সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ধরা পড়াটা খুবই জরুরী। যারা দা বটি দিয়ে কুপিয়ে দুজন মানুষ হত্যা করে নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারে, দেবদূতের মত এক শিশুর জীবন নরকে পরিণত করতে পারে, সেসব খুনীরা যতই মান ইজ্জতওয়ালা হোক , তাদের মান ইজ্জত রক্ষার দায়িত্ব আমাদের পুলিশ বাহিনীর নয়। তাদের মান ইজ্জত রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সাংবাদিকদেরও নয়। সাংবাদিকেরাও প্রকৃত সত্যটা বের করতে কাজ করবেন, মিডিয়া সংশ্লিষ্ট কেউ হলেও খুনী কোন ছাড় পেতে পারেনা। খুনী মাত্রই খুনী, সে যেই হোক না কেন।
এদেশে অহরহ খুন, ধর্ষণ, গুম, গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিকরা যেহেতু এই সমাজেরই অংশ, তাই তাদেরকেও এসব ঘটনা স্পর্শ করছে। কিছুদিন আগে যেদিন এক সাংবাদিক গাড়ীচাপায় মারা গেছেন, সেই একই দিনই গাড়ীচাপায় তিনজন গার্মেন্টস কর্মী মারা গেছেন। সাংবাদিকদের সৌভাগ্য গাড়ীচাপায় কোন সাংবাদিক মারা পড়লে মন্ত্রীদের দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়, কিন্তু অন্য পেশার কেউ মারা পড়লে শুনতে হয়, "এক্সিডেন্ট ইজ এক্সিডেন্ট"। তাই সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ থাকবে সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ফাসি না হওয়া পর্যন্ত আপনারা এবিষয়ে চুপ হয়ে যাবেন না।
মেঘ যেহেতু দুজনকে আংকেল বলে ডেকেছে ও পিকনিকে দেখেছে, তাহলে এই দৈত্যদের খুজে বের করতে এত দেরী হচ্ছে কেন? নাকি এসব দৈত্যদের বাচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
হত্যায় যারাই জড়িত থাকুক। যত বড় ক্ষমতাধরই হোক, তাদেরকে কেউ আশ্রয় দিবেন না। তাদেরকে শাস্তি না দিলে দৈত্য দানবে এদেশ ভরে যাবে। এসব দৈতরা একদিন আপনাদেরকে বা আপনাদের সন্তানদেরকে গিলে খাবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



