somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যাডবয় এবং তাদের প্রতি মেয়েদের আসক্তির দশটি কারণ-একটি অনুসন্ধান

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম প্রেম ভালোবাসা, পুরুষ ও নারী, ছেলে-মেয়ে, ভালো ছেলে আর ব্যাড বয়- এদের নিয়ে কিছু লিখবো। ফেসবুকে প্রতিদিন ছেলেমেয়েদের প্রেম ভালোবাসা এসব নিয়ে শত শত সারকাস্টিক জোক গুলো হয়ত আমরা সবাই পড়ি । পড়ে নিজের অজান্তে মাথা না ঝাকিয়েও উপায় নেই । এসব জোক অনেকাংশেই সঠিক । আবার বিভিন্ন ম্যাগাজিনগুলোতে কাউন্সিলর দের কোন উপদেশ দেখেও আজ পর্যন্ত আমার মনে হয়নি যে এগুলো কোন কাজের । সোজা ভাষায় যদি বলি তো ওগুলো ডাস্টবিনে অথবা কমোডে ফেলে সোজা ফ্লাশ করে দেয়ার মতো উপদেশ । চারপাশে স্মরণকালের মধ্যে সবথেকে বেশি ডিভোর্স রেট দেখার পর ম্যারিজ কাউন্সেলর দের ওপর ভরসা করা মনে হয় পুরোপুরি ঠিক হবে না। অদ্ভুত হলেও সত্যি যে, এসব কাউন্সেলরদের কাছে যাওয়া কাপলদের বেশিরভাগেরই শেষ পরিণতি যে ছাড়াছাড়ি তা একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই বুঝবেন । তবে যুক্তরাস্ট্রে এর অফিসিয়াল সংখ্যাটা হলো শতকরা ৭৭ দশমিক ৬ । অবাক হবার মতই ব্যপার । তবে এতে একটা জিনিস দিনের বেলার মতই পরিস্কার । তথাকথিত নিয়ম বা কাউন্সিলিং দিয়ে সম্পর্কের সরল অংক সমাধান সম্ভব নয় । তারপরও হাজার বছরের সামাজিক নিয়ম রক্ষার তাগিদেই হয়তবা আমরা এই সহজ সত্যটি মেনে নিতে পারছিনা । আর এর ফলাফল ভয়াবহ । পুরো দোষ গিয়ে পড়ছে আধুনিক মানসিকতার ওপর । পুরুষরা বিশ্বাস হারাচ্ছে মেয়েদের ওপর থেকে আর মেয়েরাও দোষ দিচ্ছে হাজারবছরের পুরুষশাসিত সমাজের নিয়মের ওপর, অবচেতন ভাবে কি এর ফলাফল তাদের জীবনে কিছুটা হলেও পড়ছেনা ? অথচ প্রকৃতির নিয়ম অনযায়ী এই দুই মিলেমিশে না থাকলে একটা সুন্দর সমাজ আশা করাটাই বৃথা ।

