somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছবি ব্লগ (নদী ভাঙন রোধে বালির বস্তা) গাইবান্ধা, ফুলছড়ি, উদাখালি, সিংড়িয়া

১৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ছবি ০১


ভাঙন রোধে মাটি কাটা যন্ত্র

ছবি ০২


নদী ভাঙন রোধে নৌকা থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

ছবি ০৩


বস্তায় বালু ভরানো হচ্ছে।

ছবি-০৪


নদী ভাঙন রোধে বেকু ব্যবহার করা হচ্ছে।

ছবি-০৫


বস্তায় বালু ভরা হচ্ছে।

ছবি ০৬


বস্তায় বালু ফেলার দৃশ্য।

ছবি-০৭


নদী ভাঙনের ভয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ির গাছ গাছালি কেটে ফেলা হচ্ছে।

ছবি-০৮


নদী ভাঙনের ভয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ির গাছ গাছালি কেটে ফেলা হচ্ছে।

ছবি-০৯


ভাঙন কবলিত যমুনা নদীর পারেই বাড়ি।

ছবি-১০


নদীর কোল ঘেষে বাড়ি।

ছবি-১১


পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের বর্তমান অবস্থা।

ছবি-১২


উপায় নেই কাছেই নদী। নদী ভাঙনের আগেই গাছ কাটা দরকার, যাতে নদীর কবলে জমি গেলেও গাছ গাছালি না যেতে পারে।

ছবি-১৩


বস্তা ফেলে নদী ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করলে কি হবে, নদীও বসে নেই, ধীরে হলেও সে তার কাজ ঠিকই করে যাচ্ছে।

ছবি-১৪


চারিদিকে পানি তাই দুরে থেকে নৌকা বোঝাই করে বালুর বস্তা আনা হচ্ছে।

ছবি-১৫


এ বাড়িটি নদী থেকে একটু দুরে হলেও ভয়ে আছে, তাই আগে ভাগেই গাছ কেটে ঝামেলা কমিয়ে ফেলছে।

ছবি-১৬


অনেক লোক নদী ভাঙন দেখতে দুর দুর থেকে চলে আসে, গলা শুকিয়ে গেলে কি খাবে? তাই ভ্রম্যমান রুটি বিস্কুটের দোকান।

ছবি-১৭


বাঁধের পশ্চিম পাশে কুঁদলী বিল পূর্ব পাশে যমুনা নদী।

ছবি-১৮


নদী ভাঙন দেখতে আসা কিছু মানুষ।

ছবি-১৯


সাইকেলে গ্রামে ঘুরে ঘুরে হাঁস মুরগীর ডিম কিনতে এসেছে। নদীর পারে এসে সেও থ হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে।

ছবি-২০


নৌকা থেকে বালু নামানো হচ্ছে।

ছবি-২১


নদী ঠেকানোর জন্য বালু দিয়ে বালির বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।

ছবি-২২


বর্ষাকাল নদী ভাঙনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে? সারা বছর তো আর আষাঢ় মাস থাকে না? আষাঢ়ের মাছের স্বাদই আলাদা, এই স্বাদ অন্য মাসে পাওয়া যাবে না তাই ছোট্ট তরী নিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।

ছবি-২৩


নদীর পারে স্থায়ী দোকান দেওয়া সম্ভব নয়, যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে, তাই বালুর বস্তার উপর বসে রুটি বিস্কুট খাওয়ার ব্যবস্থায় ছেলেটি নিয়োজিত। অবশেষে এই নিবেদিত প্রাণ ছেলেটির কাছ থেকে দশ টাকার বিস্কুট আর ফ্রি পানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে নদী ভাঙনের জ্বালা বুকে নিয়ে চলে এলাম।

জ্বালার কারণ হলো, রুটিওয়ালা ছেলেটির ঠিক কয়েক শ' গজ পূর্ব পাশেই আমার বাপ দাদার বাড়ি ছিল এবং আমার জন্মস্থান। কয়েক বছর আগেই বাড়িটি নদীর কবলে চলে গেছে। এখন শুধু পানি আর পানি। শৈশব কৈশরের কথা মনে হলে ঘরবাড়ি না থাকলেও মাঝে মাঝে এসে পানি দেখেই মনের জ্বালা মিটিয়ে যাই। আজকেও এসেছিলাম সেই জ্বালা মিটাতে এবং মিটিয়ে গেলাম।

ভাঙন রোধের নামে অসময়ে কোটি কোটি টাকা পানিতে ফেলা হচ্ছে। অথচ শুকনার সময় অনেক কম খরচ করেও এর চেয়ে অনেক বেশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা করা যেত। শুকনার সময় কাজ না করার কারণও আছে, শুকনার সময় এই কাজটি করলে বেশির ভাগ টাকা নদীর পেটে যেত, তাতে নদীর পেট ভরতো নদীর ক্ষুধা কমে যেত ভাঙন রোধ হতো, কিন্তু মানুষের পেটের ক্ষুধা মিটতো না। এখন নদী সে সুযোগ পাবে না, কারণ এক বস্তা বালু ক্ষুধার্ত নদীর পেটে ফেলা হলে বিনিময়ে বিশ বস্তা মহা ক্ষুধার্থ তদারককারী মানুষের পেটে যাবে। এতে নদী ভাঙন বন্ধ না হলেও মানুষের পেট মোটা হবে।

নদী ভাঙনে আস্তে আস্তে গ্রামকে গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। সাথে সাথে আমার ভাগ্যও বিলীন হয়ে গেছে। যেখানে আমার বাবা এই গ্রাম থেকে হাজার মণ ধান পেত সেই গ্রাম থেকে আমি এবছর এক ছটাক ধানও পাইনি।

ছবিগুলি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত সিংড়িয়া গ্রাম থেকে তোলা।

ছবিগুলো তুলে ছিলাম গত ১৪/০৬/২০১৫্ইং রবিবার দুপুর সময়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫
১৪টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×