১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত-পাকিস্তান নিয়ে বেড়ালের পিঠে ভাগাভাগি করার সময় বাংলাকে ভেঙে দুই টুকরো করে দিয়েছিলো। আমাদের ভাগের বাংলা পড়লো পাকিস্তানের সঙ্গে। আর পাকিস্তানও দেশভাগ হওয়ার পর থেকেই শুরু করলো আমাদের সোনার দেশের সোনার মানুষগুলোর উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন আর নিপীড়ন। প্রথমেই তারা চাইলো আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে। কিন্তু আমরা আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে দেই নি। এরপর বছরের পর বছর পেরিয়ে গেছে।
দিনটি ছিল ৭ মার্চ, ১৯৭১ সাল।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির অবিসংবাদী নেতা দিয়েছিলেন এক বজ্রকণ্ঠ ভাষণ। সে ভাষণ দেওয়ার সময় তার গলা দিয়ে যেন কথা নয়, ঠিকরে বের হচ্ছিলো বজ্র। আর সেই বজ্রগুলো ময়দানে সমবেত লক্ষ মানুষের হৃদয়ে যোগান দিচ্ছিলো অমিত সাহস। আর তাদেরকে দেখাচ্ছিলো স্বাধীনতার স্বপ্ন।
রেসকোর্স ময়দানে সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
আমার মা নানার সাথে গেল ভাষন শুনতে। আমার বাবাও গেলো সেই ভাষন শুনতে। তখন মা-বাবা দুইজন দু'জনকে চিনতো না। যাই হোক, সবাই এসেছে নেতার কথা শুনতে, নেতা তাদের কি আদেশ দেবেন, তা শোনার জন্য। নেতার কাছ থেকে সবাই নতুন দেশের কথা শুনতে চায়, নতুন স্বপ্নের কথা শুনতে চায়। আর সেই স্বপ্নের কথা বলতে রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ মানুষকে সামনে রেখে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উঠলে মঞ্চে।
সেদিন সেই ভাষণে দুলে উঠেছিলো পাকিস্তান নামের দেশটির ভিত্তিমূল পর্যন্ত। সেই ভাষণে শেখ মুজিব পুরো বাঙালি জাতিকে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ সঠিক দিক নির্দেশনা। আর কি আশ্চর্য তার কথা বাঙালিরা পালন করেছিলো অক্ষরে অক্ষরে। একটি ভাষণ পুরো জাতিকে কতোটা নাড়া দিতে পারে!! আজ ১৫ আগষ্ট। শোকের দিন। আমি একটি কবিতা লিখেছি শেখ মুজিবকে নিয়ে-
একজন মহামানব
এই দিনে লজ্জায় আর এক আকাশ ঘৃনায়-
আমি মিশে যাই মাটিতে। পিতা জেগে উঠো।
৩২ নম্বর বাড়িটি নতুন প্রজন্মকে আবার
নতুন করে জেগে উঠার প্রেরণা যোগায়।
বিবেকের কাছে প্রশ্ন- মানুষ কেমন করে এত হিংস্র হয়?
আমি আমার সমস্ত ভালোত্ব নিয়ে লিখতে বসেছি
কবিতায় যা বলবো সরাসরি বলবো, করে বুক টান-
কবিতায় আজ বলব শেখ মুজিবের যত কথা-
বঙ্গবন্ধু একটি মুক্তির নাম, একটি বিশ্বাসের নাম
শিল্প, সাহিত্য আর সঙ্গীতে বারবার উচ্চারিত হয়েছে-
আপনার কৃতিত্বের কথা হে মুজিব।
মানুষ মানুষকে বাঁচায়, পশুরা মানুষকে হত্যা করে
তিনি নেই, তবুও বারবার তার কথা বড্ড মনে পড়ে
আপনার সেই ভরাট কন্ঠ আর কালো ফ্রেমের চশমা
বাঙ্গালীকে সুখে দুঃখে বারবার তার কাছে ফিরে যেতে হবে
হে নায়ক- আপনি দিয়ে গেছেন চিরজীবনের স্বাধীনতা।
বঙ্গবন্ধু মানেই পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশ
আপনি ছিলেন সারা বাংলাদেশের মানুষের বটবৃক্ষ-
এখন, বাংলার মাটিকে অটুট রাখবে, শেখ হাসিনা।
বাঙালির শ্রেষ্ট সন্তানকে আমরা কখনও যাব না ভুলে
বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
প্রিয় বঙ্গবন্ধু, পুরো বাঙালী জাতি আপনার কাছে ঋণী
হে বাংলার মানুষ সকল তোমরা বিশ্বাস করো-
আমি একটি শব্দ মিথ্যা লিখি নাই
তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তাহলে আজ
চিৎকার করে বলো- জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৩১