জীবনে ট্র্যাজিক একটা সম্পর্কের জের ধরে এ ব্যপারে শুরু হয় আমার পড়াশুনা আর আমি নিজেকে আবিস্কার করি সাইকোলজির একটা সাবকালচার গ্রুপের মাঝে যেটা পপ সাইকোলজি নামে পরিচিত । পপ সাইকোলজি আসলে টেক্সটবুক সাইকোলজি থেকে তৈরি হয়া একটা সাবকালচার যেটা সাধারণের বোঝার সুবিধার্তে সাধারণের ভাষায় আত্মোনয়নের জন্য লেখা । বাজারে আসা সেলফ-হেল্প নামে পরিচিত বইগুলোও এই পপ-সাইকোলজির সবচাইতে বড় উদাহরণ । যাই হোক, এখান হেকে আমি কিছু অদ্ভুত সত্য আবিস্কার করতে থাকি। আর তখনই মনোবিজ্ঞানের প্রতি তৈরি হয় আমার বিশেষ এক অনুরাগ । একের পর এক বই পড়ে ফেলতে শুরু করি মেইনস্ট্রিম সাইকোলজি থেকে শুরু করে আরো বেশ কয়েকটা পপ-সাইকোলজির ওপর। ব্লগে লেখার প্রধান কারণ ছেলে-মেয়েদের সম্পর্কগুলো যেন আরো সুস্থ্য হয়ে ওঠে সেই চাওয়া থেকে । খুব কাছের থেকে কিছু অসুস্থ প্রেমের সম্পর্ক দেখেছিলাম এবং প্রচন্ড কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিলাম বলেই হয়ত এই একটি ব্যপারে আমার আলাদা ফোকাস রয়ে গেছে । এজন্যই ঠিক করেছি আজকে সেইসব ছেলেদের নিয়ে লিখবো যারা মেয়েদের সাথে স্যাডিস্টিক আচরণ করে এবং এর পরেও কি এক অজানা কারণে মেয়েরা প্রেমের ক্ষেত্রে তাদের দিকে বিশেষভাবে দুর্বল যেখানে আশেপাশে ভালো ছেলের কোন কমতি নেই । আর এ ব্যপারে ভালো ছেলেদের অনেক কমপ্লেইন । কেন মেয়েরা ব্যাড বয়দের প্রতি এত ফিদা । যা ঠিকমত জানতে পারলে হয়তবা আমরা ভালো ছেলেরা কমপ্লেইন না করে বরং মেয়েদের আরো ভালোভাবে বুঝতে পারার দিকে কিছুদূর এগিয়ে যাবো ।
তবে তার আগে বলে নেই যে, এক প্রকার মেয়ে/ছেলে আছে যারা অসুস্থ পারিবারিক পরিবেশ অথবা প্রতিকুলতার মাঝে বড় হবার কারণে তাদের সেলফ এস্টিম বা আত্ম-মর্যাদা এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে সে ঘুরেফিরে অবচেতন মনে শুধু খারাপ কিছু আশা করে । আর এটার প্রভাব পড়ে তার জীবনের প্রতিটা ঘটনা এবং মানুষের ওপর । বিশেষ করে প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে এ ধরনের মানুষের অবচেতন মনে একটাই লক্ষ্য থাকে, নিজের চারপাশের পরিবেশ স্যাবোটাজ করা । আর ভালো কিছু স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ না করতে পারাটা এ ধরণের মানুষের প্রধান নির্দেশক । এধরণের রোগের নিরাময় ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি দিয়ে ধীরে ধীরে সম্ভব, আমাদের সমাজে সাইকোলজির ওপর এখন পর্যন্ত সাধারণের জানাশোনা অত্যন্ত কম থাকায় পারিবারিক কারণে সেলফ-এস্টিম সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গড়পড়তায় ৯০ শতাংশ অভিভাবকেরা তাদের ছেলেমেয়েদের যে পরিমাণ প্রশংসা করেন তার প্রায় ১২ গুন বেশি শাসন করেন, কচি বয়সে এর প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ হতে পারে । সেলফ-এস্টিম আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কি পরিমাণ প্রভাব ফেলে সে ব্যপারে সামনে আরো বিস্তারিত লেখার ইচ্ছেও আছে আমার । আপাতত স্যাডিস্টিক ব্যাড বয়দের প্রতি মেয়েদের আকৃষ্ট হবার কারণ অনুসন্ধান করা যাক ।
মনে রাখতে হবে যে এমন কিন্তু নয় যে মেয়েরা মার বা গালি খেতে ভালোবাসে । বরং মেয়েরা এদের প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে ঠিক যেমন ড্রাগ আসক্তরা ড্রাগের প্রতি আসক্ত হয় । নিজের ইচ্ছায় কেউ ড্রাগ আসক্ত হয় না । ড্রাগ আসক্তরা বরং এর জালে আটকে যায়, মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই । এ লেখাটিতে ব্যাড বয় কে অনেকটাই স্টেরিওটাইপ করা হয়েছে যদিও শুধু ব্যাড বয় মানেই যে মেয়েদের গায়ে হাত তোলে এমন নয় । বরং অনেক ক্ষেত্রেই তথাকথিত ভালো ছেলেরাও হাত তুলতে পারে । এখানে মূলত সেসব ছেলেদের কথা বোঝানো হয়েছে যারা মেয়েদের গায়ে হাত তোলে ।

