অতীত ও মিতালি
নাসরীন খান
হাসিখুশি মুখখানা মনে পড়ে খুব
ভীষন সাংসারিক, অবয়বে খাঁটি গৃহিণী
চলছিল বেশ,তাঁর আতিথ্য ছিল উপভোগ্য
সদালাপি কি পর কি আপন ধন্য সকলে।
বুকের গভীরে ছিলাম এই আমি
কত গল্প,কত আড্ডা চলত দিনভর
ভালবাসার এক জলন্ত শিখা জ্বলত
অতীত নিয়ে কত কথা, হালকা হওয়ার আশে
উপদেশগুলি আমার জীবনে পাথেয় যেন।
আজ নিষ্প্রাণ এক দেহ,নিশ্চল
একটা মানুষ কিভাবে বেঁচে আছে এমনতর
শুধু বুকের খাঁচাটি জানান দেয়
' এইতো প্রাণটা আছে এখনো'
কি অক্লান্ত শেবায় স্বামী ধনটি তাঁর কাছে
যুদ্ধ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত
মুখের ভাষাও নেই,
দুটো মানুষের যেন একটাই জীবন হয়ে গেছে
একজন সচল থেকেও নিরব সেবাদাত্রী স্বামীটি
সংসার,অফিস বাচ্চাদের সঠিক পথ দেখানো
সবি সামলে নিচ্ছে প্রাণটাকে পুঁজি করে।
তোমার অবিন্যাস্ত চুলে সিঁথি কেটে দেখে,
কেমন দেখতে লাগত তোমায়!
এইতো চলছে তাঁর রোজনামচা।
ভাবতে ভাবতে হয়ত তাঁর চোখ ভিঁজে যায়
তুমি বুঝতেও পার না,কত কষ্ট যে তোমাকে
এত ভালবাসা আর সেবা দিচ্ছে।
কারো কারো জীবন এমনই হয়
যন্ত্রণা আর বিষাদে ঘেরা
চোখের সামনে শুধু প্রাণটা আছে তোমার
হয়ত এটাই সান্ত্বনা।।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৫