে তাকে বেশ লম্বা লাগছে।


সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ, র‍্যালীর সমাপনী অনুষ্ঠানে হিটলারের বক্তৃতাও ফিল্মে কভার করা হয়। এই বক্তৃতায় হিটলার বলেন, "১৯৩৪ সালের ন্যরেম্বার্গ র‍্যালী হল রাজনৈতিক শক্তির অবিস্মরণীয় নিদর্শন।"

****

১৯৩৪ সালের এই ন্যুরেম্বার্গ র‍্যালী জার্মানদের মনে তীব্র আবেগের সৃষ্টি করে। এই র‍্যালী হিটলারের প্রতি তাদের আনুগত্যকে আরেক ধাপ উপরে নিয়ে যায়।

****

১৯৩৪ সালে ধারণ করা হলেও, "The Triumph of the Will" প্রেক্ষাগৃহে মিক্তি পায় ১৯৩৬ সালে। মুক্তির পরপরই সিনামটি অভাবনীয় সাফল্য পায়। গোটা জার্মানি জুড়ে লোকজন দলে দলে তা দেখতে ভিড় জমায়। লেনি রাইফেনস্টালকে "cultural achievement award" প্রদান করা হয়। সিনেমাটি ১৯৩৭ সালে প্যারিসে "World Exhibition" এ স্বর্ণপদক জয় করে।

"The Triumph of the Will" ছিল নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের সাফল্য। এটি সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এই বার্তা পাঠায় যে, "নাৎসি জার্মানি একটি অতি সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র। তার শত্রুরা তাকে ঘৃণা করতে পারে ঠিক, কিন্তু তাকে শ্রদ্ধা না করে থাকা যাবে না।"


ডাউনলোড করুন

The Triumph of the Will(torrent with subtitles)

The Triumph of the Will(youtube)

----------------------------------------------------------------------------------

এই সিরিজের অন্য পর্বগুলো

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৫ম পর্ব) "হিটলার, জার্মানির ফুয়েরার"।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৪র্থ পর্ব) operation hummingbird

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৩য় পর্ব) the night of the long knives

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(২য় পর্ব) Hitler becomes Dictator

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(১ম পর্ব) রাইখস্টাগ অগ্নিকান্ড(The Reichstag on fire)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমার আগের সব লেখার লিংক।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২০
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×