somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বুক রিভিউঃ "স্যাডো এন্ড বোন" ট্রিলজি

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



"স্যাডো এ্ড বোন"

স্যাডো এন্ড বোন হচ্ছে গ্রিসা ট্রিলজির প্রথম বই । বইয়ের মূল চরিত্র এলিনা স্টাকোভ । সে রাভকা কিংডোমে থাকে । এতিম । রাভকা রাজ্যের চারিদিকে শত্রু রাজ্য দ্বারা পরিবেষ্টিত । এবং তাদের মাঝে যুদ্ধ লেগেই আছে । রাভকার মূল সমস্যা হচ্ছে রাভকা রাজ্যটার মাঝ দিয়ে স্যাডো ফোল্ড নামের একটা ভয়ংকর স্থান রয়েছে । এটা রাজ্যকে দুটো অংশে বিভক্ত করে রেখেছে যা রাজ্যের শক্তিকে অর্ধেক করে দিয়েছে । স্যাডো ফোল্ড হচ্ছে একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ভয়ংকর স্থান । এখানে ভলক্রা নামের ভয়ংকর একটা প্রাণীর বাস যারা মানুষের মাংশ খায় । প্রতিবার এই স্যাডো ফোল্ড পার করার সময় রাভকা রাজ্যের অনেক সৈন্য অহত নিহত হয় !

এলিনা এবং ম্যাল এতিম । ছোট বেলা থেকে এক ডিউকের এতিমখানায় মানুষ হয়েছে । রাভকাতে দুই ধরনের মানুষ রয়েছে এক হচ্ছে যাদের ভেতরে গ্রিসা পাওয়ার আছে এবং যাদের ভেতরে নেই । গ্রিসা পাওয়া হচ্ছে এমন একটা শক্তি যেটা দিয়ে তারা কোন একটা এলিমেন্ট (বাতাস, আগুন, আলো) কে নিয়ন্ত্রন করতে পারে এবং সেটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারে । প্রত্যেক শিশুকে ছোট বেলাতেই টেস্ট করা হয় । যাদের এই গ্রিসা পাওয়ার আছে তাদেরকে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া হয় লিটিল প্যালেসে । তাদের প্রশিক্ষন দেওয়া হয় । সোলজার তৈরি করা হয় । আর যাদের এই পাওয়ার নেই তাদের কেও মিলিটারি ট্রেনিং নিতে হয় ।

টেস্টে এলিনা এবং ম্যালের কোন গ্রিসার পাওয়ার পাওয়া যায় না । এলিনা এমনি ভাবে একজন ম্যাপ তৈরি কারক হয় অন্য দিকে তার বেস্ট ফ্রেন্ড ম্যাল হয় ট্রাকার ! গল্পের শুরুর দিকে তারা স্যাডো ফোল্ড পার করতে যায় এবং একটা পর্যায়ে ভলক্রার দ্বারা আক্রান্ত হয় । সেই অন্তিম মুহুর্তে এলিনা যখন বুঝতে পারে সে মারা যাচ্ছে তখনই এলিনার ভেতরে এক আশ্চর্য গ্রিসা শক্তির প্রকাশ ঘটে । এমন এক শক্তি যেটা এই স্যাডো ফোল্ডকে ধ্বংস করতে পারবে । এলিনাকে প্রথমবারের মত ডার্কলিংকের সামনে হাজির করা হয় । ডার্কলিংক হচ্ছে সকল গ্রিসা সৈন্যদের লিডার । রাজ্যে রাজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মানুষ ।

এলিনাকে নিয়ে যাওয়া হয় লিটল প্যালেসে । সেখানে তার ট্রেনিং শুরু হয় । সেই সাথে সে ধীরে ধীরে অনেক কিছু জানতে পারে । এক পর্যায়ে ডার্কলিংকের প্রতি সে দূর্বল হতে শুরু করে । ডার্কলিংকও এলিনার প্রতি আলাদা একটা দৃষ্টি রাখে সব সময় । অন্য সবার কাছ থেকে সে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন !

