মোবাইলে ফটোগ্রাফি সবসময়ই পছন্দের। আজ রাতের আকাশে তারাদের উপস্থিতি এ শহরকে করেছে মনোরঞ্জন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রকৃতির একটুকরো পরশই স্বস্তি দেয় নাগরিক জীবনে। রাতের নির্মল আকাশে আমাদের কল্পনারা উড়ে বেড়ায়, আমাদের ক্লান্ত চোখ বুজে আসে, নিঃস্বাস ক্রমাগত স্থির হয়ে আসে। বৈদ্যুতিক পাখার সৃষ্ট বাতাস গুমোট ও অস্বস্তিদায়ক মনে হতে, আড়মোরা ভেঙ্গে বেলকনি অথবা ছাদে গিয়ে শুয়ে থাকি কিংবা বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে কাটিয়ে দেই রজনি। সকালের অফিসে এসির ঠান্ডায় ফাইলপত্রের ওপরে মাথা ঠেসে ঘুমিয়ে পড়ি। বসের সাড়া পেলে পাশের কলিগের গুতো খেয়ে হতচকিত হয়ে ফাইল নাড়া শুরু করি। পিয়নকে চায়ের লিকার কড়া করে অর্ডার করি। তবুও আমাদের অস্বস্তি বেড়ে চলে।
আমরা রাতের আঁধারে কোমল স্তন ছেড়ে দিয়ে জানালায় গিয়ে চুরুট ধরাই। আকাশ, আকাশের তারাদের সাথে নিশ্চুপ মনোমালিন্য হয়। ফিরে এসে মিশে যেতে চাই ঘুমের ঘোরে। উপরে সিলিঙের ফ্যানের বাতাস, বদ্ধ জানালা, গুমোট ভ্যাপসা অন্ধকারে আমাদের শরীরগুলো একে অপরকে হাতরে বেড়ায়। ভোরের দিকে শিশিরের শব্দে আমাদের ঘুম আসে।
কলেজের মাঠে সন্ধের পরে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:১৩