মোটেও কিন্তু তা হতে চাইনা আমারা কেউই নূন্যতম দেশপ্রেম ও যার আছে সেও। এবং দেশের প্রতিটি বাংগালীর প্রাণে সেই নুন্যতম দেশপ্রেম আছে আমি আজও মহাদৃঢ়তায় বিশ্বাস করি এবং করব। কেন করবনা?- আমার তো সেই স্বকীয় জাতিই যারা ভাষার মর্যাদায় বুকের তাজা ঝরাতে কুণ্ঠা বোধ করিনি, আমরা তো সেই জাতিই যারা যারা দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জান মাল ইজ্জত বিসর্জনের মহাব্রতে অকুণ্ঠচিত্তে নেমছি মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার হারামীর দল বধে। তবে কেন আমরা আজ তেবলই আলোচনায় রত ...সমাধানে রপ্ত নয়। কোথায় সমস্যা?
সমস্যা কি স্বার্থ আর স্বার্থ...
দেশপ্রেম -সে কি স্বার্থ নয়?
দেশের প্রকৃত উন্নয়ন-সে কি আমাদের স্বার্থ নয়? ...
অবশ্যই ..মহাস্বার্থ তো দেশ মাতার মুখের নির্ভেজাল হাসিই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থের সমষ্ঠি তবে কেন বৃহৎ সে স্বার্থের প্রতিফলন ঘটায় না। আসুন এ নিয়ে আলোচনা করতেই থাকি...অবশ্যই সেই বৃহৎ স্বার্থের পথ বের হয়ে আসবে।
কিন্তু আসেনা যে ....কোথায় যেন গলদ? দেশকে ভালবাসেনা এমন মানুষ কি সত্যিই আছে। এই যে আগামী কাল মহান বিজয় দিবস -১৬ই ডিসেম্বর- কে বলেন তো একবারও , একটুও মনে মনে আনন্দ বোধ করেনা, গর্বিত হয়না এমন দিনে। কেউ আছে বলে আমি বিশ্বাস করিনা।
বলবেন তো নেই মানে...ঐ যে সেই সব পাক বাহিনীর দোসরদল। বেঈমান এর দল। হ্যাঁ ওরা এই দেশে বাস করে ...করুক...কিন্তু ওদের কে স্বজাতি বলে মনে করিনা। ওই হারামীর দল কেবলই বসবাস কারী। হতে পারে ওরাও আজকাল পতাকা লাগিয়ে গাড়ী তে ওঠে...উঠুক...আমার যে মহা ক্ষমাশীল জাতি(!) ...ক্ষমা যে মহৎগুণ। কিন্তু কেন ভুলে যাই ওরা অপরাধী। কেন ভুলে যাই শয়তান পুনরায় পুনরায় তার কদার্য রূপ দেখাতে পারে। আর ভুলে যাই দেখে আমার হারামীগুলোর পুন কোন হারামী কর্মের পর গাড়ীর পতাকা সসম্মানে খুলে নিয়ে তাদের গাড়ীথেকে টেনে নামানোর পথ খোলা রাখতেও ভুলে যাই। মাথায় উঠালে তো পেশাব গায়েই করবে ওরা যে হারামী ছিল ... ক্ষমা পেয়েছিল ... শুদ্ধতা পায়নি। আমার ক্ষমার সাথে সাথে ওদের গায়ের চিহ্ণ চেনার রীতিও বিস্মৃত হয়েছি। আমাদের তো সমস্যায় জলাঞ্জলিত হতেই হবে। হচ্ছি। ....
...কিন্তু মহান এ বিজয় দিবস কি মনে করাবে না ঐতিহ্য? রক্তের বন্যা কি মাটিকে সার্বভৌমত্বে স্বচকিত করেনি...করেছে। তবে,কেন আমরা সবার উর্ধ্বে দেশকে স্থান দিতে পারিনা। কেন? কেন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


