গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ-সিপিএস আয়োজিত ‘মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তাদের অধিকাংশই মূল বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবির বিরোধিতা করেন। বক্তাদের একজন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের সংগঠন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতাদের হুমকি দিয়ে বলেন, ইসলামবিরোধী কথা বললে তাঁরা দেশে থাকতে পারবেন না।
সভাপতির বক্তব্যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবির বিষয়ে সিপিএসের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেন, ‘যারা বলছে ধর্ম নাই, তাদেরও একটা ধর্ম আছে। আপনার মতো আপনি থাকেন, অন্যকে অন্যের মতো থাকতে দিন।’
আলোচনার শুরুতে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ্ আবদুল হান্নান বলেন, ‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সুযোগ নেই। ইসলামি দলগুলো সব সময় বলছে তারা সংবিধান মেনে চলবে।’ মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের কোনো আইন না থাকায় সে সময়কার অপরাধের বিচার করা যাবে না দাবি করে তিনি বলেন, যে সময় আইন ছিল না, সে সময়ের অপরাধের কারণে নতুন আইন করেও কাউকে শাস্তি দেওয়া যায় না। শাহ্ হান্নান মুক্তিযুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বলে সম্প্রতি ব্যাপক বিতর্কের জ্ন দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ডিন ড· এ বি এম মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, কেউ কেউ বলছে ওই দল স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী। কিন্তু আইনগতভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে যুদ্ধাপরাধী বলা অনৈতিক, বেআইনি ও সংবিধানবিরোধী। তিনি দাবি করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেওয়া অপরাধ হতে পারে না। এখন এর দায়ে নতুন করে ট্রাইব্যুনাল করে বিচার দাবি করা সংবিধানবিরোধী।’
গত ১১ নভেম্বর একই জায়গায় আয়োজিত একটি আলোচনায় মাহাবুবুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের এখানে যুদ্ধ হয়েছে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে। বাংলাদেশ সেই যুদ্ধের অংশ ছিল না। এ কারণে বাংলাদেশে কখনই যুদ্ধাপরাধী ছিল না।’
জামায়াত সম্পর্কে গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ইঙ্গিত করে সভায় সরকারের উদ্দেশে অ্যাডভোকেট মশিউল আলম বলেন, ‘মিডিয়া ও রাজনীতির জগতে যারা মানুষের নামে মিথ্যাচার করছে, চরিত্র হনন করছে, তাদের বিচার করার উদ্যোগ নিন।’ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ফোরাম করেছেন। আপনারা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মামলা করতে পারেন। কিন্তু নিজেরা ক্ষতিগ্রস্ত না হলে প্রশ্ন উঠবে কত টাকার বিনিময়ে আপনারা ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন। স্বাধীনতার পর যখন ইসলামি রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল, তখনো দাউদ হায়দার ইসলামবিরোধী কথা বলে বাংলাদেশে থাকতে পারেননি। আরেক মহিলা লেখিকা (তসলিমা নাসরিন) বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে ভারতের কানাগলিতে আত্মহত্যা করার উপায় খুঁজছেন। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বললে আপনারাও দেশে থাকতে পারবেন না।’
গত ১৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অ্যাডভোকেট মসিউল আলম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি করা ব্যক্তিদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘ধরে নিয়ে বিচার করলে আপনাদেরও তো ধরে নিয়ে যেতে পারে। ধরাধরি শুরু হয়ে গেলে তো কেউ রেহাই পাবেন না।’
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার খারাপ হতে পারে। কিন্তু এর কোনো বিকল্প নেই।’ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা সরকারের ড্রাইভিং সিটে আছেন তাঁদেরও মনে রাখতে হবে-আইনের সামনে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, টেলিভিশন দেখলে মনে হয় দেশের একমাত্র ইস্যু হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। এসব কথা না বলে শ্রমজীবী মানুষের মুক্তির কথা বলুন। তাতে মানুষও আপনাদের ওপর খুশি হবে, আল্লাহ্ও সহায় হবেন।
মহিউদ্দীন রব্বানী বলেন, যাঁরা বলছেন ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি চলবে না, তাঁরা সংবিধান লঙ্ঘন করছেন।
পেট্রোবাংলার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে এলাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাবিবা খাতুন ও উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড· আবু ইউসুফ, মওদুদী রিসার্চ একাডেমির আবদুস শহীদ নাসিম, প্রকৌশলী ফজলে আলী প্রমুখ গোলটেবিলে বক্তব্য দেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো ।
কুত্তার বাচ্চাদের বার খবই বাড়তাছে, ওহো বিচার না কইরাই আজ এই অবস্থা । আর কুত্তার বাচ্চারা চাইতাছে, ওহো সহৃদ সরকার ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই এই ইস্যুটা নিয়ে একটা ডিকলার, যে দেশে কো যুদ্ধাপারাধী কেউ নাই । জামাতী মাদার...রা পাকিস্তানের পেয়ারী জলপাইদের অন্ড... চুইষা , কোন অপরাধ করে নাই ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবেই হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



