আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।
দু'দল একই রকম। তাদের কর্মকাণ্ডও এক। তারা ক্ষমতায় আসবে ইচ্ছে মতো দূর্নীতি করবে। বিরোধী দলকে দৌড়ের উপর রাখবে। আওয়ামী লীগ সব কিছুর শুরুতে শেখ মুজিবের নাম নিবে। আর বিএনপি নাম নিবে জিয়ার। দুই দল'ই দক্ষতার সাথে অনেক নব্য ধনী সৃষ্টি করে। দুই দলের নেতা গুলোই মগজহীন। তারা শুধু পারে দূর্নীতি করতে। মিথ্যা বলতে। দুই দলের নামটাই শুধু ভিন্ন, কিন্তু তাদের কর্মকাণ্ড সব এক। পথ থেকে উঠে আসা ফালু, কালু মালু আজ সীমাহীন টাকা। তাদের ১৪ গোষ্ঠী আজ বিলাসিতা পূর্ন জীবন যাপন করছে। আওয়ামী লীগেরও এমন লোকের অভাব নেই।
আওয়ামী লীগ আর বিএনপি মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
এরা যেন জমজ দুই ভাই। এই দুই দলের সবচেয়ে বেশি মিল দূর্নীতিতে। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষমতায় ছিলো আওয়ামী লীগ। তারা দূর্নীতি বেশি করেছে। যে দলই ক্ষমতায় আসুক কয়েক হাজার নব্য ধনী সৃষ্টি করে। নতুন টিভি চ্যানেল, দৈনিক পত্রিকা আর নতুন নতুন ব্যবসায়ী তৈরি হয়। আসল যেই কাজ, সেটাই হয় না। দেশের উন্নতি। অবশ্য ওরা দেশের উন্নতি নিয়ে মাথা ঘামায় না। নিজেদের উন্নতি নিয়ে চিন্তিত। সেকেন্ড হোম নিয়ে চিন্তিত।
সব রাজনীতিবিদদের চরিত্র একই রকম।
সে হোক আওয়ামিলীগ বা বিএনপি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই দুই দলই তো দেশ চালিয়েছে। অবশ্য মাঝে এরশাদ সাহেব ছিলেন। ক্ষমতা হাতে পেলেই মানুষ বদলে যায়। সব নেতারা জানে বিপদ আসতে পারে। তাই তারা সেকেন্ড হোম প্রস্তুত করে রাখে। নেতারা দূর্নীতি করে। কেউ কেউ ধরা খায়। তারপর জামিনে বের হয়। এভাবেই চলছে দেশ। এই তো কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের কি করুন পরিনতি হলো। পুরো বিশ্ব হতবাক। বিএনপির কোমর ভেঙে গিয়েছিল, তারা এখন সোজা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশায় বুক বেধেছে।
আওয়ামিলীগ হচ্ছে মন্দের ভালো।
শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে রাজাকারদের বিচার করেছে। তার বাবার খুনীদের বিচার করেছে। বিএনপি কোনোদিন রাজাকারদের বিচার করতো না। আর শেখ মুজিবের হত্যার বিচার করার প্রশ্নই আসে না। শেখ হাসিনার রাজনীতি হলো হিংসাত্মক। তার মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল এই দেশ তার বাবার। অথচ ৭১ সালে অসংখ্য মানুষ দেশের জন্য প্রান দিয়েছিলেন। এই দেশ সবার। হাসিনার যা মন চায় তাই করে গেছেন। তিনি জনগনের মনের ভাষা বুঝেন নাই। জনগণের কথা ভাবেন নাই। এজন্যেই আজ তার এমন করুন পরিনতি। আওয়ামী লীগ থেকে শিক্ষা না নিলে বিএনপি বড় ভুল করবে।
এবার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নতুন কিছু দৈনিক পত্রিকা বের হবে।
নতুন কিছু টিভি চ্যানেল আসবে। নতুন ব্যবসায়ীর আগমন হবে। আর আওয়ামী লীগের দৈনিক পত্রিকা আর টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাবে। এটাই আমাদের দেশের অলিখিত নিয়ম। অলরেডি আওয়ামী লীগের লোকজন গর্তে চলে গেছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর এক লাখ নব্য ধনী সৃষ্টি হবে। এরকম আওয়ামী লীগের আমলেও হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এরকমই চলছে। আমরা মেনে নিয়েছি, আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তবে আশার কথা হচ্ছে পাপের শাস্তি পেতেই হয়। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না।
আমাদের দেশে আজ পর্যন্ত জামায়াত দেশ পরিচালনা করে নাই।
এটা আমাদের অনেক বড় ভাগ্য। জামায়াত যেন কোনোদিন ক্ষমতায় না আসে। তাহলে দেশ আফগান হয়ে যাবে। বিশেষ করে নারীদের দুখ কষ্টের শেষ থাকবে না। ১৪ শ বছর আগের নিয়মে দেশ পরিচালনা করলে কি অবস্থা হবে বুঝুন! যাইহোক, যে দলই ক্ষমতায় আসুক, দেশের আহামরি কোনো পরিবর্তন হবে না। ফুটপাত দখল মুক্ত হবে না। সরকারি হাসপাতাল থেকে দালান দূর হবে না। দূর্নীতি বন্ধ হবে না। জিনিসপত্রের দাম কমবে না। অন্যায় অত্যাচার বন্ধ হবে না। খালেদা জিয়া, তারেক বুদ্ধিমান মানুষ নন। তাদের বুদ্ধিতে দেশ সামনে এগিয়ে যাবে না।