somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ভাস্কর্য/মুর্তি নিয়ে সাধারন মানুষ যা ভাবছেন

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। মূর্তি আর ভাষ্কর্য এক নয় কথাটা আসছে কেনো! মূর্তি হলে আপনি সেটা ভেঙে দেওয়ার অনুমতি দিতেন?

২। আপনি গান করবেন না বলে আর কেউ গান করবে না? আপনি নাচ করবেন না বলে আর কেউ নাচবে না? আপনি বিজ্ঞান গবেষণা করবেন না বলে আর কেউ সেটা করবে না? অপনি অভিনয় করবেন না বলে আর কেউ সেটা করবে না? আপনি চিত্রকলা ও ভাস্কর্যের চর্চা করবেন না বলে আর কেউ সেটা করবে না? আপনি সাহিত্য চর্চা করবেন না বলে আর কেউ সেটা করবে না? আপনি কি মনে করেন, সবাই আপনার মতো মুখস্ত কথা বিক্রি করে অলস পথে বেঁচে থাকবে? তাহলে পৃথিবী এগোবে কীভাবে? খুব গভীরে গিয়ে চিন্তা করে দেখুন, আপনারা এসব পারবেন না। এসব আপনাদের ব্রেনে ধরে না। শিল্প-সাহিত্য-বিজ্ঞান গবেষণা কঠিন সাধনার বিষয়।

৩। আপনারা 'ভাস্কর্য' আর 'মূর্তির' পার্থক্য বুঝাতে থাকেন আর ওরা মেরে দেয়ার কাজ সারতে থাকুক। বহুত চিল্লাইছি। আর গলা ধরে না। সময় নাই আর। আলোচনায় বসানোর পায়তারা এই ভাঙচুর আর যদি ভাবেন আলোচনায় বসলেই সাপের বিষ কেনা যাবে তাহলে শেষ সর্বনাশ করবেন। ডান্ডার বাইরে কোন আলোচনা নাই। হুশ ফিরান, প্লিজ।

৪। আশা করি আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াবে, তার শত্রু-মিত্র চিনতে পারবে, তার ঐতিহ্যে ফিরে যাবে, এই রাষ্ট্রের গন্তব্য ঠিক করবে। এবং এই মৌলবাদী অপশক্তিকে আওয়ামী লীগকেই দমন করতে হবে। তা না করলে অচিরেই যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্নতার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে হাঁটতে শুরু করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

৫। ভাষ্কর্য জামাতিদের রাজনৈতিক ইস্যু! দেশে ধর্মীয় অন্ধত্ব ছড়িয়ে দেয়ার এই ষড়যন্ত্র পাকিস্তান আফগানিস্তানে ব্যবহার করেছিল।ভূয়া অভিভাবক সাজিয়ে ফ্লাইং ক্লাবে বিমান উড়ানোর প্রশিক্ষণ নেয়াও তারই অংশ।

৬। জেলা প্রশাসক বলেছেন, জেলায় যতগুলো ভাস্কর্য আছে সবগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়েছে। বোঝেন অবস্থা! স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যরক্ষার জন্য আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে।

৭। বঙ্গবন্ধুর যে মূর্তি মানুষের হৃদয়ে স্থাপিত আছে চাইলেও কেও তাকে কোটি বাঙালীর হৃদয় থেকে নির্মূল করতে বা ভাঙতে পারবে না।
তাই কুষ্টিয়া ৫ রাস্তার মোড়ে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য কে রাতের আধারে যে কাপুরুষের দল বিনষ্ট করেছে, তাদের এই কর্মকান্ডে তাদের মানসিক দৈণতাই শুধু প্রকাশ হলো। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।

৮। জানি জানি, শেখ মুজিবের উদ্ধত তর্জনিতে, চেহারায় কাদের ভয়। ঐ এক আঙ্গুলের নির্দেশনায় দেশের নাম পূর্বপাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে গিয়েছিলো। ঐ চেহারা চোখে রেখে মুক্তির যোদ্ধারা প্রাণ তুচ্ছ করে লড়ে দেশ স্বাধীন করেছিলো। মুজিবের ঐ আঙ্গুল - ঐ চেহারা আজো তাদের বুকে কাঁপন ধরায়। তাই তো তারা মুজিবের ভাষ্কর্য্যের ঐ আঙ্গুল ভেঙ্গে দিচ্ছে আর মুখের আদল নষ্ট করে দিচ্ছে। তারা জানেনা, মুজিব কোনো ভাষ্কর্য্য নয়। মুজিব একটা আদর্শ। যতোদিন বাংলাদেশে একজনও বাঙ্গালী থাকবে ততোদিন মুজিব বেঁচে থাকবে। স্বাধীনতার প্রতিক হয়ে। ভাঙ্গুক, ভাংতে থাকুক তারা। ভাংতে ভাংতে ক্লান্তিতে একদিন তারা নিজেরা ভেঙ্গে পড়বে কিন্তু যে আশায় তারা ভাংছে সে আশা তাদের কোনোদিনও পূর্ণ হবেনা। জয় বাংলা।

৯। যদি বিমানবন্দরে লালন সাঁইজির ভাষ্কর্য ভাঙার সময় মৌলবাদীদের প্রতিহত করা হতো। তাইলে আজ এই দিন দেখা লাগেনা।

১০। যারা একসময় ছবি হারাম বলত তারা এখন ছবি তুলতেছে। একসময় যারা টিভি দেখত না, এখন টিভি শুধু দেখেই না, টিভিতে তারা যান, ফেসবুক লাইভ করেন, ইউটিউব চ্যানেল চালান। এত প্রগ্রেসিভ অবস্থানের পরেও আপনারা তাদের মৌলবাদী বলেন। আর নিজেরা নিজেদের অবস্থান একই রেখে, ভিন্নমত নিতে না পারার পরেও, বিরোধিতাকে নির্মূল করতে চাওয়ার খায়েশ নিয়েও নিজেদের প্রগতিশীল বলেন কোন লজিকে?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
২৭টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×