থার্মোমিটারটা হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছিলো না... জ্বরের উত্তাপ বাড়ছে...শুধু এটুকু বুঝতে পারছিলাম... একটা সময় আরেকটু বেশিই বুঝতে শুরু করলাম... কাঠের মেঝের ওপর কারো ধীর পদচারণা......আধ-খোলা চোখে আবছায়া একটা উপস্থিতি...আলোর চেয়ে আপন একটা ছায়ামানব... কপালে হাতের খুব চেনা একটা স্পর্শ... অথচ স্পর্শের বাইরে কাছের মানুষের দূরের অনুভব...... অদ্ভুত একটা কষ্ট...মেডিকেল সায়েন্সের নিয়ম না মেনেই হৃদয়ের অলিন্দ-নিলয়ের অলি গলি পেরিয়ে বন্ধ চোখের পাতায় আশ্রয় নিলো...... বলতে চাওয়া সহস্র শব্দ নিরবতার বাহিরে উচ্চারিত হবার আগেই........................
তন্দ্রা ভেঙ্গে গেল...কেউ নেই... বুকের খাঁচায়...চোখের পাতায়...কপালে মমতার উষ্ণতা নিয়ে......শুধু খোলা বারান্দায় শীতল বাতাস নিঃসঙ্গতা নিয়ে প্রতীক্ষায়...জ্বরের ঘোর কেটে গেছে...কাটেনি বিস্মৃত নস্টালজিয়ার ঘোর...!
কী হয় একটু জ্বরাক্রান্ত... ভারাক্রান্ত...... অথবা...... তোমার ঘোরে বিভ্রান্ত থাকলে!
আজকাল কথা হয় এক-দুই শব্দে....অস্থির সময়ের বেড়াজাল এড়িয়ে অনুভূতিগুলোর অনুবাদ করার মতো অভিধান খুঁজে পাইনা কেউই... কাছে থাকার সময়গুলো উসাইন বোল্টের চেয়েও দ্রুততায় চলে যায়....বিদায় নিই তোমার চোখে আমার কপালের লাল টিপের চেয়েও রক্তাক্ত সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে..... আমার বিষণ্নতা...নিরবতা....শীতল দৃষ্টি পোড়ায় তোমায়...
দিয়াশলাই ছাড়াও...চোখের শ্রাবণঢলে কোথাও না কোথাও অশনি জ্বলে....
বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখা হয়েছিল একসাথে.... অপেক্ষায় ছিল নীল ঘাসফুল... শেষ-বিকেলের ম্রিয়মান রোদ....
শেষ হয়নি ৩৬৬ দিনের প্রতীক্ষা.... ঘাসফড়িং ফিরে গেছে নিশ্চুপ অভিমানে.....
শুধু..পাতা-ঝরা পথের শেষে...অপেক্ষমাণ রেখে গেছে আমায়...পাঁজরের প্রকোষ্ঠে...অলিন্দ আর নিলয়ে জমা রাখা ভালোবাসায়...
জীবনের শেষ সূর্যবিদায় তোমার চোখে দেখার প্রার্থনায়....
"অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনও দাবি-দাওয়া....
এই নশ্বর জীবনের মানে....
শুধু তোমাকেই চাওয়া!"
রাত-ঘুমে দেখা-না দেখা স্বপ্নগুলো আমি কেন যেন মনে রাখতে পারি না.. ঘুম ভেঙে গেলে অনেক চেষ্টা করি মনে করার...তবু,ভুলে যাই...বরাবরের মতোই..
দুই ভাগ কাঠিন্যে এক ভাগ জল মেশানো এই আমার চাওয়া-পাওয়ার পরিধিটা খুব ছোট বৃত্তবন্দী হয়ে থাকে সবসময়!কাঁচের চেয়েও সূক্ষ্ম স্বপ্নগুলো নিয়ে আকাঙখার সাথে অদৃষ্টের ভারসাম্যের খেলায় বারবার হারতে থাকি... তবু,উঠে দাঁড়াই...এক অচেনা আগন্তুকের চিরচেনাচোখের বিশ্বাসে-ভরসায়...চোখ রেখে..জানালার কাঁচ ঝাপসা হয়ে আসা অবধি...
নিঃশ্বাস আর দীর্ঘশ্বাসের মধ্যে 'ফাইন লাইন ডিফ্রেন্স' তুমি বুঝতে পারো!!!
