অপু আর দিবার , দের বসরের রিলেসনের মধ্যে , দিবার চেয়ে সুন্দরী , শশী এসে দাঁড়ালো । বুঝতেই পারছেন অপু সাঁহেব তখন চোখে শশীর সরষে ফুলের কারনে দিবা কে আর মানুষ হিসেবে চিন্তে না পেরে , হলুদিয়া পাখি হিসেবে দেখতে লাগলেন ।
দিবা ২ বসর ধরে অনেক হাতে পায়ে ধরে ,কেদে কেটে , মোটামুটি একটা সাগর বানিয়েও অপুর কঠিন মন থেকে , একফোঁটা ভালোবাসা ও
ফিরিয়ে আনতে না পেরে যখন অপুর আশা ছেড়ে দিয়ে
যারে........................ যারে উঁড়ে যারে পাখি,
ফুরাল প্রানের মেলা............শেষ হয়ে এলো বেলা্............... আর কেন মিছে তোরে বেঁধে রাখি..................
ভেবে..............................
আত্তহননের পথকেই বেছে নিয়েছে।
তখন আমাকে ফোন করে , কাঁদতে কাঁদতে বলছে, নিতা , তুই কি এখনি একটুঁ আমার বাসায় আসতে পারবি?
খুব জরুরী
আমার ততোক্ষনে বোঝা হয়ে গেছে , এই ছিচকাদুনে , আবারো কোন অঘটন ঘটানর চিন্তা করছে। এর আগে উনি একবার এক গাদা ঘুমের ওষুধ খেয়ে সবাইকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছেন। কিন্তু যার জন্য এতকিছু , তার নাক ও খুঁজে পাওয়া গেল না, দরি পরানোর জন্য , ঘুরানোতো দূরের কথা.....................
আমি পরি মরি করে ছুটলাম
গিয়ে বললাম বল কি হয়েছে?
দেখ নিতা আমি অনেক ভেবে দেখেছি , অপু কে ছাড়া বেচে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না..................
আমি চুপ করে শুনছি পুরান কথা, শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা এসব নিয়ে ওকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করতে করতে এখন আর আমার ধৈর্য নেই।
মনে হচ্ছিল একটা থাপ্পর দিয়ে ওর দাত ফেলে দেই
কিন্তু ওর কান্নাভেজা চোখ দেখে আর কিছুই করতে পারলাম না।
আমার কাছে একটা পনডস ক্রিমের কৌটা নিয়ে এসে বলল , তোকে কিছু কিছু দায়িত্ত দিয়ে যাব , কথা দে সব তুই ঠিক মতো পালন করবি
হুম করব।
এই কৌটাটা অপুকে ফেরত দিবি, বললাম কি এর মধ্যে?
কৌটা খুলছে আর কাদছে আর আমাকে দেখাচ্ছে...........................
এইটা অপুর ব্যাবহার করা কলমের মুখা..................
এই টা ওর ব্যাবহার করা টিস্যু পেপার, আমি একটুঁ সরে বসলাম
এরপর একটা ছোট কাগজ খুলছে ............
আমি অধীর আগ্রহ নিয়ে দেখছি ছোটো একটা শাদা রঙের পাথরের মত কি একটা বের করল , বল্লাম এটা কি? ও একটুঁ হেঁসে বলছে ......... জানিস , একবার আমি আর অপু রাস্তা থেকে পেয়ারা কিনে খাচ্ছিলাম ,হঠাৎ ওর একটা দাতেঁর একটু অংশ ভেঙ্গে গেল
আমি একহাত দূরে সরে গিয়ে বললাম , এইটা কি ওর দাঁতের সেই অংশ।
এরপর আরেকটা কাগজ বের করছে দেখে আমি মোটামুটি আতংকিত, না জানি ও আর কি বের করে ............ অপুর মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে কয়েকটা চুল বালিশে পড়েছিল সেগুলো দিবা কাগজে পেঁচিয়ে রেখে দিয়েছে
এর পর আর একটা অনেক যত্ন করে রাখা কাগজ বের করে বলল , দেখ ও আমাকে নিয়ে কি অদ্ভুত সুন্দর একটা কবিতা লিখেছে........................
কবিতা.........
তুমি দাঁত আমি মাড়ি
তুমি তাঁত আমি শাড়ি
তুমি চুড়ি আমি পরি
তুমি মুড়ি আমি ঝুরি
তুমি পরী আমি ক............
আর পড়ার রুচি হলনা আমার, রাগে গা জ্বলছে
তুই শাড়ি হবি কেন? আর চুড়ি ই বা পড়বি কেন?
হারামজাদা হিজরা কোথাকার.........
আর এই স্টুপিড মেয়ে বলে , কি সুন্দর কবিতা এইরকম একটা ছাগল কে ভালবেসে যে মেয়ে মরতে চায় , তার বেঁচে থাকার রাইট ই নেই।
দিবা আজ রাতেই ঘুমের ওষুধ খাবে , অনেক মিনতি করে আমি বললাম ঠিক আছে , আজ হোক কাল হোক সবাইকেই মরতে হবে, আজ তুই মরবি কাল আমি কিন্তু আমাকে তুই দুটো দিন সময় দে, আমি অপুর সাথে কথা বোলে দেখি কিছু করতে পারি কিনা,ওর কাছ থেকে ওর
ফেসবুক এর পাসওয়ার্ড নিয়ে বাসায় ফিরলাম , অপু হারামজাদা কে ফোন করতে করতে আমি টায়ার্ড, কোন নাম্বার ই হারামজাদা রিসিভ করেনা, তখন আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করলো , আমি ওকে সব বললাম ......... দোস্ত তুইঁতো একটা ছেলে , একটা বুদ্ধি দেনা , কোনোভাবেই কি অপু কে ফেরানো যায়না ? ও বলল ভালবাসা ফেরানো যাবে কিনা জানিনা, তবে কদিনের জন্য ওকে ফেরানর একটা উপায় হল দিবার সামনে অপুর চেয়ে সুন্দর আর হ্যান্ডঁসাম কোনও বয় ফ্রেন্ড খারা করা তাইলেই দৌড়াইয়া আসব।
আমি ওর বুদ্ধি অনুযায়ী , দিবার ফেসবুকে ঢুকে অপু কে একটা বিরাট মেসেজ দিয়ে দিলাম , মেসেজএর সারমর্ম হল এই............
অপু, আমি তোমাকে কখনও ভুলতে পারবো কল্পনাও করিনি। ওর ভালবাসায় আমি তোমাকে ভুলতে পেরেছি কারন ও ঠিক তোমার মত আর তোমার মতো করেই আমাকে ভালবাসে....................................... ওর ছবি দেখে আমার সারাদিন চলে চলে যায়.............................. আমি এখন অনেক ভালো আছি , তুমিও ভাল থেকো । এর সাথে আমি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড ,খুব সুন্দর প্রবাসি একটা ছেলের আইডি এবং ছবি দিয়ে দিয়েছি।ম্যাসেজ টা রাতে পাঠিয়ে আমি ঘুমিয়েছি, সকালে উঠে আমি দিবার ফেজবুকে ঠুকে পুরা ............ টাঁশকি
অপুর বিরাট বিরাট ৪ টা মেসেজ এসেছে , মেসেজ এর সারমর্ম হল............
দিবা , তুমি এসব কি বল? ............... তুমি যা বলবে আমি তাই করব..........................তোমার পায়ে পড়ি আমাকে ছেড়ে যেও না............ তোমাকে ছাড়া আমি বাচবনা...........................
অপুর চরিত্র .................. আমি টাস্কিতোঁ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৭