জলাতঙ্ক কি ?
১. জলাতঙ্ক একটি ১০০% প্রাণঘাতী রোগ।
২. আমাদের দেশে কুকুর হচ্ছে জলাতঙ্ক-এর প্রধান বাহক। অন্যান্য বাহক হল বেড়াল, ইঁদুর, বাঁদর ও বাদুড়।
৩. আপাতঃ সুস্থ দেখতে জন্তুরাও জলাতঙ্ক-এর বাহক হতে পারে।
৪. সংক্রামিত উষ্ণ রক্তের জন্তু, এমনকি পোষা জন্তুরও লালা যখন কামড়, আঁচড়, ফাটা ত্বক চাটার মাধ্যমে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে তখন জলাতঙ্ক সংক্রমিত হয়।
কুকুর বা অন্য জন্তুর কামড়ের পর ঃ
১. প্রচুর পানি ও সাবান দিয়ে ক্ষতস্থানটি ধুয়ে ফেলুন।
২. অ্যান্টিসেপটিক বা পভিডন আয়োডিন লাগিয়ে দিন।
৩. ক্ষতস্থানটি ঢাকবেন না।
৪. ক্ষতস্থানে হলুদ গুড়া, বাম, পিতলের থালা, চুন, ভেষজ, ঝাল ইত্যাদি কিছু লাগাবেন না এবং কলা পড়া খাওয়াবেন না। কারন তাতে কোনও লাভ হয় না বরং ক্ষতস্থানের আরও ক্ষতি হতে পারে।
৫. ক্ষতস্থানে ছ্যাঁকা লাগাবেন না বা পোড়াবেন না।
৬. মাদুলি অথবা জাদুটোনায় ভরসা করবেন না।
৭. যতদ্রুত সম্ভব রোগিকে ডাক্তার, ক্লিনিক বা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ঃ
১. প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিটে বিশ্বের কোথাও না কোথাও একজন জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে।
২. জন্তুদের কামড়ের ৬৮% হয় পোষা প্রাণী দ্বারা।
৩. জলাতঙ্ক গ্রস্থ প্রাণীদের ৬২% ছিল ১ বছরের কম বয়সী।
৪. জলাতঙ্ক রোগীর ৬৪% ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



