কালকিনির ভায়েরা যারা বয়সে তরুন তাদের বলছি কারণ অনেকেই আমার কাছে প্রশ্ন করেছেন কেন দেশের লোক হয়ে আবুল হোসেনের পদত্যাগ চাই। তাদের বলি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হয় ইতিহাস জানতে হয়।১৯৭৫ পরবর্তি পরিস্থিতিতে কালকিনির আওয়ামিলীগের হাল ধরেছিলেন আজিজ চেয়ার ম্যান একাধারে কালকিনি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং কালকিনির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রায় ২৫ বছর।১৯৮৩ সালে তাকে হত্যা করার পরে আরেক কান্ডারী হাবিবুর রহমান আজাদ জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে কালকিনি আওয়ামীলীগ নেতা শুন্য হয়ে যায়।এখানে হাল ধরেন বাদল শিকদার।তিনি তার মামী (সাবেক পৌর চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীনের মা) এর দ্বারা অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকি কে আওয়ামীলীগে আনায়ন করেন।এই সময় মাদারিপুর থেকে বাহাউদ্দিন নাসিম এদের সংগঠিত হতে অনেক সাহায্য করেছেন সাথে ছিলেন বাবু উদ্দিপন সিকদার,কাজল কৃষ্ণ দে আরো অনেকে।ছাত্রলীগের সভাপতি হন তৌফিকুজ্জামান শাহীন এর পরে সভাপতি হন নান্নু সাংম্পদক হন মিড় মামূণ।এর পরে
সভাপতি হন শাহীনের ভাই শামীম ও সরাফত এর পরে লোকমান সরদার এবং বাদল কাজী।এরাই তখন ছাত্রনেতা হয়ে কালকিনির আওয়ামীলীগ চালাতেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মীর ফারুক মাদারীপুরে রাজনীতি করতেন তিনিও এর পরে কালকিনিতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেন ।বষীয়ান নেতা হিসাবে আব্দুল লতিফ উকিল,আজিজ মাষ্টার অনেক উৎসাহ যুগিয়েছেন।এরাই কালকিনির আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগকে শূন্য থেকে দাড় করিয়েছেন।এই দুঃসময়ে সকল প্রকার সাহয্য সহযোগিতা করতেন আজিজ চেয়ারম্যানের বোন অর্থাৎ শাহীনের মা।এর পরে দাদা ভাই ইলিয়াস চৌ নিজেকে উজার করে কালকিনিতে কাজ করতে থাকেন। ১৯৯১ সালে শিবচরের এম পি থাকা অবস্থায় দাদা ভাই মারা যান। কিন্তু ততদিনে তিনি কালকিনি মাদারীপুরে আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগ দাড় করে ফেলেছেন।
আবুল হোসেনের উত্থান ঃকালকিনিতে ১৯৭৩ সালে আব্দুর রাজ্জাক এম পি হন,এর পরে মান্নান শিকদার আর শেখ শহিদ।এদের কারো বাড়ী কালকিনি ছিলনা।তাই ১৯৯১ সালে স্বৈরাচার পতনের পরে সবাইর ইচ্ছা ছিল কালকিনির কাউকে মনোয়ন দেয়া আর এই সুযোগ গ্রহন করেন আবুল্যা চোরা। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও শেখ হাসিনা আবুল হোসেনকে নমিনেশনে রাজী ছিলেন না ।কারন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কালো তালিকাভূক্ত ছিলেন আবুল হোসেন।তার পরেও তাহমিনা সিদ্দিকীসহ ছাত্রলীগ নেতাদের জোড় সুপারিশে নমিনেশন পান।
কালকিনিতে আবুল হোসেন য আগে কালকিনি কলেজ ছিল ১৯৭২ সালে আজিজ চেয়ারম্যানের ঐকান্তিক উদ্যোগে এবং আব্দুর রাজ্জাকের চেষ্টায় তৈরী হয়।সেই কলেজ সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে নিজের নামে করে নেন।১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে কালকিনির রাস্তার টাকা নিয়ে তিনি কলেজের বিল্ডিং তৈরী করেন।এই কলেজে কি আজিজ চেয়ারম্যানের নাম কিছু রাখা হয়েছে? এই কলেযে কি আব্দুর রাজ্জাকের নাম কিছুতে রাখা হয়েছে? ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগ নেতা স্বপন- সরাফত মারা যান।আবুল হোসেন তখন দাবীর মুখে বলেছিলেন ২ টা বিল্ডিং এর নাম দুই জনের নামে রাখবেন।কিন্তু তিনি কি কথা রেখেছেন? রাখেন নি? যে তাহমিনা তাকে নমিনেশন এ নেদিলেন সেই তাহমিনা মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বানানোর জন্য শেখ হাসিনা মনোয়ন দিলেন।আর আবুল হোসেন তাকে বুঝালেন আপনি মহিলা এম পি হচ্ছেন জেলা সভাপতি হলে দায়িত্ব পালন কিভাবে করবেন?
