somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতিহাস বিস্মৃত নারী বিপ্লবীরা : শেষ পর্ব

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রথমদ্বিতীয় পর্বে বেশ সাড়া পাওয়াতেই তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম । এটাই এই সিরিজের শেষ পর্ব । হতাশ হবার কিছু নেই, অন্য কোন বিষয় নিয়ে অন্য কোন পোষ্টে দেখা হবেই । :-P

আজ তিনজন বিপ্লবীকে আপনাদের সামনে হাজির করছি । এর মধ্যে দু'জন বেশ পরিচিত । অনেকেই তাদের চেনেন । এই সিরিজে এঁদের অন্তভুক্ত না করাটা পাপ হবে ভেবেই এই পোষ্ট । :)

১. Lakshmi Sahgal :

প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশদের অধীনে থাকাকালীন উপমহাদেশ অসংখ্য বিপ্লবীর জন্ম দিয়েছে । সামাজিক-আর্থিক অনগ্রসরতার দরুণ যদিও নারী বিপ্লবীর সংখ্যা তুলনামূলক কম তবে উনিশ শতকের শুরুতে এ চিত্র পাল্টাতে থাকে । নারীরা সামাজিক বাঁধা পেরিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি দেশাত্ববোধের টানে রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করে ।

২৪ শে অক্টোবর ১৯১৪ সালে ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের মাদ্রাজে এক আইনজীবীর ঘরে জন্ম নেন লক্ষি । বাবার নামের শেষ অংশ মিলিয়ে তার নাম ছিল Lakshmi Swaminathan১৯৩৮ সালে গাইনোকোলজির উপর মাদ্রাজ মেডিকেল থেকে MBBS ডিগ্রী নিয়ে চেন্নাইয়ের এক হাসপাতালে ডাক্তারি পেশা শুরু করেন ।

১৯৪০ সালে তিনি সিংগাপুরে গিয়ে একটি ক্লিনিক খোলেন যার বেশিরভাগ রোগীই ছিল অনাবাসী ভারতীয় শ্রমিক । সেখানে নেতাজী সুভাস চন্দ্র বসুর Indian National Armyর কিছু সদস্যের সাথে তার পরিচয় হয় ( যা ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’ নামেও সমধিক পরিচিত ) ।

সে সময় সিংগাপুর ছিল এশিয়ায় ব্রিটিশ সৈন্যদের সবচেয়ে বড় বেস ক্যাম্প । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটেন-জাপান যুদ্ধে সিঙ্গাপুর জাপানের অধিকারে চলে যায় ( ১৯৪২ )। যুদ্ধপরবর্তী হাজার হাজার আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেন লক্ষি, যাদের মধ্যে অনেক ভারতীয় সৈন্য ছিল । জাপানের কাছে ব্রিটিশদের হার এবং সামরিক সামর্থ দেখে সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বিপ্লবীরা চাইছিল জাপানের হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারত থেকেও ব্রিটিশদের তাড়ানো সহজ হবে ।

এর পক্ষে মতের পাল্লা ভারী হতে থাকলে ১৯৪৩ সালের ২ জুলাই সুভাস বোস সিঙ্গাপুর গিয়ে তাদের সাথে আলোচনায় বসেন । সুভাস বোস চাইছিলেন নারীদের নিয়ে একটি সামরিক রেজিমেন্ট খুলতে । লক্ষি সেটা জানতে পেরে তার সাথে দেখা করে তার আগ্রহের কথা জানান । সুভাস বোস তাকে সমর্থন দেন এবং তাকে ‘’ক্যাপ্টেন লক্ষি “ উপাধী দেন ( আজও তাকে এই নামেই ডাকা হয় ) । তার রেজিমেন্টের নাম রাখা হয় Rani of Jhansi Regiment