বাদাম-ভালোবাসা'... নামে যে কিছু থাকতে পারে... সেটা জানা ছিল না... তাই, বসে বসে গভীর মনোযোগের সাথে তোমাকে বাদামের খোসা ছাড়াতে দেখে বেশ হাসি পাচ্ছিলো... টুক-টাক একটা দু'টো শব্দ... মাঝে মাঝে আড়-চোখে তাকানো... অবশ্যই অপরজনের চোখ-ফাঁকি দিয়ে... চোখে চোখ পড়তেই মহা ব্যস্ত ভঙ্গিতে ভালোবাসা লুকোবার চেষ্টা!......
আস্তে আস্তে সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসা... পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে ভুলবশত আমার আঙুলে তোমার হাতের স্পর্শ... এবার ভুলের তোয়াক্কা না করে আঙুলের সাথে আঙুলের... নিস্তব্ধতার সাথে নিঃশ্বাসের আকস্মিক সেতুবন্ধ... !
" ক্রিং...ক্রিং... আফা, কই যাইবেন?" রিক্সাওয়ালার ডাকে সম্বিৎ ফিরে পাওয়া..... একটা ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে... গন্তব্য বলে রিক্সায় উঠে বসে তাকাই...... পাশের শূন্যস্থানটার দিকে...... উত্তরের একটু একটু করে শীতল হতে থাকা বাতাস চোখে-মুখে পড়ে...
" গতকাল বড়ো মুখোমুখি ছিল
সারাজীবনের চাওয়া,
চোখের নিমিষে চোখের ভিতরে
চোখের বাহিরে যাওয়া ।"
একটা শহর দেই তোমায়...... খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে না পারো... নিদ্রাহীন রাত শেষে বহুতল কংক্রীটের ফাঁকে উঁকি দেয়া একটা সূর্য তোমাকে শুভ সকাল বলুক...
ব্যস্ত রাস্তার ট্র্যাফিক জ্যামে রিক্সার ঘণ্টার ক্রিং ক্রিং আওয়াজ দেই তোমায়... কয়েক মুহূর্তের জন্য হেডফোনকে ফাঁকি দিয়ে তোমার কানে কানে পৌঁছে যাক... মৃদু গলায় কিছু ফিস-ফাস...
নিভৃত-নীরব নিঃশব্দ চারপাশ না... অজস্র মানুষের অসহনীয় ভীড় দেই তোমাকে... নিজের ভেতর ভীষণ একা ...... ছায়ার চেয়েও অচেনা হও নিজের কাছে......
আমি অলক্ষ্যে দেখি তোমায়... অতিমানবিক নিষ্ঠুরতার হাসি ঘুরে বেড়ায় আমার চোখে মুখে...
চোখের আলোয় দেখেছিলাম... চোখের বাহিরে...
অন্তর আজ দেখবো......... যখন আলোক নাই রে...
মাঝে মাঝে সেই ঘাসফুলগুলোর পাশে গিয়ে বসে থাকি... একটা বিকেল-পেরোনো গোধূলির গল্প খুঁজি... একটা আড়-চোখে তাকানো সন্ধ্যের গল্প...... হাতের মুঠোয় কয়েকটা জোনাকির অল্প আলোয়... ডুব-সাঁতার দেই... আকাঙ্খিত কোনও কল্পলোকে......নিঃশ্বাস কেড়ে নেওয়া কোনও মুহূর্তের অনাকাঙ্খিত নস্টালজিয়ায়...... রাস্তায় হলুদ সোডিয়াম বাতির আলোয় ধোঁয়াটে লাগে......
কাছের মানুষের অসীম দূরত্বে থাকা ঝাপসা মন...... আমার চিৎকার করে গাইতে ইচ্ছে হয়...
হারিয়ে গিয়েছি........................এটাই জরুরী খবর!
ম্লান হয়ে আসা কণ্ঠে গাওয়া হয় না...... হাঁটতে থাকি...নিজের ছায়ার পাশে অসীম শূন্যতা নিয়ে...... রাত বাড়তে থাকে... জোছনা-বিহীন...... নক্ষত্রের নেশায় মাতাল একটা রাত...............
(বিঃদ্রঃ লেখাগুলো কিছু বিচ্ছিন্ন ভাবনার সমষ্টিমা্ত্র! সময়ে কিংবা অসময়ে আমাদের খুব কম ভাবনাই এক সুতোতে গাঁথা হয়!)
- ফেসবুকে প্রকাশিত আমার কিছু পোস্টের একটা অগোছালো সংকলন।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।