কবি, সাহিত্যিক, চিন্তাবিদ, যোদ্ধা, দার্শনিক গুণ সম্পন্ন ব্যক্তি দুখ মিয়া যে শুধু তার জীবনকালেই দুখ: করে যাননি তাই নই তার দুখের ভার এখনও তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন। কেননা তিনি তার পরিচয় গোপন রাখেননি। গর্ব করে বলে গেছেন কি তার পরিচয়, কি তার লক্ষ্য, কি তার চেতনা। আজ আমরা তার সেই চেতনাকে ভয় পাচ্ছি যদি তরুনদের মাঝে এই চেতনা ছড়িয়ে পরে তাহলে আমাদের এই লুচ্চামির কি হবে। আমাদের ভিক্ষার বাঠি কি দিয়ে ভরবে। আমার লেখার জোর খুবেই কম। সমালোচনার ধারও নেই তারপরও এস বি ব্লগ আমাকে নোটিস পাঠায়, প্রথম পৃষ্ঠার সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে । আফসুস!
যাক আমি আজ দুখ মিয়ার প্রবন্ধ থেকেই তার নিজেকে দেয়া পরিচয় তুলে ধরবো।
কবি লিখেছেন,
"এক আল্লাহ ছাড়া আমার কেউ প্রভু নেই। তার আদেশ পালন করাই আমার মানব ধর্ম। আমি যদি আমার অতীত জীবনে কোন 'কুফর' বা 'গুনাহ' করে থাকি, তার শাস্তি আমি আমার প্রভু আল্লাহর কাছে থেকে নেবো, তার শাস্তি কোন মানুষের দেওয়ার অধিকার নাই। আল্লাহ লা-শারীক, একমেবাদ্বিতীয়তম। কে সেখানে "দ্বিতীয়" আছে যে আমার বিচার করবে ? কারো নিন্দাবাদ বা বিচারকে আমি ভয় করি না। আল্লাহ আমার প্রভু রসূলের আমি উম্মত, আল-কোরান আমার পথ-প্রদর্শক । এ ছাড়া আমার কেহ প্রভু নাই, শাফায়াত দাতা নাই, মুর্শীদ নাই"
কবি আরো বলেছেন,
"এই পৃথিবীতে রাজ রাজশ্বের একমাত্র আল্লাহর। যারা এই পৃথিবীতে নিজেদের রাজত্বের দাবী করে তার শয়তান। সে শয়তানের সংহার করে আমরা আল্লাহর রাজত্বের প্রতিষ্ঠা করব। যে মুসলমানের ক্ষাত্রশক্তি নাই, সে মুসলমান নয়। যে ভীরু সে মুসলমান নয়। এই ভীরুতা এই তামসিকতা, এই অপৌরুষকে দুর করাই আমার লীগ, আমার কংগ্রেস। এছাড়া আমার অন্য লীগ-কংগ্রেস নাই্"।
কবি তার কবিতায় লিখেছেন,
"শক্তি-সিন্ধু মাঝে রহি' হায় শক্তি পেল না যে
মরিবার বহু পূর্বে, জানিও মরিয়া গিয়াছে সে"
আমি "নবযুগে" যোগদান করেছি শুধু ভারতে নয়, জগতে নবযুগ আনার জন্য, এ আমার অহংকার নয় এ আমার সাধ, এ আমার সাধনা, এই বিদ্বেষ-কলহ-কলঙ্কিত, প্রেমহীন ক্ষমাহীন অসুন্দর পৃথিবীকে সুন্দর করতে , শান্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে__ আল্লাহর বান্দা রুপেই কর্মক্ষেত্রে অবর্তীন হয়েছি। "ইসলাম" এসেছে পৃথিবীতে পূর্ণ শান্তি সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে-কোরান মাজীদে এই মহাবানীই উথিত হয়েছে। এক আল্লাহ ছাড়া আমার কোন প্রভু নেই। তার আদেশ পালন করাই আমার একমাত্র মানব-ধর্ম।
" মুসলমানের জ্ন্য আমার দান কোন নেতার চেয়ে কম নয়; যে সব মুলমান যুবক আজ নব জীবনের সাড়া পেযে দেশের জতীয় কল্যানের সাহায্য করছে তারা প্রায় সকলেই
অনুপ্রেরণা পেয়েছে এই ভিক্ষুকের ভিক্ষা ঝুলি থেকে" ।
উপরোক্ত এই কথাগুলো কবির লিখিত প্রবন্ধ "আমার লীগ কংগ্রেস" থেকে নেয়া যেখানে উভয় পক্ষ হতে আমার এই প্রিয় কবিকে সমালোচনার বানে জর্জরিত করা হয়েছিল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