কিন্তু এক সময়ে এলিনা আসল এক সত্য জানতে পারে । ভয়ংকর এক যড়যন্ত্রের ব্যাপারে সে জানে । ম্যালের সাথে তার আবারও দেখা হয়ে যায় । এরপর দুজন মিলে সামনে এগিয়ে চলে । প্রতিপক্ষ যখন ভয়ংকর এবং শক্তিশালী । কোন ভাবেই তার সাথে এলিনা কিংবা ম্যালের পেরে ওঠার কথা না । তবুও তারা এক সাথে এগিয়ে যায় ।

যারা ফ্যান্টাসী গল্প পড়তে পছন্দ করেন, তাদেরকে অবশ্যই এই বইটা পড়তে বলবো ! সময় বৃথা যাবে না বলতে পারি ।




সীজ এন্ড স্ট্রম
ডার্কলিংঙ্ককে স্যাডো ফোল্ডের মাঝে রেখেই এলিনা ম্যাল কে নিয়ে বের হয়ে যায় । তারপর থেকে তারা পালিয়ে যেতে থাকা রাভকা থেকে যত দুরে পারা যায় । পেছনে কি হয়েছে সেটা তারা দুজনের কেউই জানে না । কেবল খবর উড়ে আসতে লাগে যে স্যাডো ফোল্ডের এই দিন এলিনা এবং ডার্কলিংঙ্ক দুজনেই মারা গিয়েছে । এলিনার জন্য এই খবর গুলো ভালই হয়েছে ।


কিন্তু বইয়ের শুরুতেই তারা আবারও ধরা পরে যায় ডার্কলিংঙ্কের হাতে । তখনই এনিলা আবিস্কার করে যে ঐদিন ডার্কলিংঙ্ককে স্যাডো ফোল্ডের মাঝে রেখে আসার ফলে তার মাঝে নতুন একটা ক্ষমতার জন্ম দিয়েছে । ভয়ংকর একটা ক্ষমতা ।
এলিনা এবং ম্যালকে সে ধরে নিয়ে যায় ট্রু সীতে । সেখানে নতুন কিছুর একটা সন্ধ্যানে নামে তারা । সী উইপ । এলিনার দ্বিতীয় এম্প্লিফায়ার যেটা ওর শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করবে । কথিত আছে যে একজন গ্রিসা একটার বেশি এম্প্লিফায়ার গ্রহন করতে পারে না কিন্তু এলিনার বেলাতে সব কিছু ব্যতীক্রম হতে শুরু করে ।

যখন ম্যাল দ্বিতীয় এম্প্লিফায়ারটা খুজে পায় তখনই ডার্কলিংঙ্কের উপর হামলা করে ডাহাজের রহস্যময় ক্যাপ্টেন স্টুর্মহোন্ড । ডার্কলিংঙ্কের গ্রিসা বাহিনী এবং স্যাডো আর্মি থেকে আলিনা এবং ম্যালকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় । এলিনা আর ম্যাল কিছুই বুঝতে পারে না যে আসলে কেন প্রাইভেটিয়ার স্টুর্মহোন্ড তাদেরকে ডার্কলিংঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করলো ! স্টুর্মহোন্ড তাদের বলে যে তার নতুন ক্লাইন্ট তাকে নতুন একটা প্রস্তাব দিতে চায় । তার কাজ হচ্ছে এলিনা এবং ম্যালকে রাভকাতে পৌছে দেওয়া । এবং যদি এলিনা এই প্রস্তাবে রাজি না হয় তখন সে নিজে তাদের কে পালানোর ব্যবস্থা করে দিবে । এলিনা এবং ম্যাল প্রথমে কিছুই বুঝতে পারে না এবং স্টুর্মহোন্ডকে ঠিক বিশ্বাসও করতে পারে না । কিন্তু যখন তারা স্টুর্মহোন্ডের আসল পরিচয় জানতে পারে তারা দুজনেই অবাক হয়ে যায় । দুজনের কেউই ভাবতেও পারে নি যে এই স্টুর্মহোন্ড এমন কেউ হতে পারে । তার সাথেই এলিনা আবারও রাফকাতে গিয়ে হাজির হয় ।
নতুন করে আবারও ডার্কলিংঙ্কের স্যাডো বাহিনীর সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে । এবং একটা সময়ে আবারও মুখোমুখী হয়ে দাড়ায় ডার্কলিংঙ্কের !
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি সে পারবে ডার্কলিংঙ্কের সাথে ?




প্রথম বইটার মতই সীজ এন্ড স্ট্রম একই গতিতে এগিয়ে চলেছে । এই বইটারও কাহিনীও এগিয়ে চলেছে খুবই দ্রুত । ম্যালের সাথে এলিনার ভালবাসা তারপর দুজনের মাঝে দুরত্ব এলিনার মনের ভেতরে ডার্কলিংঙ্কের জন্য আলাদা একটা অনুভূতি আর নতুন করে যুক্ত হয় প্রিন্স নিকোলাই । সব মিলিয়ে একটা জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয় । আমি যেন একেবারে কাহিনীর ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলাম । চোখের সামনে সব কিছু দেখতে পাচ্ছিলাম ! কেবল মাত্র ফ্যান্টাসীতেই এই বইটা সীমাবদ্ধ থাকে নি এখানে প্রেম, ভালবাসা, বন্ধুত্ব, কুটনৈতিক চাল সব কিছু মিলিয়ে চমৎকার গতিতে এগিয়ে চলেছে কাহিনী !

