"উচ্চশব্দে হাসার কারণে মস্তিষ্কে নানারকম উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।" মিউনিখের অ্যাসোসিয়েশন অফ জার্মান লাফটার থেরাপিস্ট এর প্রধান মিশেল শেফনার জানান এ তথ্য।
বার্লিনের ইনিস্টিটিউট অফ হিউম্যান বায়োলজি এন্ড অ্যানথ্রোপলজির পরিচালক কার্স্টেন নিয়েমেট্জ বলেন, "হাসলে মুখ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত প্রায় একশরও বেশি মাংসপেশির সঞ্চলন হয়।"
তিনি আরো বলেন "হাসার জন্য পুরো শরীর কাজ করে। এতে মাথা নড়ে, শরীর বাঁকা হয়, বিশেষজ্ঞরা একে বলেন - জেনারেলাইজেশন"।
বারুথের ব্র্যান্ডেনবার্গ শহরের মার্চ ইনিস্টিটিউট অফ সাইকোথেরাপি'র অধ্যাপক মাইকেল টিটজ বলেন, "সাধারণ সময়ের থেকে হাসির সময় গভীর নিশ্বাস নেয়া হয়। যা পুরো শরীরে প্রভাব ফেলে। গভীর শ্বাস নেয়ার জন্য অক্সিজেন শরীরে বেশি পরিমানে প্রবেশ করে। ফলে শ্বাসনালীতে বায়ুর চলাচল বাড়ে, মাংসপেশীর আরাম হয়, হৃৎপিন্ড ও রক্তসঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়।"
তিনি আরো বলেন, "হাসতে থাকা মানুষের মস্তিষ্ক শরীরে অবসাদের হরমোন যেমন 'অ্যাড্রেনালিন' ও 'কর্টিজন' তৈরি বন্ধ করে দেয়।"
নিয়েমেটজ বলেন, "যখন কেউ হাসে তখন সেরোটনিন নিঃসরণ হয়। এটা সুখী হরমোন হিসেবে পরিচিত। তাই যত বেশি হাসবে মানুষ তত বেশি সুখী বোধ করবে।"
আমেরিকায় একটি গবেষণায় বলা হয়, হাসি টি-লিম্ফোসাইটস সচল করে। যা ক্যান্সারের কোষকে আক্রমন করে। সেই সাথে গামা ইন্টারফেরোন-ও সক্রিয় করে যা টিউমার তৈরি প্রতিরোধ করে।
সূত্রঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



