ইচ্ছেগুলোর কিচ্ছেগুলো
ইচ্ছেঘুড়ি ইচ্ছেঘুড়ি
ইচ্ছেগুলো নিয়ে কেনো করছো এতো ওড়াওড়ি
ইচ্ছেঘুড়ি ইচ্ছেঘুড়ি।
ইচ্ছেঘুড়ি যতোই তোমায় করছি আমি বারণ
স্বপ্নমেলায় ভাসছো ভেলায় দেখাও হাজার কারণ।
মনটাকে আজ বাহন করে করছো ঘোরাঘুরি।।
ইচ্ছেঘুড়ি ইচ্ছেঘুড়ি।
রঙধনুটার রঙিন ডানায় আমার ইচ্ছেগুলো
রঙের সাথে রঙ মিলিয়ে করছে খেলাধুলো
ইচ্ছে এবং কিচ্ছে মিলে করছে লুকোচুরি।
ইচ্ছেঘুড়ি ইচ্ছেঘুড়ি।
সবুজ জমিনে লাল পাড়, কপালে অস্তমিত সূর্য
তুমিতো ধীরে ধীরে বাংলাদেশ হয়ে ওঠছো, প্রিয়ন্তি!
তোমাকে ঘিরেই আমার যতো প্রত্যাশা আর ইচ্ছেগুলো ডানা মেলে স্বপ্ন পূরণের পথে।
তোমার ইচ্ছেগুলো কি আর সহজেই পূরণ হয় রাজা?
স্বপ্নগুলোতো ডানা মেলে উড়তেই থাকে; ইচ্ছেগুলোকে আর ছুঁতে পারেনা যেনো!
ঠিক ধরেছো, প্রিয়ন্তি!
ইচ্ছেগুলো পূরণ হতে হতে যেনো আর হয়না পূরণ।
আমার নাম স্বাধীনতা
মুক্তিযুদ্ধের ভেলায় চড়ে তোমাদের উপহার দিয়েছি বিজয়!
তোমরা পেয়েছো এক খন্ড মানচিত্র আর লাল-সবুজ পতাকা।
তারপরও হয়নি তোমাদের ইচ্ছেপূরণ?
না।
কেনো?
তোমরা যে উপঢৌকন আমাদের দিয়েছো, তার মান রাখতে পারিনি।
কেনো?
ওকে জিজ্ঞেস করো।
কাকে? ওই কালো পোশাকের .....?
জ্বি। আমি মোল্লা কাদের, মানিকগঞ্জের বানিয়াজুরিতে বাস
তোমরা আমাকে বদর বলে গাল দাও, আমি পুলকিতো বোধ করি
তোমরা আমাকে ঘাতক-দালাল বলো, তোমাদের রক্ত চুষেছি বলে
আমি গর্ববোধ করি; রক্ত আমার প্রিয় খাবার!
তোমাদের মিষ্টি স্বাদের রক্ত করেছি পান; এটাতো আমার বড় হুজুরের দান!
শকুনগুলো একাত্তরে রক্ত চুষেছে
এবার তারা ভিন্নরূপে মাঠে নেমেছে
বৈশাখের ওই মঞ্চ ওরা গুড়িয়ে দিয়েছে
মসজিদ এবং মন্দির-গির্জা উড়িয়ে দিয়েছে।
মতিন চাচার কিশোরী মেয়ে বিন্দির কথা মনে পড়ে রাজা?
ওইযে গতবার লালনে সেরা হলো বিন্দি!
খুউব মনে পড়ে! শুধু সংগীতে কেনো, লেখা-পড়ায়ও সেরা ছিলো সে
বড় মায়া-কাড়া মুখ, মায়াবতী বিন্দি!
বিন্দি এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। কি বিভৎস সে দৃশ্য!
কেনো, কি হয়েছে বিন্দির?
ওদের পাড়ার বখাটে জামাল ওর মুখে এসিড ছুঁড়েছে
ঝলসে গেছে ওর কপাল-চোখ-মুখসহ সমস্ত শরীর। মায়াবতী বিন্দি এখন বিভৎস কাব্য!
শকুনগুলো আবার নেমে আসে বাংলার আঙ্গিনায়, ভিন্ননামে ভিন্নরূপে
এসিড ছুঁড়ে মারে বিন্দিদের মুখে
বিন্দিদের মুখে নয়, বাংলাদেশের মানচিত্রে।
পাঁচবছরের শিশুকে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যা করে
কার্যত বাংলাদেশের টুটি চেপে হত্যা করতে চায়
ভুত তাড়ানোর নামে আগুনে পুড়িয়ে মারে চিলমারীর হাজেরাকে।
গাছে ঝুলিয়ে, লোহার রড ঢুকিয়ে নৃসংসভাবে খুন করে তরকারীর দোকানি হাতেম আলীকে।
আসলাম শেখের কাটা কব্জি নিয়ে উল্লাশ করে প্রকাশ্য রাজপথে
বদি মাতুব্বরের লালসার শিকার ফুলবানুকে জীবন্ত পাথর ছুঁড়ে মারে
কিশোর মানিকের পায়ের রগ কেটে পঙ্গু করে দেয়, মিছিলে না যাওয়ার অপরাধে।
আমি মির্জাপুরের বশির মৃধা, ইটের ভাটায় কাম করি
খাওন দিতে দেরী অইলে রাগের মাথায় হাসুরে তিন তালাক দেই
বিশ্বাস করেন আপনেরা, মন থিকা ওই কথা কই নাই
হারান মেম্বর আর কুটু মুন্সী আমার কথা বিশ্বাস না কইরা হাসুরে কাইড়া নিছে
সালিসে কইছে, হিল্লা দিয়া হাসুরে ঘরে তুলতে অইবো।
শকুনগুলো আবার আসে বাংলায়, ভিন্ননামে ভিন্নরূপে
ফিরোজার দেহ তেরো টুকরো করে ডোবায় ফেলে দিয়ে যায়
আবার আসে শকুনেরা আরো হিংস্র হয়ে-
সিলেটের মাজারে
ময়মনসিংয়ের সিনেমা হলে
রাজপথের জনসভায়, মিছিলে
রমনায় ছায়ানটের জলসায়
যশোরে উদীচীর আসরে
বিচারকের এজলাসে, আদালত পাড়ায়।
এভাবেই আর হয়না পূরণ আমার ইচ্ছেগুলো
এভাবেই আর হয়না মরণ সবার কিচ্ছেগুলো।
(আবৃত্তির জন্য একটি সমকালীন কবিতা)
রচনাঃ রফিকুল ইসলাম ফারুকী
আলোচিত ব্লগ
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।