somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বান্দরবন ভ্রমণ – “নীলাচল”

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বান্দরবান ভ্রমণ – “নীলাচল”

২৫ জানুয়ারি রওনা হয়ে ২৬ তারিখ সকালে পৌছাই খাগড়াছড়ি। একটি মাহেন্দ্রা গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়ে সারা দিনের জন্য বেরিয়ে পড়ি খাগড়াছড়ি ভ্রমণে। একে একে দেখে ফেলি “আলুটিলা গুহা”, “রিছাং ঝর্ণা”, “শতবর্ষী বটবৃক্ষ” আর “ঝুলন্ত সেতু”।

পরদিন ২৭ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি থেকে রাঙ্গামাটির দিকে রওনা হই একটি চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করে। পথে থেমে দেখে নিই “অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”। ২৭ তারিখ দুপুরের পরে পৌছাই রাঙ্গামাটি। বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটে বোটে করে কাপ্তাই লেক দিয়ে “সুভলং ঝর্ণা” ঘুরে। ২৮ তারিখ সকাল থেকে একে একে দেখে এলাম ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। দুপুরের পরে বাসে করে রওনা হয়ে যাই রাঙ্গামাটি থেকে বান্দারবানের উদ্দেশ্যে। রাতটা কাটে বান্দরবানের “হোটেল ফোরস্টারে”। পরদিন ২৯ তারিখ সকালে একটি জিপ ভাড়া করে নিয়ে চলে যাই নীলগিরিতে। নীলগিরি থেকে ফেরার পথে দেখে নিলাম শৈলপ্রপাত।

২৯ জানুয়ারির বিকেলটা কাটাবো নীলাচলে। নীলাচলের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখবো সূর্যাস্ত। বান্দরবান শহর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটারের মত। শহরের কাছের সবচেয়ে উঁচু পাহার এটি, এর উচ্চতা প্রায় দেড় হাজার ফুটের মত।
বিকেলে শহরের ট্রাফিক মোড়ের কাছ থেকে একটা মাহেদ্রার রিজার্ভ নিলাম আমরা নীলাচলের জন্য আপ-ডাউন ভাড়া ৫০০ টাকা নিয়েছিলো মনে হয়। নীলাচলে গেলে সব সময়ই গাড়ি আপ-ডাউন হিসেবেই ভাড়া নিতে হবে। নইলে ফেরার সময় নীলাচলে কিছুই পাওয়া যায় না। এর আগেও গিয়েছি এখানে, তাই চেনা রাস্তায় আবার যেতে ভালোই লাগছে।


{সামনের মোড় থেকে নীলাচলের চূড়া}

বেশ কয়েকটা ভিউ পয়েন্ট আছে এখানেও। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়ালে দেখা যায় সূর্যাস্তের সময় মেঘেদের সাথে আলোর লুকোচুরি খেলা।




পূর্ব-দক্ষিণ দিকে গেলে দেখা যাবে দূরের থানচি রোড চিক সুরত মতো বিছিয়ে আছে পাহারের বাকে-বাকে।


{ছোট-বড় পাহার চার ধারে, এরই মাঝে একে-বেকে চলে গেছে পাহাড়ি পথ "বান্দরবান-থানচি" রোড}

উত্তর-পূর্ব দিকে দেখা যাবে বান্দরবান শহর। এখানে তৈরি হচ্ছে কটেজ, ইচ্ছে আছে কোন এক সময় আবার গেলে থাকবো এখানে।


{বান্দরবান শহর}


চার পাশেই ছড়িয়ে আছে ছোট-বড় উঁচু-নিচু পাহার সারি। কখনো মেঘ আবার কখনো ধোয়াশা খেলা করছে পাহারদের সাথে। বর্ষায় মেঘের লেখা আর মনোহর। এখানে আছে অনেকগুলি বসার যায়গা, প্রতিটিই একটি আরেকটি থেকে আলাদা ধরনের।




