somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাই-ফাই মুভি সিরিজ Alien

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার খুবই পছন্দের একটি সাইফাই মুভি সিরিজ Alien। মহাজাগতিক ভিনগ্রহী ভয়ঙ্কর প্রাণীদের নিয়ে তৈরি করা এই সিরিজের প্রথম সিনেমা Alien রিলিজ হয় আমার জন্মেরও আগে ১৯৭৯ সালে। সেই সময় এতো চমৎকার একটি সিনেমা কি করে তৈরি করা সম্ভব হলো সেটা এখনো আমাকে অবাক করে।



১৯৭৯ সালে Alien সিনেমাটি প্রথম রিলিজ করার পরে এই সিকুয়েন্সে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আরো ৩টি সিনেমা রিলিজ করা হয়। কিন্তু প্রথম সিনেমাটিতে বেশ কিছু প্রশ্নের সঠিক জবাব দর্শক পায়নি। ফলে ২০১২ সালে Alien সিরিজে পঞ্চম সিনেমা Prometheus এবং ২০১৭ সালে সিরিজের ষষ্ঠ সিমেনা Alien: Covenant এর মাধ্যে সেই সব অজানা প্রশ্নগুলির সঠিক ব্যাখ্যা করা হয়। এই দুইটি সিনেমা সবার শেষে রিলিজ করা হলেও এদুটি হচ্ছে সিরিজের প্রথম কানিহী।



অর্থাৎ এলিয়েন সিরিজের ৬টি সিনেমার সঠিক টাইমলাইন হচ্ছে -
১। Prometheus (2012)
২। Alien: Covenant (2017)
৩। Alien (1979)
৪। Aliens (1986)
৫। Alien3 (1992)
৬। Alien Resurrection (1997)



মাত্র কয়েকটি লাইনে ৬টি মুভির কাহিনী বলে দিচ্ছি-

১। Prometheus :


কিছু বিজ্ঞানী ও তাদের তৈরি মানব আকৃতির এ্যান্ড্রয়েড রোবট ডেভিড যায় একটি গ্রহে ভিনগ্রহয়ের প্রাণীদের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে। সেখানে তারা সকলেই নিহত হয় ভিনগ্রহের আজীব প্রাণীদের হাতে। শুধু বেঁচে যায় বিজ্ঞানী এলিজাবেথ শ এবং প্রায় ধ্বংশ হয়ে যাওয়া রোবট ডেভিড।


২। Alien: Covenant :


বিজ্ঞানী এলিজাবেথ শ ও রোবট ডেভিড সেই গ্রহে থাকা ভিনগ্রহয়ের প্রাণীদের একটি মহাকাযান নিয়ে প্রাণধারনের উপযোগী অন্য একটি গ্রহে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে বোরট ডেভিড ভিনগ্রহয়ের প্রাণীদের পরীক্ষার মাধ্যে তৈরি করতে থাকে হাজার হাজার রকমের অসংখ্য এলিয়েন। এক সময় সেখানে অন্য একটি মহাকাশ জানের ক্রুরা এসে উপস্থিত হলে তারা সকলেই একে এক মারা পড়ে। কোনো রকমে সেখানে বেঁচে যায় একজন মাত্র মহিলা ক্রু এবং সেই রোবট ডেভিড। ডেভিড সেই মহাকাশযানটি নিয়ে অন্য আরেকটি গ্রহের দিকে রওনা হয়ে যায়।


৩। Alien :


এলিয়েনদের একটি মহাকাশযান গিয়ে পরে অন্য একটি গ্রহে যেখানে বিজ্ঞানীদের একটি কলনী ছিল। এলিয়েনরা বিজ্ঞানীদের সবাইকে হত্যা করে ফেলে। ঠিক তখন সেখান থেকে একটা সিগনাল পায় পাশের আরেকটি কারগো মাহাকাশযান। তারা সেই গ্রহে গিয়ে একে একে সকলেই মারা পরে এলিয়েনদের হাতে। শুধু রিপলি নামের একটি মেয়ে কোনো রকমে বেঁচে ফিরে আসে।


৪। Aliens :


