গর্ভের জলজ মৃত্তিকায় ভ্রনীয় চারাগাছের বিবর্তনে গজালো আঙ্গুল, চুল, নখ,নাজুক হ্রদপিন্ড,
ড্যাবড্যাবে রঙ ভিক্ষুক দুইটি চোখ;
সম্মতিহীন-
একনায়কতান্ত্রিক অনুমোদনে মানুষ হলাম,
সেই থেকে আরোপিত ক্ষুধা,
স্মায়ুর নির্বিঘ্ন টেলি যোগাযোগ;
খয়রী বর্ণের কৌটায় আজন্ম বর্ণ বৈষম্য,
গড়ন চলনে সমসাময়িক আঞ্চলিকতার প্রভাব,
অতঃপর নারীর প্রতি বিষ্ফোরিত জোয়ার রসায়ন,
নিয়ন্ত্রনহীন বয়সের নিপুন রেখাচিত্র চামড়ায় লিখে দেয়-
সবই ফুরায়; সেই তো নিয়ম,
এ আদি অসংশোধনযোগ্য আইন;
কে বানালো এ নিকৃষ্ট দাসত্ব!
"ঈশ্বর"! সে কে?
এজাবত যারা নিজেদের ঈশ্বর দাবি করেছে-
তাদের কাছে একটি জরুরী প্রশ্ন-
"ভাই, আমাকে কেন এমন পরাধীন বানালে!"
মানবিক ক্ষুধা, যৌনতা, প্লাটনিক ভালোবাসা, ক্রোধ,
সবই তো এনজাইমের প্রোগ্রাম;
আমার নিয়ন্ত্রনে কখন ছিল কী;
তাহলে আমার স্বত্তার স্বাধীনতা কোথায়!
সমবয়সী এক আত্মাকে মা জেনেছি, সমবয়সী আরেক
আত্মাকে প্রেমিকা, আরেক সমবয়সী আত্মাকে জন্ম দিব বলেই
বাচি! সব সম-সাময়িক প্রোটন ইলেকট্রনের রুপান্তর-
শক্তি/পদার্থ, কেন কী হেতু!
ওরা কী স্বাধীন!
ঈশ্বর কী স্বাধীন! কে তাকে এমন সর্বগ্রাসী স্বাধীনতা দিল!
আমি কী মানুষ হয়ে জন্মেছিলাম?
নাকি জন্মে মানুষ হয়েছি!
কেন জন্ম, কেন মৃত্যু, কেন এই গোপনীয়তা!
হেক্সা ট্রিলিয়ন বছর ধরে মানুষের দাসত্বতের চাষাবাদ করে মহাজাগতিক রহস্য,
আমি কি তাহলে কেবলই সেই একনায়ক স্বত্তার এক্সপেরিমেন্টাল গিনিপিগ!!
(ঈশ্বরকে ভাই বলে সম্বোধনটা কিছুটা লিঙ্গ নির্ভর হলেও আমি পুরো দোষটা চাপাই ভাষার সীমাবদ্ধতার উপর, ভাষাই লিঙ্গ নির্ভর। ধর্মগুলো ঈশ্বরকে পুরুষরুপী বলে ধরে নিয়েছে। আমি অনিশ্চয়তাবাদী, স্টিফেন হকিংসের ধারনাই সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য বলে মনে হয়, " হয়ত ঈশ্বর আছেন অথবা তিনি নেই, যদি তিনি থেকে থাকেন তাহলে মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর তিনি এখানে হস্তক্ষেপ করেননি"। আস্তিক/নাস্তিকের টানাপোড়েন থেকে বাচার জন্য ঈশ্বরের ধারনাকে আমি মহাজাগতিক রহস্য বলি। ধর্ম বিষয়ক আমার অন্বেষনের ইতি বৃত্তান্ত পরে কোন লিখায় বলব। এই কবিতার পেছনে যে ভাবনা ছিল তার তলানি হল- আমাদের অক্ষমতা অসীম, এত অক্ষম হয়ে জন্মেছিলাম কেন ভেবে পাই না, অক্ষম যদি হবই তবে জানলাম কেন আমি অক্ষম। আমি কী তবে মহাজাগতিক রহস্যের বিনোদনের একটি সাবজেক্ট ও অবজেক্ট, এক ক্ষমতাহীন বিষন্ন ক্লাউন ...!!)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ৯:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



