somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক্স-রেটেড ক্লিপে যখন খুঁজে পাই নববধুর মুখ...

২৮ শে জুন, ২০০৯ রাত ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

উল্লাসে ভরে গেল “অ” এর মুখটা, সোৎসাহে চেঁচায়, “কি মামা! কৈ কৈছিলাম? শালা আমার চোখ তো না স্ক্যনার! মিল্যা গেলগা, কি কও!”

হতভম্ভ চেয়ে থাকি, আমি “ধ”, অবশ্য “অ” শালার সদ্য আবিষ্কারে হাত-পা কেমন যেন পেটের ভেতরে সেঁধিয়ে যেতে বসেছে, “ধ” থেকে একেবারে হাঁটু ভাঙা “দ” হতে চলেছি যেন।

অনেক দিন বাদে কলেজ লাইফের “পর্ন মাস্টার” “অ” এর সাথে দেখা, ছুটিতে এসেছে আরেকটা বিভাগীয় শহর থেকে। কিছুক্ষন আড্ডা মেরে নিয়ে এলাম বাসায়, সারা রাত আড্ডা মারবো। খেয়ে দেয়ে ল্যাপিটা খুলে গত ক’বছরের তোলা কিছু ছবি দেখাচ্ছিলাম। একটা এন্গেজমেন্ট এর কটা ছবি ছিলো এক ছোট ভায়ের।

নিরীহ গোবেচারা ছেলে, বিদেশি বৃত্তি পেয়ে এমএস করতে বাইরে যাচ্ছে। একমাত্র ছেলেকে বাবা মা প্রায় কোলে করেই রেখেছিলেন এতদিন। মায়ের খুব ভয়, ছেলেটাকে কোন মেয়ের আশেপাশে ভীড়তে দেননি তো বটেই, কোন মেয়ে ওর দিকে ইন্টারেস্ট দেখালে দুনিয়া লয় করে ফলেছেন তিনি, সেই ছেলে একা একা বাস করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় পুরুষখেকো মেয়েগুলোর দেশে, কি না জানি ঘটে যায়!

তার’চে ছেলেটাকে বিয়ে দিয়ে পাঠাইনা কেনো?! বুদ্ধি খেলে যায় মায়ের মাথায়, বাবাও সম্মতি জানান, ছেলে বিয়ের কথা শুনে পাকা টমেটো হয়ে যায়, দেখে ভাবি লজ্জায় হার মানে সদ্য কিশোরীও।

দারুন ফিউচার, লক্ষি ছেলে - সুন্দরী পাত্রী জুটতে দেরি হয় না, দারুন স্মার্ট মেয়ে, পড়ছে প্রথম সারির একটা বেসরকারি ইউনিতে। ধুমধাম করে এনগেজমেন্ট। যাবার আগে কদিন দুজনে উড়ে বেড়ানো ঢাকা শহরে, যখন খুশি - দুই পরিবার বরং খুশিই এতে, যেটুকু সময় পাও, নিজেদের বুঝে নাও।

ফোঁড়ন কাটি, ‘কি রে ব্যাটা, চেহারায় বেশ জেল্লা মারে যে!”
মুখ টিপে হাসে, “ও না দারুন স্মার্ট, কত্ত এ্যাডভান্সড! আমি এতদিন কি নিরস ভাবতাম জীবনটা!”
“ভালো থাকিস, জলদি ফিরিস।” - হাসি আমি।

সেই স্মৃতিমাখা ছবি গুলো, দেখাই “অ” কে।

“মামা, এই মাইয়ারে কৈ যানি দেকছি” - চোখ ছোট ছোট করে প্রানপন মগজটা হাতড়ায় “অ”।
“আরে দেখতেই পারিস, অসম্ভব কি, ঢাকা এলেই তো পক্ষিদর্শন করে বেড়াস ইউনি গুলোর মোড়ে মোড়ে, শালা লুচ্চা” - মতামাত দেই আমি।
“আরে না ব্যাটা, অইন্য কেইস” বলতে বলতে ল্যাপিটা টেনে নেয় “অ”, নিজের অনলাইন ফাইল স্টোরেজে লগইন করে বসে, কি যেন খুঁজতে থাকে।

আমি কফি বানাতে উঠে যাই, ফিরে এসে এক মগ কফি বাড়িয়ে দিয়া সিগ্রেট জ্বালিয়ে মন দেই নিজের মগে।

একটু পরে উল্লাসে ভরে যায় “অ” এর মুখটা, সোৎসাহে চেঁচায়, “কি মামা! কৈ কৈছিলাম? শালা আমার চোখ তো না স্ক্যনার! মিল্যা গেলগা, কি কও!”

ভুল নেই, একই মেয়ে, স্টিল ছবি গুলো এনগেজমেন্টের দিনে নিজে তুলেছি আমি, আর ভিডিওটা কোন প্রাইভেট ক্যামের, মেয়েটা নিজেকে মেলে ধরছে সোৎসাহে, একটু একটু করে।

হতভম্ভ চেয়ে থাকি, আমি “ধ”, অবশ্য “অ” শালার সদ্য আবিষ্কারে হাত-পা কেমন যেন পেটের ভেতরে সেঁধিয়ে যেতে বসেছে, “ধ” থেকে একেবারে হাঁটু ভাঙা “দ” হতে চলেছি যেন।

মিনিট দশেক পরে শেষ হয় ক্লিপটা।

“হেব্বি না মালটা?” জানতে চায় “অ”, “পোলাডা ক্যাডা, মানে যার গলায় ঝুললো?”

“ঘুমা” - রাফ গলায় জবাব দেই আমি।

তারপর ঘুমোতে চলে যাই।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫
১২২টি মন্তব্য ৬২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×