চেয়ারে গা এলিয়ে “ঐখানে” যে ছেলেটা বসে আছে, কে ও? পুরুষ! নাকি তার চেয়েও বেশি শ্রেনীভুক্ত নামসর্বস্ব নব্য ফেরাউনের ক্ষুধার্ত দাস, নাকি সে প্রানহীন চাবিতে সচল একটি অটো বাইসাইকল, কে ও! গুপ্তচর! নাকি সে কবি বা প্রায় কবিদের মত বোবা’য় কথা কয়, ডাঙ্গার ফাটলে যে নদী গড়ায় চলে সে কী তার এমাইনো এসিডের সন্তান, নাকি মানুষের, নাকি আদিমতম বাদশার (ঈশ্বরের)! সে কী সেই অসর্তক রাতের জলজ কাদার আপুষ্ট বীজ, নিচু নিঃশ্বাসের ছাই! সেকি এখনই বিকট চিৎকারে প্রকাশ করবে জন্মপাপের ক্ষোভ, আজন্ম লুকানো কনফেশন! খুড়ে খুড়ে সে কী এক গুপ্তধন খোজে, ব্যবচ্ছেদ করে আলো আধার,তরু থেকে তরুনীর উরু; হত্যা করে নির্বিচারে মথ, প্রজাপতি, টিউলিপ, নারীর কাথা, ফিতে, পায়জামা… তবে কী সে আত্ম ধর্ষনকারী, বাজারে যতটা বিক্রিত তার চেয়েও বেশি সেলফকনজিউমড! সে কী দীর্ঘ পরিচিত এক আজন্ম আগন্তুক! নাকি সে দূরের কেউ, দুর্বোধ্য; ছায়াবহনকারী গভীর ঘুমের ভেতর গাঢ় বাস্তব! ও কী বোধের দ্বন্দে আত্মবিরোধী স্বয়ং একটি প্যারাডক্স, শিল্পের জৈবিক মেটাফোর! কে ঐ ছেলেটা!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