অবশ্যই বইটা পড়ার জন্য রেকোমেন্ড করবো ।


রুইন এন্ড রাইজিং

গ্রিসা ট্রিলজির শেষ বই হচ্ছে "রুইন এন্ড রাইজিং"
ডার্কলিংঙ্ক এখন রাভকার সিংহাসনে বসেছে । তার স্যাডো আর্মির সামনে কেউ টিকতে পারছে না । প্রিন্স নিকোলাই রাভকার রাজা আর রানীকে নিয়ে রাজ্যের অন্য দিকে সরে গেছে এবং সেখান থেকেই ডার্কলিঙ্কের সৈন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বসে শোনা যাচ্ছে ।


ডার্কলিংঙ্কের সাথে শেষ যুদ্ধে এলিনা প্রায় মরতে বসেছিলো । কারন ডার্কলিংঙ্ককে শেষ করার এক মাত্র উপায় ছিল । তাকে শেষ করার সাথে সাথে নিজেও শেষ করে ফেলা কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠে নি । তবে এই যুদ্ধে এলিনা তার সে নতুন স্থানে আত্মগোপন করেছে । তবে যুদ্ধে এলিনা তার সান সামোনারিং শক্তি ফেলেছে । সে আর নিজের শরীর থেকে আলো বের করতে পারছে না ।
আনিলা জানে ডার্কলিংঙ্কের সাথে তার আবারও মুখোমুখি হতে হবে এবং ডার্ক লিংঙ্কের শক্তির সাথে সে কোন ভাবেই পেরে উঠবে না যদি না তৃতীয় এমপ্লিফায়ার ফায়ারবার্ড তারা খুজে না পায় । এলিনার শক্তির পরিপূর্ণতা পাওয়ার জন্য এই ফায়ারবার্ডের খুজে পাওয়াটা খুবই জরুরী । যা কি না রাভকার ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে । কিন্তু এই শক্তির জন্য এলিনাকে খুব চড়া মুল্য দিতে হবে । এলিনা কি সেই মূল্য দিতে প্রস্তুত হবে ? শেষ পর্যন্ত কি পারবে ?

ফ্যান্টাসী সিরিজের ভেতরে এই গ্রিসা ট্রিলজিটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে । প্রতিটা বই পড়ার সময় আমার আগ্রহ একেবারে অটুট ছিল । ইংরেজি বই পড়তে গেলে যেটা হয় বেশি লম্বা বই হলে সেটা পড়ে শেষ করা যায় না কিন্তু এই তিনটা বইয়ের বেলাতে সেরকম কিছুই হয় নি । আমি অতি আগ্রহ নিয়ে পড় গুলো পড়ে চলেছি । এবং একটা সময় যখন শেষ হয়ে গেল কাহিনী মনে হয়েছে যাহ শেষ হয়ে গেল । একটা ফ্যান্টাসী জগত থেকে আমাকে বেরিয়ে আসতে হলে ।

এই বইয়ের একটা খারাপ দিক আমার মনে হয়েছে । সেটা হচ্ছে বইয়ের স্থানের নাম গুলো । এগুলো যদি আরও একটু সহজ হত তাহলে হয়তো বই পড়ে আরও বেশি মজা পেতাম । মাঝে মাঝে স্থানের নাম পড়ে আমি ভুলে যাচ্ছিলাম যে এটা যেন কোন এলাকা ! এখানে যেন কারা থাকে ! এটা বাদ দিয়ে আর কোন সমস্যা আমার মনে হয় !

তবে যাদের হাতে সময় আছে অবশ্যই এই তিনটা বই এক টানে পড়ে ফেলুন । সময় খারাপ কাটবে না বলতে পারি !


তিনটি বই একেবারে একটানে পড়ে ফেলার মত । পড়তে গিয়ে কো প্রকার বিরক্ত হবেন না যদি ফ্যান্টাসী পড়তে ভালবাসেন ।

হ্যাপি রিডিং !


ব্যক্তিগত ব্লগে আগেই প্রকাশিত
স্যাডো এন্ড বোন
সীজ এন্ড স্ট্রোম
রুইন এন্ড রাইজিং
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×