১৯৪৪ সালের ডিসেম্বরে জাপানিজ আর্মির সাথে Indian National Army বার্মা অভিমুখে রওয়ানা হয় । ততদিনে জার্মানী নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তি পরাজয়ের আঁচ পেয়ে গেছে । INA বুঝতে পারলো জাপানের আশা করে লাভ নেই । ফলে তারা ভারতে প্রবেশ করে ১৯৪৫ সালের মার্চে মণিপুরের কাছে ব্রিটিশদের সাথে এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে । মে মাসে ক্যাপ্টেন লক্ষি ব্রিটিশদের হাতে বন্দী হন । ১৯৪৬ সালের মার্চ পর্যন্ত তাকে বার্মাতেই বন্দী জীবন কাটাতে হয় ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষ জয়ী হয় তবে ব্রিটিশরা চরম ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয় । তাছাড়া উপমহাদেশে তখন স্বাধীনতা আন্দোলন তুঙ্গে । তাই ব্রিটিশদের উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়া ছাড়া কোন বিকল্প ছিলনা । ফলে অন্যান্য সকল বিপ্লবীদের সাথে তিনিও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যান । ১৯৪৭ সালে তিনি Col. Prem Kumar Sehgal কে বিয়ে করে Lakshmi Sahgal নাম ধারণ করেন ।

১৯৭১ সালে তিনি Communist Party of India (Marxist) দলে যোগ দিয়ে ভারতের রাজ্যসভায় অংশ নেন । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ কলকাতায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। কলকাতার মার্ক্সবাদী নেতা জ্যোতি বসুর আমন্ত্রণে তিনি কলকাতায় গিয়ে সেইসব মানুষের পাশে দাড়ান । ১৯৮১ সালে All India Democratic Women's Association গঠনের অন্যতম কান্ডারী হিসেবে তিনি অজস্র ক্যাম্পেইন ও কাজের সাথে জড়িত ছিলেনএকজন সমাজসেবী, নারীনেত্রী, মার্ক্সবাদী হিসেবে তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন । ২০০৬ সালে ৯২ বছর বয়সেও তিনি কানপুরে তার চেম্বারে নিয়মিত রোগী দেখতেন । ২০০২ সালে ভারতের সমস্ত মার্ক্সবাদী দলগুলো একত্রে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে নোমিনেট করে । তার প্রতিপক্ষ ড. আবুল কালাম আজাদের কাছে তিনি হেরে যান ।


২০১২ সালের ২৩শে জুলাই ৯৭ বছর বয়সে তিনি কানপুরে মারা যান । ১৯৯৮ সালে তাকে ভারতের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব 'পদ্মভিবুষণ' দেয়া হয় ।

২. Asmaa Mahfouz

মিশরের একনায়ক হোসনি মোবারক প্রায় ৩ যুগ ধরে মিশর শাসন করেছেন । মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতই মিশরও পুলিশের অত্যাচার, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, দূর্ণীতিতে ডুবে ছিল । ‘জুরুরী আইন’ এর ধুয়ো তুলে কোন অভিযোগ ছাড়াই বিরোধী পক্ষকে গ্রেফতার এবং বিপ্লব মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেই তাদের ধরপাকড় করার নিয়ম চলে আসছিল । একদিকে ধনী-গরীবের মধ্যে ব্যাবধান বেড়ে যাওয়া অন্যদিকে সমাজিক গুরুত্বপূর্ন ইস্যুগুলো তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল ।

এরপরের গল্পটা রাষ্ট্রক্ষমতার হাতে শোষিত হতে থাকা পৃথিবীর সমস্ত তরুণদের জন্য প্রেরণার । ইন্টারনেট বা যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যাবহার করে কিভাবে অহিংস আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা পাল্টে দেয়া যায় তার বাস্তব উদাহরণ ।

১৯৮৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারী মিশরের কায়রোতে জন্ম নেয়া আসমা মাহফুজ কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস এ্যাডমিনিসট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করতেন । ২০০৮ সালে মিশরের পোশাক শ্রমিকেরা নিরাপত্তা, কাজের স্বাধীনতা, উপযুক্ত পারিশ্রমিক, চিকিৎসা, যোগাযোগ এবং শিক্ষার দাবীতে সংঘবদ্ধ হতে চাইলে আসমা মাহফুজ তাতে যোগ দেন এবং ছাত্রদের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করেন । ফলে জন্ম নেয় April 6 Youth Movement

মোবারক সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করেন । অনেক ব্লগার, সাংবাদিক, এ্যাক্টিভিস্টদের সাদা পোশাকের পুলিশের হাতে গুম অথবা গ্রেফতার হতে হয় । ম্যুভমেন্ট বিফল হলেও অনেক আইনজীবী এবং সিকিউরিটি সার্ভিস তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে । আসমা মাহফুজ এই ম্যুভমেন্টকে তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেন ।

