somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

******* কয়েকটা ছোট ছোট গল্প *******

১৬ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :










সব গল্পই নেট থেকে পাওয়া। অনুবাদ করলাম।


***********
স্কুলের টিচার অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছে। অ্যাসাইনমেন্টের বিষয়: "What you want to be in your Life?"

সবাই অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলো। টিচার অ্যাসাইনমেন্ট চেক করছে। এমন সময় দেখতে পেল যে এক স্টুডেন্ট অ্যাসাইনমেন্ট কপিতে শুধু "Happy" লিখে রেখেছে।

টিচার: "আমার মনে হয় তুমি অ্যাসাইনমেন্ট-টা কি তা বুঝতে পার নাই।"
স্টুডেন্ট: "হতে পারে ম্যা'ম। তবে আমার মনে হয় আপনি লাইফ-টা কি তা বুঝতে পারেন নাই।"
***********



***********
একটা ভদ্রলোক রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হঠাৎ দেখতে পেলেন যে রাস্তার পাশে ছোট্ট ছোট্ট দুইটা ছেলে-মেয়ে কাঁদছে।

--- "খুকি, তুমি কাঁদছো কেন?"
== "আমার পুতুল ভেঙ্গে গেছে।" :((

--- "খোকা, তুমি কাঁদছো কেন?"
~~ "আমার পুতুল কাঁদছে, তাই আমি কাঁদছি।" :((

[এর আগে একবার পোষ্ট করেছিলাম।]
***********



***********
...... শেষ পর্যন্ত তাদের মাঝে ঝগড়া লাগলো। এরকম সিচুয়েশনে ঝগড়া লাগাটাই স্বাভাবিক।

ছেলে: "দেখ, তোমাকে শেষবারের মতো বলছি ওর[আগের প্রেমিক] আর আমার মধ্যে যেকোন একজনকে তোমাকে বেছে নিতে হবে। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি, বাট আমি তোমার অপশন হিসেবে থাকতে পারবো না।"

মেয়ে: "নাহ, আমি ওকে ছাড়তে পারবো না। তুমি তো জানই যে ওর হার্টের প্রবলেমটা খুব বেশি সিরিয়াস। ও আর বেশি দিন বাঁচবে না। ওর জীবনের শেষ সময়টা অন্তত ওর পাশে কাটাতে চাই।"

ছেলে: "ওকে। ভালো থেক। গুড বাই ফরইভার।"


১০ দিন পর ....

মেয়ের আগের প্রেমিকের হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ। মেয়েটা একসময় হার্ট ডোনারের পরিচয় জানতে ডক্টরের কাছে গেল। ডক্টর তখন মেয়েটাকে হার্ট ডোনারের দেওয়া একটা নোট দিলো। নোটটাতে লেখা ছিলো ---

"My heart is only for you ... So I gave my heart to him ... Hope you'll love me too ..."
***********



***********
একদিন সেই ছেলেটা মেয়েটাকে চ্যালেন্জ করে বসলো। খুব সহজ একটা চ্যালেন্জ, "তুমি যদি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো তাহলে তুমি আমার সাথে একটা সম্পূর্ণ দিন কোনরকম যোগাযোগ করবে না। যদি তুমি টানা ২৪ ঘন্টা যোগাযোগ না করে থাকতে পারো তাহলে আমি তোমাকে আজীবন ভালোবাসবো।"

মেয়েটা রাজি হলো। সে সারা দিন একবারও যোগাযোগ করলো না ছেলেটার সাথে। কোন ফোন-কল বা কোন এস.এম.এস. - কিছুই করলো না।

পরদিন মেয়েটা দৌড়ে গেল ছেলেটার বাসায়। মেয়েটা জানতো না যে ছেলেটার ক্যান্সার ছিলো আর তার আয়ু ছিলো মাত্র ২৪ ঘন্টা। মেয়েটার চোখ দিয়ে অঝোর-ধারায় পানি পড়লো যখন সে দেখতে পেলো, ছেলেটা কফিনের শুয়ে আছে আর তার পাশে একটা চিঠি। সেখানে লেখা আছে, "You did it baby. Can you do it everyday? I love you."

[এর আগে একবার পোষ্ট করেছিলাম।]
***********



***********
এক বৃদ্ধ ভদ্রলোক তার ২৫ বছর বয়সের ছেলে সহ ট্রেনে করে বাসায় ফিরছেন। ছেলেটা ট্রেনের জানালা দিয়ে আশেপাশের প্রকৃতি দেখছে।

ছেলে: (ট্রেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে) "বাবা! কি মজা! দেখো, ট্রেনের বাইরের গাছগুলো সব পিছনের দিকে যাচ্ছে!"
বাবা: (হাসিমুখে) "Yah ... Cheers my son ..."

ছেলে: (কিছুক্ষণ পর) "বাবা! দেখো, কি সুন্দর পুকুর। পুকুরের উপর ঐ ছোট্ট ছোট্ট পাখিগুলো কোন পাখি, বাবা?"
বাবা: (হাসিমুখে) "ওগুলো মাছরাঙ্গা পাখি।"

ট্রেনে তাদের পাশে এক ভদ্রলোক বসা ছিলো। সে চিন্তা করে পাচ্ছে না যে কিভাবে এই ২৫ বছর বয়স্ক ছেলেটা বাচ্চাদের মতো আচরণ করছে, অল্প কিছু দেখেই আনন্দিত হচ্ছে। কিছুক্ষন পর বৃষ্টি পড়া শুরু করলো এবং বৃষ্টির কিছু ফোটা এসে ছেলেটার হাতের উপর পড়লো।

ছেলে: (খুব খুশি হয়ে) "বাবা! দেখো দেখো ... বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির ফোটা আমার হাতের উপর পড়ছে। "

এমন সময় ভদ্রলোক তার কোতুহুল দমন করতে পারলো না। সে তার ছেলেটার বাবাকে বললো, "আপনার ছেলে বয়স হিসেবে যথেষ্ট ইমম্যাচিউর। তাকে কেন একজন ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান না। হসপিটালে ডাক্তারদের সাজেশন মতো চললে সে সুস্থ হয়ে যাবে।"

ছেলেটার বাবা উত্তর দিলো, "আমরা হসপিটাল থেকেই বাসা ফিরছি। সে এখন কমপ্লিট সুস্থ। তার চোখের অপারেশন হওয়ার পর আজ সে জীবনে প্রথমবারের মতো দেখতে পারছে।"

[We find it so easy to jump to conclusions and pass judgments… a humble reminder not to draw conclusions until you get all the facts.]
***********


***********
আরো কিছু অনুবাদ গল্পের লিংক:

"অপ্রকাশিত ভালোবাসা" --- A SAD LOVE STORY

"নীরব ভালোবাসা" --- A Silent Love Story

এই গল্পটা শুধুমাত্র 'বাবা'-দের জন্য ............

'মা'-এর জন্য গল্প ............

একটা রূপক গল্প: ভালোবাসার গন্তব্য ...

***********
২৩টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×