বিলাকের পর থেকেই সূর্য পাটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সোনালী রোদ বিছিয়ে থাকে চার ধারে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেও তার আলোর ছটা খেলা করে মেঘের মাঝে। এই সব দেখতে দেখতে কখন যে সময় কেটে যাবে টেরও পাওয়া যায় না। সূর্য অস্ত গিয়েছে, সারা দিনের দৌড়-ঝাপ শেষে আমরাও এখন ফিরবো হোটেলে। আগামী পর্বে দেখা হবে বান্দরবানের অন্য স্পটে, আজ দেখুন নীলাচলের কিছু ছবি।


{দূরে পাহারি গ্রাম}



{নীলাচলে বসির পরিবার}




{ইস্রাফীল+সম্পা}




{দস্যু পরিবার}




{সাইয়ারা দাঁড়িয়ে আছে বিকেলের কনেদেখা হলদে রোদে}




{দূরের এমন একটা বাড়িতে রাত কাটানোর মজাই হবে আলাদা}












{সাইয়ারা ও বুসরা}




{দস্যু পরিবার}



{স্বপন নাকি সূর্য নিবে মাথায়}




{শেষ বিকেলের আড্ডা}





পূর্বের পর্বগুলি -
খাগড়াছড়ির পথে”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – প্রথম পর্ব”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – আলুটিলা গুহা”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – রিছাং ঝর্ণা”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – শতবর্ষী বটবৃক্ষ”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু”।
খাগড়াছড়ি ভ্রমণ – অপরাজিতা বৌদ্ধ বিহার”।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – সুভলং ঝর্ণা ও কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহার”।
রাঙ্গামাটি ভ্রমণ – ঝুলন্ত সেতু, রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার”।
বান্দরবান ভ্রমণ – নীলগিরি”।
বান্দরবান ভ্রমণ – শৈলপ্রপাত”।
বান্দরবান ভ্রমণ – নীলাচল”।


প্রথম প্রকাশ: ঝিঁঝি পোকা


এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের মত এই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝি পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তুই পাগল তোর বাপে পাগল

লিখেছেন আজব লিংকন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



রাতে অর্ধেক কাউয়া ক্যাচাল দেইখ্যা হুর বইল্যা— মোবাইল ফোনের পাওয়ার বাটনে একটা চাপ দিয়া, স্ক্রিন লক কইরা, বিছানার কর্নারে মোবাইলটারে ছুইড়া রাখলাম।

ল্যাপটপের লিড তুইল্যা সার্ভারে প্রবেশ। বৃহস্পতিবারের রাইত... ...বাকিটুকু পড়ুন

যত দোষ নন্দ ঘোষ...

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

"যত দোষ নন্দ ঘোষ"....

বাংলায় প্রচলিত প্রবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যে যত দোষ করুক না কেন, সব নন্দ ঘোষের ঘাড়েই যায়! এ প্রবাদের সহজ অর্থ হচ্ছে, দুর্বল মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমাদের বাহাস আর লালনের গান

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪১


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হৈচৈ হচ্ছে, হৈচৈ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। একটা পক্ষ আগের সরকারের সময়ে হৈচৈ করত কিন্তু বর্তমানে চুপ। আরেকটা পক্ষ আগে চুপ ছিল এখন সরব। তৃতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ থাকে না কেউ থেকে যায়

লিখেছেন বরুণা, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৩


চমকে গেলাম হঠাৎ দেখে
বহুদিনের পরে,
নীল জানালার বদ্ধ কপাট
উঠলো হঠাৎ নড়ে।

খুঁজিস না তুই আর খুঁজিনা
আমিও তোকে আজ,
আমরা দু'জন দুই মেরুতে
নিয়ে হাজার কাজ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরও একটি কবর খোঁড়া

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৪

গোরস্থানে গিয়ে দেখি
আরও একটি কবর খোঁড়া
নতুন কেউ আজ মরেছে
এমন করে বাড়ছে শুধু
কবরবাসী, পৃথিবী ছেড়ে যাবে সবাই
মালাকুল মওত ব্যস্ত সদাই
কখন যে আসে ঘরে
মৃত্যুর যে নেই ক্যালেন্ডার
যে কোন বয়সে আসতে পারে
মৃত্যুর ডাক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×