১। মেয়েদের রেপুটেশন – তার জীবনের সবচাইতে দামী বস্তু
হয়তবা মনে হতে পারে যে, একটা ব্যাড বয়ের সাথে প্রেম করলে মেয়েদের রেপূটেশন তো খারাপ হবার কথা । সারাক্ষণ মানসিক অশান্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের অসামাজিকতার কারণে মেয়েদের রেপুটেশন তো খারাপই হবার কথা । তবে বাইরে থেকে এমনটা মনে হলেও আসলে ব্যপারটা উলটো । শর্ট-টার্মে মেয়েটার রেপুটেশন খারাপ হলেও লং-টার্মে দেখা যায় যে দোষগুলো আসলে সবই সেই বাজে ছেলেটার । এজন্য ভুলের প্রশ্ন যদি আসেই তবে মেয়েটার একমাত্র দোষ যেটা দেয়া যায় তা হলো সে ভুল ছেলেটাকে ভালোবেসেছিলো , আর বাকি সব দোষ কিন্তু সেই ছেলেটার । ছেলেটা তার নামে যাই বলুক না কেন সেগুলো গ্রহনযোগ্য নয় কারণ সে হলো মানসিক ভাবে অসুস্থ্য আর মেয়েটার জন্য সবারই খারাপ লাগছে ।[ ভালো ছেলেরা নিজেদের অজান্তেই মাঝে মাঝে মেয়েদের খারাপ রেপুটেশনের জন্য দায়ী থাকে, ভালো ছেলে হিসাবে তার সুনামের কারণে এসকল প্রেমে মেয়েটির রেপূটেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে ।
ভালো ছেলেদের জন্য উপদেশ – মেয়েদের রেপুটেশন তার জন্য অনেক বড়, আর নারী তথা প্রেমিকাদের রেপূটেশন রক্ষা করাও প্রতিটা পুরুষ মানুষের মূল্যবোধে থাকা উচিত বলে আমি মনে করি – প্রেম সফল হোক অথবা বিফল, একটি মেয়ের জীবন যেন তার কারনে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ ব্যপারে সচেতন হওয়া একজন দায়িত্বশীল পুরুষ মানুষেরই পরিচয়। ]

২। প্রচন্ড আবেগের দোলা এবং নাটকীয়তার প্রতি মেয়েদের আসক্তি
এই একটা জায়গায় ব্যাড বয়রা ভালো ছেলেদের থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে । জীবনে নাটকীয়তা মেয়েদেরকে আলাদা একটা অনুভূতি দেয় । আর ব্যাড বয় টাইপ ছেলেরা মানসিক কানেকশন থেকে শুরু করে আবেগময় প্রেম, রাগ এবং ক্ষমা – পজিটিভ থেকে শুরু করে নেগেটিভ সব ধরণের আবেগ মেয়েদের অত্যন্ত সাবলীল ভাবে দিয়ে যায় । যেখানে ভালো ছেলেরা ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না ।
এজন্যই মেয়েরা আনপ্রেডিক্টেবল ছেলেদের প্রতি সবসময় এক ধরণের ঝোক অনুভব করে থাকে । যেসব ছেলেদের লাইফস্টাইল অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর তাদের দিকে মেয়েরা সবসময় আকৃষ্ট । তবে ব্যাড বয়ের ক্ষেত্রে এই অ্যাডভেঞ্চারটাই একটা বিপদজনক অ্যাডভেঞ্চারে রুপ নেয় যার থেকে বেরিয়ে আসা হয়ে যায় মারাত্মক কঠিন একটা কাজ । আর সাথে যোগ হয় এই সম্পর্কের কারণে আশেপাশের মানুষের ভালোবাসা, সিমপ্যাথি আর বিশেষ মনোযোগ যার সবটাই আসলে মেয়েটার অবচেতন মনে আসক্তির সৃষ্টি করতে থাকে । সবমিলিয়ে পুরো ব্যপারটা আসলে একটা ঘোরের মত, যেখানে ভালো ছেলেদের সাথে প্রেম করলে এর কোনটাই পাওয়া যায় না ।
[ ভালো ছেলেদের জন্য উপদেশ – মেয়েরা শুধু ভালোবাসা চায় না , সাথে মাঝে মাঝে একটু বকা, একটু রাগ, একটু গাইডেন্স, আর সুস্থ্ দিক-নির্দেশনা আর সুস্থ্ অ্যাডভেঞ্চারও তাকে দিতে হবে, চড়াতে হবে তাকে আবেগের রোলার কোস্টারে, আর এটা করতে হবে নিজের জীবনকে আরো রোমাঞ্চকর বানিয়ে। ]