“As long as you say there is no hope, then there will be no hope, but if you go down and take a stance, then there will be hope.” – Asmaa Mahfouz

পরবর্তী কয়েক বছর ধরে আসমা মাহফুজ সহ তরুণ অনেক বিপ্লবী নেতা বিপ্লব এবং ‘অহিংস’ আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা করতে থাকেন । চলতে থাকে সদস্য সংগ্রহের কাজও । তরুণরা ব্লগসহ নানান সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন ফেসবুক, টুইটারে তদের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক, শিক্ষালাভ এবং একটা সংগঠন হিসেবে কিভাবে দাড়ানো যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করতেন ।



১৮ ডিসেম্বর ২০১০ সালে পার্শ্ববর্তী দেশ তিউনিশিয়ায় ঘটে যায় মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিপ্লব । দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে সাধারণ মানুষ কি করতে পারে তার আরেকটি উদাহরণ সেদিন তৈরী হয়েছিল সেদিন । যার ফলে প্রেসিডেন্ট বেন আলীর ২৮ বছরের শাসন কোন রক্তপাত ছাড়াই ১৪ জানুয়ারী ২০১১ সালে সমাপ্ত হয়েছিল । ইতিহাসে এটি Tunisian Revolution বা Jeshmin Revolution নামে পরিচিত ।

খুব স্বাভাবিকভাবেই মিশরের পরিবর্তনকামী মানুষদের মাঝেও এটা বেশ প্রভাব ফেলে । কারণ তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, রাষ্ট্রব্যাবস্থা এবং শোষিত হবার ধরণটা একই । তারপরও তারা ভয়ে কুঁকড়ে ছিল । যেখানে প্রায় ১৮ হাজার এ্যাক্টিভিস্ট জেলে বন্দী , ৫ জনের বেশি মানুষ এক জায়গায় জড়ো হওয়াটা আইনবিরুদ্ধ, জরুরী আইন জারী .. ভয় পাওয়াটা অবধারিতই । সরকারের প্রতি ভয়, গুম, সম্মানহানি, অত্যাচারিত হবার ভয় । এই ভয়টায় তাদের তিন যুগ ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল এক আবদ্ধ খোলসে । সেই খোলস থেকে বের করে আনার জন্য দরকার ছিল এমন একজন ত্রাতার যে তাদের ভয় কাটিয়ে মুক্তির স্বপ্ন দেখাতে পারে ।

১৮ ই জানুয়ারী ২০১১, মিশরে আসন্ন বিপ্লবের শুরুর দিন । এদিন আসমা মাহফুজ তার বক্তব্যসমেত একটি ভিডিও অনলাইনে আপলোড করেন । যাতে ২৫ জানুয়ারী তাহরীর স্কয়ারে সবাইকে জমায়েত হবার আহ্বান জানানো হয়েছিল ।

“I, a girl, am going down to Tahrir Square, and I will stand alone. And I’ll hold up a banner.” “I wrote that whoever is worried about this country should come with me, and that anyone who is worried about me or thinks that I am mentally ill should come in order to protect me.”- Asmaa Mahfouz

ভিডিও লিংক : View this link

এরপরের ঘটনাগুলো রুপালী জগৎকেও হার মানায় । ফেসবুক, ব্লগ, অনলাইনে, সেল ফোনে তার ভিডিওটি দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে । আসমা এবং তার সহকর্মীরা লিফলেট, ব্যানার, নতুন ভিডিওবার্তায় সবাইকে উৎসাহিত করতে থাকেন । তাদের ধারণা ছিল হয়তো কয়েক হাজার মানুষই হবে কিন্তু সেদিন প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিল তাহরীর স্কয়ারে । এর ফলে গোটা দেশ থেকেই লাখে লাখে মানুষ জমায়েত হতে থাকে ।

সরকারের নির্দেশ সত্বেও মিলিটারি সেখানে আক্রমণ করতে আসেনি । দাঙ্গাপুলিশ অবশ্য তাদের সর্বাত্বক চেষ্টা করেছিল ছত্রভঙ্গ করার কিন্তু তাও ধোপে টেকেনি । ইন্টারেন্টে কানেকশান কেটে দেয়া হয়েছিল, শহরজুড়ে চলছিল কারফিউ, পুলিশের অত্যাচার... তারপরও বিপ্লবীদের আন্দোলনটা অহিংসই ছিল ।

