somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হজরত মুঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ৯:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যাদের ত্যাগ ও সাধনার বরকতে ভারত উপমহাদেশে আজ ইসলামের আগমন ঘটেছে তাদের মধ্যে চিশতিয়া তরিকার বুজুরগানে দীনের নাম সবিশেষ উল্লেখ্য এবং সর্বপ্রথম যার মাধ্যমে আমাদের দেশে এই বরকতময় তরিকার আগমন ঘটেছে তিনি হলেন হজরত খাজা আবু মুহাম্মদ চিশতি (রহ.)। তাঁর মাধ্যমে ইসলামের প্রচার প্রসার ও প্রতিষ্ঠার যে শুভ সূচনা হয়েছিল তারই আলোকময় বাস্তবায়ন ঘটেছিল হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর হাতে। রুহানি জগতের খাঁটি সাধক হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.)-এর জন্ম সিস্তানের গনজন পল্লীতে। তাঁর বাবা খাজা গিয়াসউদ্দীন ছিলেন একাধারে আল্লাহভক্ত আবেদ ও বিত্তশালী এবং পরহেজগার। হজরত চিশতি (রহ.) ছিলেন আরবের সুবিখ্যাত কুরাইশ বংশোদ্ভূত হজরত আলী (রা.)-এর বংশধর। মাতৃ ও পিতৃ উভয় দিক দিয়েই সত্যের সৈনিক শেরে খোদা হজরত আলীর সঙ্গে তাঁর বংশলতিকা জড়িত। তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে বেশ মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। ‘সিয়ারুল আওলিয়া’ নামক গ্রন্থে ১৪ রজব সোমবার ৫৩৭ হিজরির বর্ণনা রয়েছে এবং কারো মতে ৫৩০ হিজরিতে গনজন পল্লীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
একটি কথা জেনে রাখা অতীব জরুরি, হজরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রহ.) ছিলেন একজন পূর্ণাঙ্গ দায়ী-মুবাল্লিগ এবং আলিমে দ্বীন। শরিয়তের যথাযথ অনুসারী একজন আবেদ। শরিয়তের সঠিক শিক্ষার আলোকে পুরো মানবসমাজকে ঢেলে সাজানোই ছিল তাঁর জীবনের মূল লক্ষ। কিন্তু আমাদের সমাজের মারিফাতপন্থী বলে কথিত একটি শ্রেণী হজরত খাজা চিশতিকে (রহ.) এমনভাবে উপস্থাপন করেন যেন, পবিত্র শরিয়তের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্কই ছিল না। অধিকন্তু তারা নিজেদের পাপ-কুমতলবকে ঢাকার জন্য শরিয়ত ও মারিফাত নামে ইসলামকে দুটি ধারায় বিভক্ত করে সরলপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে রীতিমতো ধোঁকা দিয়ে চলছে অথচ নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্রই তাদের এসব মনগড়া জীবনযাপন ব্যবস্থাকে সমর্থন করে না। হজরত চিশতি (রহ.) বলতেন, মাওলার সান্নিধ্য লাভের প্রকৃত পথ হলো নামাজ। নামাজই মুমিনের মিরাজ। ৬ রজব সোমবার ৬২৭ হিজরিতে এশার নামাজ আদায় করার পর সুফি সম্রাট হজরত খাজা চিশতি (রহ.) তাঁর স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী হুজরায় গমন করেন এবং ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। ফজরের সময় আগের নিয়মানুযায়ী তিনি আর জাগ্রত হননি। মুরিদানরা দরজা ভেঙে ঢুকে দেখেন সুফি সম্রাট ইহলোক ত্যাগ করে মাহবুবের সান্নিধ্যে পাড়ি জমিয়েছেন।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×