পুষ্কুনির ধারে পদ্মার আত্মাবন্ধি আকাশ; তাতে হুকে ঝুলছে প্রেমে খাওয়া আধা চাদ,
কাদবনা বলে পালিয়ে এসেছি পুষ্কুনির ঘাটে,
হুতুম পেচা চেটে দেয় চোখের লবনের স্মৃতিময় সরবত,
কাদব না, আজকে অন্তত আর কাদব না,
মস্তিষ্কের গ্রামোফোনে বাজছে সুসান বয়েলের "ক্রাই মি এ রিভার..."
এই গ্রামোফোনের সুইচ না থাকায় গানটাকে বন্ধ করা গেলোনা,
ঘটনার সময়কাল ১২ই জোছনাবার, স্বপ্নের চোদ্দ কোটি বছর পেরিয়ে
ঝাউবনের কম্পাস প্রথমবারের মত দেখিয়েছিল তারাদের সড়কপথ,
আর একজন নারী সাপের মত ফনা তুলে তাকিয়ে ছিল আমার দিয়ে,
সরিসৃপ দৃষ্টি দিয়ে তিনি আমাকে কিছু একটা বলতে এসেছিলেন,
ইতঃস্তত দ্বিধাযুক্ত তার হাতের আঙ্গুলগুলো আমার কাছে এসে থেমে গেল,
তিনি উঠে গেলেন কিছু না বলেই, সবগুলো শিকড় ছিড়ে একটি গাছ উপড়ে ফেলা হল। আহা, আমি তাকে পিছন থেকে ডাকতে পারিনি;
পুষ্কুনিতে সেদিন ডুব দিয়ে আত্মাহুতি দিল আমার ছায়া,
আমি এখন হাটি ছায়াহীন; আমি আর কোনদিন আলোতে যাইনি এর পর,
ছায়াকে আমি ভীষন ভয় পাই, ছায়া আমাকে কামড়ে ধরে,
কাদবনা বলে প্রতিদিন পুষ্কুনির পাড়ে আসি,
সারাদিনে জলীয়বাষ্প হওয়া পানিটুকু রিফিল করি ব্যক্তিগত ঘোলা পানি দিয়ে; সতাব্দির পুঞ্জিকা ঘেটে অতীতের ফিরে যাওয়ার জন্য সময়ের একটা ক্র্যাক খুজতে থাকি,
সময়ের ঐ স্ট্যাটিক বিন্দুতে ফিরে গিয়ে ওনাকে শুধু বলতে চাই,
"ফিরে আসবেন, আমি অপেক্ষায় থাকব।"
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০০৯ রাত ১০:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



