সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাপসী পান্নু যার অভিনয় আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সিনেমায় তাপসী পান্নুর বয় ফ্রেন্ড চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহির রাজ ভাসিন। ২০২২ইং সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটি টাইম-লুপ নিয়ে তৈরি হলেও এটি মোটেও সাই-ফাই সিনেমা নয়। তবে টাইম-লুপটির একটি পৌরানিক হিন্টস দেয়া আছে সিনেমাতে, সেটি সিরিয়াসলি না নিলেও চলে। যাইহোক সংক্ষেপে সিনেমার কাহিনীটি হচ্ছে -
সাভি (তাপসী পান্নু) ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছিলো ঠিক সেই সময় অকর্মা জুয়ারি সাত্যেয়া (তাহির রাজ ভাসিন) এসে তাকে বাঁচিয়ে নেয়। দুজনের পরিচয় এবং প্রেম হয়। তারা একসাথে থাকতে শুরু করে। এরমধ্যে একদিন সাভি কুইক প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখে সে প্রেগনেন্ট হয়ে গেছে, ঠিক তখনই সাত্যেয়া তাকে ফোন করে জানায় যে তাঁর বসের দেয়া ৫০ লাখ টাকা সে হারিয়ে ফেলেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই টাকা বসকে ফিরিয়ে দিতে না পারলে বস তাকে খুন করে দিবে।
সাভি তার বয়ফ্রেন্ডকে বাঁচাতে দৌঁড়ে যায় তার বাবার কাছে টাকা চাইতে কিন্তু তার বাবা কোনো টাকা দেয় না। সাভি রাগ করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে। এদিকে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে বলে ট্যাক্সিবে বসে বসে কাঁদছে। সাভি ট্যাক্সি ড্রাইভাকে বারবার বললেও সে যেতে রাজি না হওয়ায় সাভি রাগে ট্যাক্সেরি সাইড গ্লাস লাথি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে দৌড়তে শুরু করে। তাই দেখে পুলিশ তার পিছু নেয়। দৌড়তে দৌড়তে সে সেই ট্যাক্সি ড্রাইভারের প্রেমিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌছে যায়।
অন্যদিকে সাত্যেয়া টাকা জোগাড় করার জন্য তাঁর কাছে থাকা পিস্তল নিয়ে একটি জুয়েলারি দোকানে ঢুকে পরে। কিন্তু সেই মুহুর্তে সেখানে জুয়েলারি মালিকে দুই ছেলে মুখোস পরে নকল পিস্তল নিয়ে বাবার দোকানেই হাজির হয় ডাকাতি করতে। একসময় সাভির সাহায্যে সাত্যেয়া টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু কিছু দূরে দৌঁড়ে এসে একটি গলিতে যখন ওরা পৌছায় তখন সেখানে গুলি খেয়ে মারা যায় সাত্যেয়া। এবং এখান থেকেই শুরু হয় টাইম-লুপ। সাভি কুইক প্রেগনেন্সি টেস্ট করে দেখে সে প্রেগনেন্ট হয়ে গেছে, ঠিক তখনই সাত্যেয়া তাঁকে ফোন করে যানায় যে তাঁর বসের দেয়া ৫০ লাখ টাকা সে হারিয়ে ফেলেছে...... আগের বারের মতোই প্রতিটি ঘটনা ঘটতে থাকে সামান্য পরিবর্তণ হয়ে হয়ে। এবং শেষ পর্যন্ত লুপটি আবার শুরু হয়ে যায় সাত্যেয়ার গুলি খেয়ে মারা যাওয়া মধ্য দিয়ে। একসময় সভির বুদ্ধিমত্তায় টাইম-লুপটি শেষ হয়।
Looop Lapeta সিনেমাটি ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া জার্মান চলচ্চিত্র Run Lola Run সিনেমার ভারতীয় রূপান্তর।
=================================================================
সিনেমা নিয়ে আমার আরো কিছু পোস্ট -
The Invisible Guest
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ১
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ২
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ৩
জনি ডেপের সিনেমা "Nick of Time"
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