৩। তার ভেতরের ছোট্ট মেয়েটার প্রতি মনোযোগ –
স্যাডিস্ট ছেলেদের একটা স্বভাব হলো মেয়েদেরকে মানসিক ভাবে এতটা অ্যাবিউজ করা যার ফলে মেয়েরা তাদের ব্যক্তিত্বের একটা ভালনারেবল স্টেজে প্রবেশ করে । সাইকোলজি তে যাকে বলা হয় রিগ্রেশন । ব্যক্তিত্বের আন-ম্যাচিউরড একটা স্টেজে পিছিয়ে যাওয়া । প্রচন্ড মানসিক প্রতিকুলতার মাঝে মেয়েরা তার ব্যক্তিত্বের সেই ছোট্ট মেয়েটায় পরিণত হয়ে যায় আর প্রেমিককে তার অভিভাবকের আসনটা দিয়ে দেয় । আর এর অপব্যবহার করে অসুস্থ্ পরিবেশে বড় হওয়া সেই স্যাডিস্ট ছেলেটা ।

[ আমার এক্সপেরিয়েন্স থেকে এটা বলা যায় যে ভালো ছেলেরা কম বেশি এটা জানে । তার পরেও উলটো টাও হয়ে থাকে । মাঝে মাঝে ভালো ছেলেরাই ছোট্ট ছেলের মত আচরণ শুরু করে থাকে যা লং-টার্মে ওদের প্রতি মেয়েদের আকর্ষণ কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ । প্রেম করার অন্যতম যোগ্যতা হলো ম্যাচিউরিটি, তাই নিজেকে এখনো সেই ছোট্ট ছেলে ভাবতে চাইলে প্রেম না করে বরং মায়ের আচলে মুখ লুকিয়ে রাখা ভালো। প্রেম করার আরো সময় আসবে। ]