আবুল হোসেনের কথা বিশ্বাস করলেন তাহমিনা।মহিলা এম পি নমিনেশনের সময় শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় বলল তাহমিনা কে মহিলা এম পি বানাব এবার।আবুল হোসেন তাহমিনা কে বলল আপনার ঢাকায় আসতে হবেনা।নেত্রীতো সবার মাঝেই বললেন আপনাকে এম পি বানাবে।আর দুই দিন আগে নেত্রীকে বললেন তাহমিনা এম পি হতে চায় না তাই ঢাকায় আসেনি।
কালকিনি উপজেলা নির্বাচনে পৌর চেয়্যারম্যান তৌফিকুজ্জামান শাহীন কে বললেন পদত্যাগ করে নির্বাচন করতে।আবুল হোসেন মন্ত্রী হওয়ার পরে শাহীন কে হারানোর জন্য শেখ হাসিনার নাম ভাঙ্গীয়ে সারা কালকিনিতে ছড়ালেন ফারুক কে নেত্রী নমিনেশন দিয়েছেন ।পরে তা মিথ্যা হয়েছে।সকল ইউপি চেয়ারম্যান কে বাধ্য করলেন শাহীনের বিরুদ্বে নির্বাচন করতে।ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস এই ঘটনা দুটির একমাস আগেই তাহমিনা আর শাহীন ছিলেন আবুল হোসেনের প্রস্তাবক আর সমর্থক। বৈইমান কাকে বলে আবুল দেখালেন।মীর ফারুক উপজেলা চেয়্যারম্যান হওয়ার পরে তাকে তাছিল্য ভাবে অপমান করেন আবুল। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সভায় উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে বসান মন্ত্রীর সাথে আর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সাথে বসান উপজেলা চেয়ারম্যান কে? প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপমান করেন তুমি কয়টা ফ্লাট কিনছ নাকি? আর আবুলের ভাগিনা ভাতিজারা ভাগ বাটোয়ারা করে সবাই কোটিপতি। দেখুন কারা আওয়ামীলীগের জন্য এত কষ্ট করল আর ভাগ খায় কারা। দুই একজন চামচাও আছে আবুলের তারা আজ কোটি পতি যেমন আবুলের শীর্ষ চামচা সবুজ যে আবুলের ভাগনা শাখায়াতকে তদ্বির জোগাড় করে দিয়ে আজ কোটি পতি।কিছু দিন আগেও সবুজের ভাঙ্গা টিনের ঘর থেকে এখন দোতালা বাড়ী/জমি এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ।তেমনি তার পি এ ইলিয়াস।যে ইলিয়াসের চিকিৎসার সামান্য টাকা জোগাড় করার জন্য কালকিনি বাজারে হাত পাততে হয়েছে সে এখন সাভার এবং কালকিনিতে কোটী কোটী টাকার সম্পদের মালিক।এরা সবাই আবুলের ভাগ্নে শাখায়তকে তদ্বির এনে দেয়।
আবুল হোসেন একটা অমানুষঃকালকিনির বিশিষ্ট কোন ব্যক্তিবর্গ বা সাধারন মানুষের অসুখে বা মারা গেলে আবুল কখনও খোজ নেন না।দলীয় কোন নেতার অনুষ্ঠানে হাজির থাকেন না। যে বিষয়টা আপনাদের আশ্চার্য লাগবে যে কালকিনি উপজেলা এবং মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি লতিফ উকিল মারা গেলে আবুল হোসেন আজ পর্যন্ত তার বাড়িতে যান নি।কয়দিন আগে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি যার বাড়ীতে নির্বাচন কালীন আবুল হসেন থাকেন সেই ফেরদৌস জমাদ্দার মারা গেলেন কেউ কি দেখেছেন আবুল হোসেন কে? না না না। তাহলে সারা দেশের রাস্তা দেখার এবং সাধারন মানুষের দুদর্শা দেখার সময় তার কই?
সূত্র: Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