“All Egyptians, not only the protestors, have broken through the fear barrier, therefore I expect only one outcome – protests will continue until Mubarak steps down from power.” – Asmaa Mahfouz

১১ ই ফ্রেব্রুয়ারী ২০১১ অবশেষে প্রেসিডেন্ট হোসনী মোবারক ইস্তফা দেন এবং নতুন নির্বাচনের অঙ্গীকার করেন ।
মিশরের মানুষেরা সেদিন তাদের ক্ষমতা টের পেয়েছিল । এর ফলে দীর্ঘদিন একটি ধারা মেনে চলা মধ্যপ্রাচ্যের বাকী দেশগুলোতে শুরু হতে থাকে পরিবর্তন ।

টুইটার লিংক
ফেসবুক পেইজ লিংক

৩. Blanca Canales

১৯০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত দ্বীপরাষ্ট্র পুয়ের্তোরিকার Jayuya তে জন্ম নেন Blanca Canales । তিনি ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ এবং ১৯৩১ সালে পুয়ের্তোরিকান ন্যাশনালিস্ট পার্টিতে যোগ দেন । তিনি নারীদের সংগঠিত করে Daughters of Freedom নামে পার্টির আলাদা একটি শাখা পরিচালনা করতেন ।

১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পুয়ের্তোরিকান সিনেটে একটি বিল পাশ হয় যা ছিল ন্যাশনালিস্টদের ( মূলতঃ অধিবাসীদের ) স্বাধীনতার অধিকার এবং সবধরণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিরোধী আইন । এই আইন অনুযায়ী সরকার বিরোধী কোন বক্তব্য প্রকাশ, জনসমাগম, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয় এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা/১০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান প্রণীত হয় ।

এই আইনের বিরুদ্ধে ন্যাশনালিস্ট নেতা Albizu Campos ১৯৪৮ সালের ২১শে জুন মানাতি শহরে একটি ভাষণ দেন যাতে গোটা দ্বীপরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতাকামীরা দলে দলে দেন । পরবর্তীতে ১৯৫০ সালের ২৬শে অক্টোবর Albizu Campos একটি মিটিং এর আয়োজন করেন । মিটিং শেষে পুলিশ তাদের ধরতে তার বাড়িতে অভিযান শুরু করে, তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন । সেদিনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ।


২৯শে অক্টোবর শুরু হয় প্রথম যুদ্ধ । পুয়ের্তোরিকার ইতিহাসে যা Jayuya Uprising নামে পরিচিত । এদিন Canales সহ অন্যান্য কয়েকজন নেতা Jayuya তে Canales এর বাড়ীতে পৌঁছান যেখানে গোলাবারুদ মজুদ করা ছিল । Canales এর নেতৃত্বে প্রথম আক্রমনটি হয় স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে । তারপর একে একে পোস্ট অফিস, টেলিফোন স্টেশন, শহরের সরকারী স্থাপনাগুলো দখল করে তারা স্বাধীন পুয়ের্তোরিকান ফ্লাগ ঝুলিয়ে দেন ।

তিনদিন ধরে তারা শহরের দখল নিয়ে রাখেন । ইউএস মিলিটারি, আর্টিলারি, এয়ার ফোর্স একযোগে হামলা শুরু করলে নভেম্বরের ১ তারিখে তারা স্যারেন্ডার করতে বাধ্য হন ।

Canales কে পুলিশ হত্যা, শহরে আগুন দেয়াসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার করে জেলে নেয়া হয় । প্রায় ১৭ বছর জেল খাটার পর ১৯৬৭ সালে তাকে মুক্তি দেয়া হয় । Canales ১৯৯৬ সালে তার নিজ শহরে মারা যান ।

প্রয়োজনীয় আরেকটি লিংক


পাদটীকা : সিরিজের শুরু থেকে যেসব সুহৃদ পাশে থেকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন তাদের কাছে ঐকান্তিক কৃতজ্ঞতা । আশা করি যে ইচ্ছে নিয়ে সিরিজটি শুরু করেছিলাম তা পূরণ হয়েছে । সবার জন্য একরাশ ভালোলাগা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩
১৮টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×