দেশের প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমে গেছে।
আমরা যতই বুক দিয়ে ঠেলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, পলিটিশিয়ান এবং হেফাজতরা ততই পিঠ দিয়ে ঠেলে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যান। আমার খুবই রাগ হয় এই জন্য। অবশ্য কোনো হেফাজতের সেকেন্ড হোম নেই। বেগমপাড়ায় বাড়ী নেই। সরকার কেন খোঁজ নিচ্ছে না কার কার বেগম পাড়ায় বাড়ি আছে। এই বাড়ি কেনার টাকার উৎস কি? একজন টিভি চ্যানেল দিলো, দৈনিক পত্রিকা বের করলো, নিজ গ্রামে হেলিকাপ্টার দিয়ে যাতায়াত করে সপ্তাহে দুই দিন। এত টাকা কোথা থেকে এলো! সরকারের কি জানতে ইচ্ছা করে না? আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে।
সবচেয়ে বড় অপরাধী এদেশের জনগণ।
তারা যাকে ক্ষমতায় পাঠায় তাকে এত বেশি আসন দিয়ে পাঠায় যে তারা সংবিধানে যা ইচ্ছা তা করতে পারে! বাংলাদেশে কোনো রাজনীতিবিদকে 'নেতা' বলা ঠিক হবে না। এরা প্রচুর মিথ্যা বলে। সবচেয়ে বড় কথা এরা নিন্দা করে। ড. হাছান মাহমুদ, কাদের সাহেব থেকে শুরু করে- প্রধানমন্ত্রীও বিএনপির নিন্দা করেন। নিন্দা করা ছাড়া উনার একটা দিনও যায় না। আরে নিন্দা করার দরকার কি? দেশের মানুষ তো সব জানে, বুঝে। তাই নিন্দা বাদ দিয়ে দেশের জন্য শুধু কাজ করে যান।
ইদানিং আমি বিছানায় যাওয়া মাত্র ঘুমিয়ে পড়ি।
এবং অদ্ভুত সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। কয়েকদিন আগে আমি একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। তারপর থেকে সেই স্বপ্নটা আমাকে তাড়া করে ফিরছে। স্বপ্নটা দেখার পর প্রথমেই যখন আমি বাইবেল খুলেছিলাম, অবাক কান্ড! জেনেসিসের আটাশ নম্বর চ্যাপ্টারটা খুলেছিলাম। ওখানে বর্ননা রয়েছে জ্যাকব যে স্বপ্ন দেখতেন সেগুলোর বিষয়ে। আমি পাগলের মত একটার পর একটা পৃষ্টা উলটে গেলাম। যে অংশের উপর'ই চোখ পড়ে, মনে হয় সেখানেই যেন আমার মনের কথাই বলা হয়েছে। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছিল।
সময় এবং শূন্য যেন একই ররকম।
খুব দ্রত চলে যায়। সময় মনে হলেই যেন লক্ষ লক্ষ যুগ আগে কোনো অবস্থা মনে এসে জানিয়ে দেয় কত কিছু ঘটে গেছে কত আগে।অন্য দিকে শূন্য, মহাশূন্য চিন্তা করলেই যেন চিন্তার ও বাইরে শূন্য রয়েছে মনে হয়। তাই, শূন্যতার ব্যাপ্তি চিন্তার ও অসীম। কোনো পদার্থকে ভাংচুর, বিশ্লেষণ করলে যেমন ধর্ম, গুন, দোষ সব বেরিয়ে আসে তেমনি মানুষ নিজেকে নিয়ে, তার মনকে খোড়াখুড়ি করলে তার নিজেরও দোষ গুন, বিশ্বাস অন্ধত্ব, চৌদ্দ পুরুষ হুড়মুড় করে এসে পড়ে। আমার এখন এই অবস্থা চলছে। আমার ডান হাতের তালুতে একটা তিল আছে।
জীবন একটা আয়না স্বরূপ।
আপনি যেভাবে জীবনকে দেখবেন, সেও ঠিক সে ভাবেই আপনার কাছে ধরা দিবে। যারা সাহসিকতা, ভালোবাসা, উৎসাহ, জয় করার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, জীবন তাদের কাছে অনেক সহজ ও আনন্দ ময় হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু যারা, হতাশা, ভয়, মানসিক অবসাদ নিয়ে সামনে এগুতে চায়, তাদের চোখে সাফল্য যেন মরীচিকা। জীবন হয়ে উঠে ক্লান্তিকর, বিষণ্ণময়। বাস্তবতাকে আপনি যেভাবে দেখবেন, আপনার সামনে তা সেভাবেই ধরা দিবে।
একটা বয়েসের পর আর আমরা-
কোনো প্রেমিক/প্রেমিকা খুঁজি না। খুঁজি একটা কাঁধ যাতে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে পড়া যায়। একটা বুক যেখানে মুখ গুঁজে নির্বাসন নিই। আর একটা হাত যাকে ধরে জাহাজ, সমুদ্র আর পাহাড় দেখতে ছুটি। শারীরিক আর মানসিক আকর্ষন খুঁজতে খুঁজতে প্রেমিক/প্রেমিকা শব্দটা ছোট হয়ে আসে মুঠোর মতো। কিন্তু আমাদের একটা দীর্ঘিকার চাই। আমাদের একটা ক্লান্তিহীন অবকাশ দরকার।
নির্ভর আর নির্ভার করার মতো একটা মানুষ।
প্রিয় মানুষ। কাছের মানুষ। মনের ওজন যখন নুইয়ে দিচ্ছে মাটিতে, বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের যৌথ নিপীড়নে নিশ্বাস নিভে আসছে তখন যে হাতটা ধরে, যার কাছে সমস্ত সত্যকে সমর্পন করা যায়। যা কিছুই বলা হোক তাকে, সেই সম্পর্কটার সহজে বলার মতো করে নাম হয় না কিছু।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