somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

একজন মহান নেতা

১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত-পাকিস্তান নিয়ে বেড়ালের পিঠে ভাগাভাগি করার সময় বাংলাকে ভেঙে দুই টুকরো করে দিয়েছিলো। আমাদের ভাগের বাংলা পড়লো পাকিস্তানের সঙ্গে। আর পাকিস্তানও দেশভাগ হওয়ার পর থেকেই শুরু করলো আমাদের সোনার দেশের সোনার মানুষগুলোর উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন আর নিপীড়ন। প্রথমেই তারা চাইলো আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে। কিন্তু আমরা আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে দেই নি। এরপর বছরের পর বছর পেরিয়ে গেছে।

দিনটি ছিল ৭ মার্চ, ১৯৭১ সাল।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির অবিসংবাদী নেতা দিয়েছিলেন এক বজ্রকণ্ঠ ভাষণ। সে ভাষণ দেওয়ার সময় তার গলা দিয়ে যেন কথা নয়, ঠিকরে বের হচ্ছিলো বজ্র। আর সেই বজ্রগুলো ময়দানে সমবেত লক্ষ মানুষের হৃদয়ে যোগান দিচ্ছিলো অমিত সাহস। আর তাদেরকে দেখাচ্ছিলো স্বাধীনতার স্বপ্ন।

রেসকোর্স ময়দানে সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
আমার মা নানার সাথে গেল ভাষন শুনতে। আমার বাবাও গেলো সেই ভাষন শুনতে। তখন মা-বাবা দুইজন দু'জনকে চিনতো না। যাই হোক, সবাই এসেছে নেতার কথা শুনতে, নেতা তাদের কি আদেশ দেবেন, তা শোনার জন্য। নেতার কাছ থেকে সবাই নতুন দেশের কথা শুনতে চায়, নতুন স্বপ্নের কথা শুনতে চায়। আর সেই স্বপ্নের কথা বলতে রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষকে সামনে রেখে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উঠলে মঞ্চে।

সেদিন সেই ভাষণে দুলে উঠেছিলো পাকিস্তান নামের দেশটির ভিত্তিমূল পর্যন্ত। সেই ভাষণে শেখ মুজিব পুরো বাঙালি জাতিকে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ সঠিক দিক নির্দেশনা। আর কি আশ্চর্য তার কথা বাঙালিরা পালন করেছিলো অক্ষরে অক্ষরে। একটি ভাষণ পুরো জাতিকে কতোটা নাড়া দিতে পারে!! আজ ১৫ আগষ্ট। শোকের দিন। আমি একটি কবিতা লিখেছি শেখ মুজিবকে নিয়ে-


একজন মহামানব


এই দিনে লজ্জায় আর এক আকাশ ঘৃনায়-
আমি মিশে যাই মাটিতে। পিতা জেগে উঠো।
৩২ নম্বর বাড়িটি নতুন প্রজন্মকে আবার
নতুন করে জেগে উঠার প্রেরণা যোগায়।
বিবেকের কাছে প্রশ্ন- মানুষ কেমন করে এত হিংস্র হয়?

আমি আমার সমস্ত ভালোত্ব নিয়ে লিখতে বসেছি
কবিতায় যা বলবো সরাসরি বলবো, করে বুক টান-
কবিতায় আজ বলব শেখ মুজিবের যত কথা-
বঙ্গবন্ধু একটি মুক্তির নাম, একটি বিশ্বাসের নাম
শিল্প, সাহিত্য আর সঙ্গীতে বারবার উচ্চারিত হয়েছে-
আপনার কৃতিত্বের কথা হে মুজিব।

মানুষ মানুষকে বাঁচায়, পশুরা মানুষকে হত্যা করে
তিনি নেই, তবুও বারবার তার কথা বড্ড মনে পড়ে
আপনার সেই ভরাট কন্ঠ আর কালো ফ্রেমের চশমা
বাঙ্গালীকে সুখে দুঃখে বারবার তার কাছে ফিরে যেতে হবে
হে নায়ক- আপনি দিয়ে গেছেন চিরজীবনের স্বাধীনতা।

বঙ্গবন্ধু মানেই পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ
আপনি ছিলেন সারা বাংলাদেশের মানুষের বটবৃক্ষ-
এখন, বাংলার মাটিকে অটুট রাখবে, শেখ হাসিনা।
বাঙালির শ্রেষ্ট সন্তানকে আমরা কখনও যাব না ভুলে
বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রিয় বঙ্গবন্ধু, পুরো বাঙালী জাতি আপনার কাছে ঋণী
হে বাংলার মানুষ সকল তোমরা বিশ্বাস করো-
আমি একটি শব্দ মিথ্যা লিখি নাই
তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তাহলে আজ
চিৎকার করে বলো- জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩১
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×