“ডেসটিনি ২০০০” শব্দটি আমাদের কর্ণকুহরে এতো বাড়েই প্রতিধ্বন্বিত হয়েছে যে নার্সারি শ্রেনীর শিশুও বলতে পারে ও বাবা দেখ দেখ ঐ যে ডেসটিনি যায় আমাকে একটা ডেসটিনি এনে দাও।
এরা সাধারন মানুষদের আকৃষ্ট করার পূর্বে মসজিদের মুয়াজ্জিন বা খাদেম শ্রেনীর অথবা কেউ কেউ ইমাম শ্রেনীদের আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। আবার তারা বড় বড় আলামের নামে একটা শরীয়া বোর্ডও গঠন করে। এবং তা তাদের প্রচার পত্রে খুব সুন্দর করে উল্লেখ করে। যার ফলে অনেক সাধারন মানুষ এদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এক সময় দেখতাম এদের যারা টিম লিডার মুখে দাড়ি আছে, নামাজের সময় হলে প্রোগ্রামের মাঝেই নামাজ পরে, এইসব দেখে শিক্ষিত একটি শ্রেনীও এদের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। আমিও তার বাইরে নই। তবে আমি যদি চাপা পিটাইতে পারতাম তাহলে হয়তো “ডেসটিনি ২০০০” এর অগ্রসর কর্মী হইতাম।
আর এখন এই হারামী “ডেসটিনি ২০০০” ভারত থেকে নর্তকী এনে নাচ দেখায়। ইসলামী ফাউন্ডেশন নাচ দেখায় ঈমানদের আর “ডেসটিনি ২০০০” নাচ দেখায় তরুন বখাটেদের।
এদের মাঝে যে ভালো কিছু গুন নাই তা বলা যাবে না। যারা ডাকাত, চোর ওদের মাঝে ও অনেক ভালো গুন আছে তা না হলে ওদের বউ বাচ্চা বন্ধু থাকতো না।
ওরা দাবী করে যে এই পর্যন্ত ওরা ৪৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করেছে আমি বলি ৪৫ লক্ষ ভিক্ষুক কাজে নিযুক্ত করেছে পার্থক্য শুধু এরা টাই প্যান্ট পরে।
ভিক্ষুক রা যে অভিনয়, আকুতি-মিনতি, কথা দ্বারা মানুষের কাছে থেকে টাকা সংগ্রহ করে “ডেসটিনি ২০০০” এরাও এভাবে টাকা সংগ্রহ করে টিভি চ্যানেল, প্রত্রিকা, নর্তকি পালে। আর কি লিখবো আমার এক বন্ধূ এর স্বীকার কিন্তু লজ্জায় বলতে পারে না, আমার এক মামার পুরো পরিবার “ডেসটিনি ২০০০” এর সদস্য কিন্তু তাতে কি .........
আমরা এতোই বোকা চোখের সামনে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও দেখি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