সেই গ্রহটিতেই আবারো একটি টিম পাঠানো হয় সেখান থেকে সকল তথ্য উদ্ধার করে আনতে। সেই দলের সাথে যেতে রিপলি কে বাধ্য করা হয়। এবং যথারীতি সেখানে গিয়ে তারা সকলেই মারা পরে এলিয়েনদের হাতে। শুধু রিপলি সেই গ্রহে থাকা একটি বাচ্চা মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসতে পারে।


৫। Alien3 :


দূঘটনাবশত এলিয়েনদের নিয়ে যাওয়ার একটি মহাকাশযান পতিতো হয় এমন একটি গ্রহে যেখানে সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের নির্বাসন দেয়া হয়। সেই মহাকাশযানটিতে রিপলি ও ছিলো, এবং সেও এই গ্রহটিতে এসে পরেছে। এলিয়েনেরা একে একে সবাইকে মরে ফেলতে শুরু করে। শেষে রিপলি নিজেকে উৎসর্গ করে এলিয়েনদের মেরে ফেলতে সক্ষম হয়।


৬। Alien Resurrection :


একটি মহাকাশ স্টেশনে নতুন করে এলিয়েনদের তৈরি করা হয়। তৈরি করা হয়ে রিপলিকেও। তাদের তৈরি করা হয় সেই রিপলি ও এলিয়েনদের ডিএনএ মিশিয়ে। শেষ পর্যন্ত এলিয়েনেরা ছাড়া পেয়ে যায় এবং মারতে শুরু করে সবাইকে।

এই সিরিজের সাথে আরো ২টি সিনেমা রিলেডেড আছে। সেগুলি হচ্ছে -
Alien vs. Predator (2004)
এবং
Aliens vs. Predator: Requiem (2007)


=================================================================
সিনেমা নিয়ে আমার আরো কিছু পোস্ট -
The Invisible Guest
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ১
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ২
আমার দেখা অসাধারন একটি সিনেমা : ফরেস্ট গাম্প ৩
জনি ডেপের সিনেমা "Nick of Time"
টাইম-লুপ নিয়ে হিন্দি সিনেমা Looop Lapeta
আইনি ড্রামা সিনেমা - জয় ভীম (Jai Bhim)
=================================================================
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩২
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তুই পাগল তোর বাপে পাগল

লিখেছেন আজব লিংকন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



রাতে অর্ধেক কাউয়া ক্যাচাল দেইখ্যা হুর বইল্যা— মোবাইল ফোনের পাওয়ার বাটনে একটা চাপ দিয়া, স্ক্রিন লক কইরা, বিছানার কর্নারে মোবাইলটারে ছুইড়া রাখলাম।

ল্যাপটপের লিড তুইল্যা সার্ভারে প্রবেশ। বৃহস্পতিবারের রাইত... ...বাকিটুকু পড়ুন

যত দোষ নন্দ ঘোষ...

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

"যত দোষ নন্দ ঘোষ"....

বাংলায় প্রচলিত প্রবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যে যত দোষ করুক না কেন, সব নন্দ ঘোষের ঘাড়েই যায়! এ প্রবাদের সহজ অর্থ হচ্ছে, দুর্বল মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আমাদের বাহাস আর লালনের গান

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৪১


দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হৈচৈ হচ্ছে, হৈচৈ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। একটা পক্ষ আগের সরকারের সময়ে হৈচৈ করত কিন্তু বর্তমানে চুপ। আরেকটা পক্ষ আগে চুপ ছিল এখন সরব। তৃতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ থাকে না কেউ থেকে যায়

লিখেছেন বরুণা, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০৩


চমকে গেলাম হঠাৎ দেখে
বহুদিনের পরে,
নীল জানালার বদ্ধ কপাট
উঠলো হঠাৎ নড়ে।

খুঁজিস না তুই আর খুঁজিনা
আমিও তোকে আজ,
আমরা দু'জন দুই মেরুতে
নিয়ে হাজার কাজ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরও একটি কবর খোঁড়া

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৪

গোরস্থানে গিয়ে দেখি
আরও একটি কবর খোঁড়া
নতুন কেউ আজ মরেছে
এমন করে বাড়ছে শুধু
কবরবাসী, পৃথিবী ছেড়ে যাবে সবাই
মালাকুল মওত ব্যস্ত সদাই
কখন যে আসে ঘরে
মৃত্যুর যে নেই ক্যালেন্ডার
যে কোন বয়সে আসতে পারে
মৃত্যুর ডাক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×