ছোট্ট শিশু নির্মলের আজ মনটা খুব ফুরফুরে। কতইবা বয়স তার ৪ কি ৫ বছর, এই বয়সেই সে তার বাবার সাথে ফজরের নামাজ পড়তে যায় এবং নামাজে শেষে মসজিদে মক্তবে আমপারা শিখে। আজকে তার মন বেশী ভালো থাকার বিশেষত্ব হচ্ছে সে বাবার সাথে নদীর পার ঘুরতে গেছে, সে আজ অনুভব করছে প্রকৃতির নির্মল বাতাস, শরৎ এর কাশফুলের ছোয়া, বাবাকে বলতেই সে একটা কাশফুল ছিড়ে দিলো। নির্মলের বাবার এক বন্ধু পাশের গ্রাম থেকে আসার কথা তাকে এগিয়ে আনতেই তৈইব সাহেব তার ছেলেকে সাথে রেখেছেন।
বাবার বন্ধু রফিক সাহেব তাদের বাড়িতে আসার পরেই নির্মল একটু দুরে দুরে থাকে, শিশু মন কি জানি বাবার বন্ধুকে ভালো ভাবে গ্রহন করতে পারেনি। যদিও রফিক সাহেব মানুষটা দেখতে খারাপ না।
সকালের নাস্তা শেষে সকলে একসাথে গল্প করছে হঠাৎ রফিক সাহেব একটা কান্ড করে বসলো। সে দুষ্টামি করে নির্মলের প্যান্ট নিচের দেকে টান দিলো উপস্থিত সকলে হতবাক হয়ে গেলেও হাসি ঠাট্টার সাথে তা এড়িয়ে গেল কিন্তু নির্মল ছোট হলে কি হবে খুবেই অপমানিত বোধ করলো। সে পুকুরে গোসল করতে গেলেও উলঙ্গ হয় না যে তার বয়সি অন্য শিশুরা উলঙ্গ হয়ে নির্ধিদায় গোসল করে। সে এতটাই অপমানিত বোধ করলো যে সারাদিন আর ঘর থেকে বের হলো না।
যাক দেখতে দেখতে তিন মাস কেটে গেলেও নির্মলের মাথা থেকে ঐ ব্যপারটা এখনও ভুলে যায় নি। একদিন হঠাৎ করে রফিক সাহেব নির্মলের পুরো পরিবারকে দাওয়াত দিল। খাওয়া দাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হলে সবাই বিছানায় মাদুর পেলে খেতে বসল। রফিক সাহেব কি এক কারনে বিছানায় উঠে তাকের উপর কিছু খুজতে ছিল, নির্মল যেন এই অপেক্ষায় ছিল, সে হঠাৎ রফিক সাহেবের লুঙ্গি হালকা টান দিল, যা হবার তাই হলো, উপস্থিত সকলে হাসবে না নির্মলকে বকবে বুঝতে পারছিল না। রফিক সাহেবও খুবেই লজ্জিত হলো আরো এই ভেবে যে সেও এক সময় দুষ্টামি করে এই শিশুটিকে সকলের সামনে উলঙ্গ করেছিল।
(শিক্ষা: শিশুদের সাথে দুষ্টামি করার সময় ভেবে চিন্তে করা উচিত)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