৪। দায়িত্ববান হওয়া এবং যে কোন ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নেবার ক্ষমতা থাকা
যেসব ছেলেরা মেয়েদের কথামতো চলে মেয়েরা তাদের প্রতি মনের অবচেতনেই সম্মান হারিয়ে ফেলে । আর ৭০ এর নারীবাদী আন্দোলন এর উত্থান শুরু হবার পর এর বিশেষ এক প্রভাব পরে আধুনিক মন-মানসিকতার পুরুষদের ওপর । নারীর অধিকার নিশ্চিত করার অংশ হতে গিয়ে তারা তাদের চরিত্রের সবচাইতে বড় গুণাবলীগুলো হারিয়ে ফেলতে শুরু করে । যার ফলাফল বর্তমান সমাজের টিপিকাল ভালো ছেলেরা । প্রেমের শুরুতেই প্রেমিকার জন্য যে কোন কিছু করতে পারার ক্ষমতা আছে প্রমাণ করতে তারা বর্জন করে নিজস্ব সকল ধ্যান-ধারণা আর বিশেষত্ব । আর ফলাফল হিসাবে মেয়েরা এসব ছেলের ওপর তার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে । যদিও প্রশ্ন করা হলে মেয়েরা বলবে যে তারা এমন ছেলেই পছন্দ করে কিন্তু হালকা যুক্তি খাটালেই বুঝবেন মেয়েদের বলা কথা আর কাজের মাঝে খুব সূক্ষ্ম একটা লাইন আছে যা আসলে সব ছেলেরা ধরতে পারেনা। যাই হোক, ভালো ছেলেদের মধ্যে তাই মেয়েদের ঘাড়ে সব দায়িত্ব ফেলার একটা গুণ নিজের অজান্তেই জন্মে যায় আর এটা দুই পক্ষের জন্যই খুব খারাপ ফলাফল নিয়ে আসে । একটা ছেলে যখন একটা মেয়ের কথামত উঠতে বসতে শুরু করে মেয়েরা অবচেতন মনে এটাই ধরে নেয় যে এই বিশেষ ছেলেটির আসলে নিজের ব্যক্তিত্ব বলে কিছুই নেই । আর ব্যাড বয়রা নিজস্ব ইন্সিকিউরিটির কারণে মেয়েদের হাতে কখনোই কন্ট্রোল দিয়ে দেয় না বরং মেয়েটার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে এবং তাকে সব ধরণের দায় থেকে মুক্তি দিয়ে দেয় । এই সম্পর্কের সব দায়-দায়িত্ব নিয়ে নেয় এই টাইপের ছেলেরা । আর এটাই মেয়েদের মনে এক ধরণের বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে, যদিও এই ছেলে তাকে কোন পথেই পরিচালিত করছে না বরং তার ওপর অন্যায় জোর খাটাচ্ছে, মেয়েটি ভাবছে যে তার প্রেমিক পুরো ব্যপারটার কন্ট্রোলে আছে ।
[ একজন সত্যিকারের নেতার গুণাগুন সপন্ন পুরুষের প্রতি মেয়েরা চিরকালই মুগ্ধ হয়েছে- তাই ভালো ছেলেদের আর কিছু বলার নেই, শুধু এটুকু যে নিজস্ব স্বকীয়তা যে প্রেমিকার কারণে বাদ দেয় তার কোন নিজস্ব স্বকীয়তাই নেই। মেয়েরা ছেলেদের কাছে একজন পুরুষ মানুষের মত আচরণ আশা করে । মায়ের আচলে মুখ লুকানো ক্লাসের ফার্স্ট বয় নয় । নিজের জীবনের লাগাম যার নিজের হাতে, যে জানে সে কি চায় এবং জীবনের লক্ষ্য যার সুনির্দিষ্ট, মেয়েদের কাছে তার চাহিদা সবসময় বেশি , দুখজনক হলেও ব্যাড বয়দের বাজে আচরণ মাঝে মাঝে মেয়েদের মনে ঠিক এই বিভ্রম তৈরি করে। ]

৫। মেয়েদের প্রেমিকা বনাম মা সত্বা
মেয়েদের প্রেমিকা সত্বা থেকেও বড় সত্বা হলো তার মা সত্বা । আর একটা স্যাডিস্ট ব্যাড বয়ের ক্ষেত্রে মেয়েদের এই সত্বাটাও খুব কাজ করে থাকে । একটা ব্যাড বয় কে ভালো ছেলে বানানোর প্রজেক্ট নিজের অজান্তেই নিয়ে বসে মেয়েরা, যেটা তার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জও বটে । ভালো ছেলেদের যেমন গাইড করা তেমন কোন ব্যপার না সেখানে এরকম একটা ব্যাড বয় কে ভালো ছেলে বানাতে পারলে কেমনটা হবে এই ফ্যান্টাসি পেয়ে বসে মেয়েদের । তার মা স্বত্বার জন্য এটা হবে একটা বিশাল জয় ।
[ ভালো ছেলেদের ব্যপারে এ জিনিসটা সম্পূর্ণ উলটো ভাবে কাজ করে। তারা মায়ের নির্দেশ মত চলতে এতটাই অভ্যস্ত যে তাদের জীবনে আসা মেয়েদেরকেউ তারা অবচেতন মনে মায়ের মত ভেবে বসে । আর ফলাফল স্বরুপ মেয়েরা তাদের প্রতি সম্মান ও আকর্ষণ ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলতে শুরু করে । শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটা অনেকাংশেই সত্য ]

২য় পর্ব - Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
৬৫টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×