
সিনেমা বানানোর স্বপ্নটা আমাদের অনেকেরই থাকে। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বড়ভাইদের বন্ধু, আমার সমবয়সী, এমনকি ছোটরাও মনে মনে ভাবত, একদিন একটা সিনেমা বানাবো। কীভাবে যেন সেই স্বপ্নটা আমার ভেতরেও ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছি সিনেমা বানানো শক্ত। শুধু শক্ত না, ভীষণ শক্ত। ক্যামেরার পেছনে নানারকম কাজ করেছি বহু বছর, কিন্তু কখনো মনে হয়নি এই বার আমার নিজের গল্পটা বলব।
এ বছর হঠাৎ করেই সেই সুযোগ সামনে এসে দাঁড়াল। আর সেই মানুষটি হচ্ছেন নিশাত মজুমদার। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় যিনি দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর জয়ের গল্প অনেকেই জানে, কিন্তু সেই জয়ের পেছনের পথটা? পরিবার, সমাজ, দৃষ্টিভঙ্গি, বাধা, একা লড়াই, ফিরে এসে নতুন লড়াই — এই সবই যেন অদৃশ্য থেকে যায়।
আমি চেয়েছিলাম সেই অদৃশ্য পথটা দেখাতে। ১৩ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে একটা গল্প বানাতে যেখানে থাকবে তাঁর উচ্চতায় ওঠার স্বপ্ন, সমাজের টানাপোড়েন, নারী হিসেবে পথচলার সংগ্রাম, আর একজন পর্বতারোহীর নিঃশব্দ সাহস।
কাজটা আমি একা করিনি। আমার বন্ধুদের সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব হতো না। তারা এই কাজের প্রকৃত পটু। আমি শুধু বহুদিনের ইচ্ছেটা ধরে রেখেছিলাম।
Summit Is a Woman তাই শুধু একটি ছোট প্রামাণ্যচিত্র, এটি আমার বহুদিনের স্বপ্নে ফিরে যাওয়ার যাত্রা। আর নিশাত গল্প যা প্রায়ই আড়ালে পড়ে থাকে তাকে আবার আলোয় আনার ছোট্ট চেষ্টা।
এই শুক্রবার বিকাল ৪টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে খুব ঘরোয়া ভাবে ছবিটা দেখাব। কেউ যদি সময় পান কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই চলে আসতে পারেন। পর্বতের চূড়ায় দাঁড়ানোর গল্প শুনবেন একজন নারীর চোখ দিয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


