সন্ত্রাস-লালন আমাদের জাতীয় রাজনীতির এক চির পরিচিত বৈশিষ্ট্য।এটি নুতন কোন বিষয় নয়। আমি অন্য একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিডি নিউজ এর আজকের খবরটি লক্ষ্য করুন। সেখানে বলা হয়েছে- ঢাবি'র জিয়া হলে গতকাল রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার জন আহত হয়েছে। যার মধ্যে সমাজ বিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সোহাগের হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। সে এখন পঙ্গু হাসপাতালে।
ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, হল সভাপতি পক্ষের কর্মীরা সালমান ও কামালের নেতৃত্বে চাপাতি, লার্ঠিসোঁটা, রড নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় প্রাধ্যক্ষের কক্ষসহ অন্তত ১০টি কক্ষ ভাঙচুর হয়।
এরকম রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে আমরা খুব একটা অবাক হইনা। আবার বিচলিত না হয়েও পারিনা যখন দেখি ঢাবির শিক্ষার্থীরা, যারা উচ্চশিক্ষার ব্রতে নিয়োজিত, তারা কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কিংবা বিরুদ্ধমত থাকার কারনে চাপাতি-রড দিয়ে প্রতিপক্ষ শিক্ষার্থীকে রক্তাক্ত করছে।
আমরা অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করি, রাজনীতি চর্চা কত সহজে একজন কর্মীকে সব কিছু ভুলে নিজের হলমেট-দলমেটের পিঠ চিরতে কিংবা রগ কাটতে অনুপ্রাণিত করছে। দলপ্রীতির মোহ নিজ সহপাঠীকেও রক্তাক্ত করতে পিছপা করছে না।
আমি জানি না, এরকম রাজনীতি আপনাদের কতজনকে আশান্বিত করে বা আপনারা কতজন এটিকে সাপোর্ট করতে পারেন।
দুর্ভাগ্য যে, আমাদের রাজনীতি চর্চা নামক কারখানায় কত সহজে একজন আদর্শের একনিষ্ঠ কর্মী নিজের অজান্তেই পরিণিত হচ্ছে সন্ত্রাস কর্মীতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



